শনিবার ● ১৯ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » হরিজন সম্প্রদায়ের মেয়েকে ধর্ষণ ও সালিশের নামে যৌন হয়রানীর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন
হরিজন সম্প্রদায়ের মেয়েকে ধর্ষণ ও সালিশের নামে যৌন হয়রানীর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন
সাইফুল মিলন, ষ্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন সম্প্রদায়ের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ, আটক পূর্বক ধর্ষণ ও সালিশের নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানী ও প্রতারণার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার ১৯ জুন সকালে স্থানীয় গানাসাস মার্কেটের সামনে আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম, বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম), নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ এর আয়োজনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে হরিজন সম্প্রদায়ের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ, আটক পূর্বক ধর্ষণ ও সালিশের নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির যৌন হয়রানী ও প্রতারণার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ রবিদাস ফোরামের সভাপতি সুনিল রবিদাসের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাহাঙ্গীর কবির তনু, সাবেক প্যানেল মেয়র জি.এম. চৌধুরী মিঠু, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব ও অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম, বাংলাদেশ বাসফোর (হরিজন) কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কৃর্তন বাসফোর, দলিত নেতা খিলন রবিদাস, কৈলাশ রবিদাস, দুঃখু রবিদাস, সভাপতি বিআরএফ,সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, সুজন রবিদাস, নয়ন ভুঁইমালী, বাবলু রবিদাস, সুজন রবিদাস, টুকু রবিদাস, দিপলাল রবিদাস, অধীর রবিদাস ও মনোজ প্রসাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হরিজন জনগোষ্ঠীর নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের অভিনয় করে স্থানীয় প্রভাবশালী মোতালেব টানা দেড় মাস পাশবিক নির্যাতনের পর পাঁচদিন আগে রাতের বেলা বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে যায় তাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা আর বাড়িতে উঠতে দেয়নি নির্যাতিতাকে। ঠাঁই হয়নি নানার বাড়ি ডোমেরহাটেও। মেয়েটির মা-বাবা বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে সাবেক ইউপি সদস্য হায়দারের বাড়িতে রেখে আসে তার মা। সেখানেও ইউপি সদস্য হায়দার, মতিন ও এক সবজি বিক্রেতা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে গোপনে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে তার নির্যাতিতার মা। এলাকায় শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছে হরিজন জনগোষ্ঠীর তাই ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তাসহ উক্ত ঘটনার সাথে যুক্ত সকল আসামীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থাসহ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান। একই সাথে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এর নির্দেশে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ধর্মঘটে যাবেন বলে জানান।