রবিবার ● ২০ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে সিএনজি-অট্রোরিক্সাসহ গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি
রাঙামাটিতে সিএনজি-অট্রোরিক্সাসহ গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি
নির্মল বড়ুয়া মিলন :: বাংলাদেশের মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা হচ্ছে পর্যটন নগরী। রাঙামাটি জেলার পাশ্ববর্তী জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় যাত্রীর চলাচলের জন্য টেম্পু, মোটর সাইকেল, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ইজি বাইক, থ্রি হুইলার, জিপ ও মাইক্রো বাসসহ সকল ধরনের যান চলাচলের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু রাঙামাটি শহরে মধ্যে যাত্রীদের যাতায়তের একমাত্র বাহন সিএনজি অট্রোরিক্সা।
স্থানীয় জনসাধারনের দীর্ঘদিনের দাবি হচ্ছে রাঙামাটি শহরে মধ্যে সিএনজি/অট্রোরিক্সার পাশা-পাশি যাত্রীর চলাচলের জন্য টেম্পু, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ইজি বাইক, থ্রি হুইলার, জিপ ও মাইক্রোসহ সকল ধরনের যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হোক।
রাঙামাটি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি ও স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবিষয়ে বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং রাঙামাটি অট্রোরিক্সা চালক সমিতির চাপের মুখে যাত্রীদের চলাচলের জন্য শহরের মধ্যে টেম্পু, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ইজি বাইক, জিপ ও মাইক্রোসহ অন্যন্যে পরিবহন রাঙামাটি শহরে অদ্যবধি চালু করতে পারেনি।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সকল পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের জন্য সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করার পর রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গত মে মাসে রাঙামাটি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি, রাঙামাটি অট্রোরিক্সা মালিক সমিতি ও রাঙামাটি অট্রোরিক্সা চালক সমিতির নেতাদের সাথে সভা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে করোনা অতিমারীকালিন রাঙামাটি শহরে সিএনজি/অট্রোরিক্সার ভাড়া পূণঃ নির্ধারন করেন।
পূর্বে সিএনজি/অট্রোরিক্সায় রিজার্ভবাজার থেকে তবলছড়ি বাজার ভাড়া ছিলো ১২ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০ টাকা।
পূর্বে রিজার্ভবাজার/তবলছড়ি থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার/পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড ৮ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ১৩ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা।
পূর্বে রিজার্ভবাজার/তবলছড়ি থেকে ফিশারীঘাট/পৌরসভা ১০ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ১৬ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা।
পূর্বে রিজার্ভবাজার/তবলছড়ি থেকে বনরুপা/কোর্ট বিল্ডীং ১২ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০ টাকা।
পূর্বে রিজার্ভবাজার/তবলছড়ি থেকে ষ্টেডিয়াম/ডাকঘর ১৫ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২৪ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
পূর্বে রিজার্ভবাজার/তবলছড়ি থেকে কলেজ গেইট ২০ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ৩২ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।
পূর্বে রিজার্ভবাজার/তবলছড়ি থেকে সদর উপজেলা পরিষদ ২৪ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ৩৯ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা।
পূর্বে রিজার্ভবাজার/তবলছড়ি থেকে ভেদভেদী ২৪ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ৩৯ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।
পূর্বে ভেদভেদী থেকে কলেজ গেইট/ সদর উপজেলা পরিষদ ৮ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ১৩ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা।
পূর্বে ভেদভেদী থেকে ষ্টেডিয়াম/ ডাকঘর ১০ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ১৬ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।
পূর্বে ভেদভেদী থেকে বনরুপা/ কোর্ট বিল্ডীং ১২ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।
পূর্বে ভেদভেদী থেকে পৌরসভা/ ফিশারীঘাট ১৮ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২৯ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
পূর্বে ভেদভেদী থেকে পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড/কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ২০ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ৩২ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।
পূর্বে কলেজ গেইট থেকে কোর্ট বিল্ডীং/বনরুপা ১০ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ১৬ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।
পূর্বে তবলছড়ি থেকে আসামবস্তি ১২ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
পূর্বে তবলছড়ি থেকে পর্যটন/বিজিবি ক্যাম্প ১২ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।
পূর্বে ভেদভেদী থেকে মোনঘর ১০ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ১৬ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০ টাকা।
পূর্বে ভেদভেদী থেকে রাঙাপানি ১২ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা।
পূর্বে ভেদভেদী থেকে মোনঘর আসামবস্তি ২০ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ৩২ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৬০ টাকা।
পূর্বে রাঙামাটি প্রেস ক্লাব থেকে ডিসি বাংলো/সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ১২ টাকা, পূণঃ নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা, অথচ যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
রাঙামাটি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির পক্ষে নোটিশের মাধ্যমে পরিস্কার ভাবে জানানো হয়েছে, সিএনজি/অট্রোরিক্সাতে ২ জনের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। কেবলমাত্র একই পরিবারের সদস্য হলে সর্বোচ্চ ৩জন যাত্রী বহন করা যাবে, যাত্রীগণ একই পরিবারের সদস্য তার প্রমানক যাত্রীগণের সঙ্গে রাখতে হবে।
সরকার কর্তৃক পরবর্তী নিদেশনা না দেয়া পর্যন্ত পূণঃ নির্ধারিত এ ভাড়া বলবৎ থাকবে।
পূণঃ নির্ধারিত এ ভাড়ার তালিকা আবশ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনের সময়ে সিএনজি/অট্রোরিক্সাতে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
উল্লেখিত নিদের্শ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রাঙামাটি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির এ নোটিশ বা আদেশ রাঙামাটি শহরের ভিতর চলাচলকারী কোন সিএনজি/অট্রোরিক্সা চালক মানছেন না বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ।
এবিষয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার আহমদ বলেন, রাঙামাটি শহরের মধ্যে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সিএনজি/ অট্রোরিক্সাতে ২ জনের অধিক যাত্রী পরিবহন না করে ৫ জন যাত্রী পরিবহন করছে এবং যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না চাইলে সিএনজি/অট্রোরিক্সার চালকরা যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকে। এসব অভিযোগ আমরা প্রতিদিন শোনি। আমি নিজেও তো অফিসের গাড়ি না পেলে সিএনজি/অট্রোরিক্সার করে অফিসে যাই তখন এধরনের অভিযোগের সত্যতা স্ব-চোখে দেখার সুযোগ হয়। পূণঃ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা যাত্রী পরিবহনের সময়ে সিএনজি/অট্রোরিক্সাতে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করার কথা অদ্যবধি কোন সিএনজি/অট্রোরিক্সাতে আমরা দেখি নাই।
তিনি বলেন, স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আরো তৎপর হলে এবং রাঙামাটি অট্রোরিক্সা চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ আরো আন্তরিক হলে সিএনজি/অট্রোরিক্সাতে চলাচলকারী যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া আর গুনতে হবে না।
রাঙামাটি শহরের মধ্যে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সিএনজি/অট্রোরিক্সাতে ২ জনের অধিক যাত্রী পরিবহন না করে ৫ জন যাত্রী পরিবহন করছে এবং যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না চাইলে সিএনজি/অট্রোরিক্সার চালকরা যাত্রীর সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে থাকে। এসব অভিযোগের বাইরে শহরের ভিতর যত্রতত্র সিএনজি/অট্রোরিক্সা রেখে যানজটের সৃষ্টি করা এবং জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাঙামাটি শহরে বসবাসকারীদের। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন থেকে মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলেও আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ভেদভেদী, কোর্ট বিল্ডীং এলাকায় ও পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড (দোয়েল চত্বরে) নিয়মিত ভাবে ভ্রাম্যমান আদালত (মোবাইল কোর্ট) বসিয়ে সিএনজি/অট্রোরিক্সাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা এবং করোনাকালিন শহরের মধ্যে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রশাসনের নজরদারী বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি জনসাধারন।
এবিষয়ে রাঙামাটি অট্রোরিক্সা চালক সমিতির সভাপতি পরেশ মজুমদার বলেন, সভার মাধ্যমে করোনাকালিন রাঙামাটি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার বেশী কোন সিএনজি ড্রাইভার নিতে পারবেন না। যদি কোন সিএনজি ড্রাইভার যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া আদায় করে সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ পেলে চালক সমিতি ব্যবস্থা নিবেন। কোন সিএনজি ড্রাইভার যদি নির্ধারন করা ভাড়ার চেয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া আদায় করে সেই ড্রাইভারের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন জেল-জরিমানা করিলে চালক সমিতির কোন আপত্তি নাই।
শ্রমিক নেতা পরেশ মজুমদার বলেন, রাঙামাটি শহরের ভিতর উপজাতিয় চালক সমিতির ড্রাইভারগণ সিএনজি/অট্রোরিক্সা চালায় তাছাড়া পর্যটক যাত্রীর কথা বলে রানিরহাট, ঘাগড়া, কাপ্তাই ও নানিয়ারচরের গ্রাম গাড়ি চলে এর বাইরে নাম্বার বিহীন সিএনজি/অট্রোরিক্সা এবং চাঁদের গাড়ি চলছে এসব গ্রাম গাড়ি বা চাঁদের গাড়ি শহরে চালানোর রোডপারমিট নাই। এসব অবৈধ সিএনজি/অট্রোরিক্সা ড্রাইভারগণ অপরাধ করে চলে যায় কিন্তু দোষারোপ করা হয় আমাদের চালক সমিতির ড্রাইভাদের।
তিনি আরো বলেন, গ্রাম গাড়ি ও নাম্বার বিহীন সিএনজি/অট্রোরিক্সা বন্ধের জন্য আমাদের চালক সমিতির পক্ষ থেকে রাঙামাটি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, রাঙামাটি বিআরটি এবং শহর যানবাহন পুলিশপরির্দশ (টিআই)কে বলেছি প্রশাসন এব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ নেননি।
রাঙামাটি অট্রোরিক্সা চালক সমিতির সভাপতি পরেশ মজুমদার বলেন, গ্রাম গাড়ি ও নাম্বার বিহীন সিএনজি/অট্রোরিক্সার মাধ্যমে অস্ত্র,মাদক ও বনজদ্রব্য পাচারসহ সকল ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড ঘটে বলে আমরা শুনি কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন নিরব থাকেন। আইন শৃংখলা বাহিনী এসব অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে এক্ষেত্রে রাঙামাটি অট্রোরিক্সা চালক সমিতির কি বা করার আছে।
এবিষয়ে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সদস্য আনোয়ার আজিম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা দেখে আসছি রাঙামাটি অট্রোরিক্সা চালক সমিতির ইচ্ছাতে রাঙামাটি শহরে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, হাসপাতাল, বাজার-ঘাটে যাত্রীদের তাদের অট্রোরিক্সায় করে যাতায়াত করতে হয়।
খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান শহরে বসবাসরত যাত্রীরা যদি টেম্পু, মোটর সাইকেল, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ইজি বাইক,থ্রি হুইলার, জিপ ও মাইক্রোসহ সকল ধরনের যানবাহনে করে চলাচলা বা যাতায়াত করতে পারেন তাহলে আমরা রাঙামাটি শহরে মধ্যে যাত্রীরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে একমাত্র বাহন হিসাবে সিএনজি অট্রোরিক্সায় করে যাতায়াত করতে হবে কেন?
মুলতঃ সিএনজি-অট্রোরিক্সা চালকরা সমিতি/কমিটির নামে রাঙামাটি শহর বাসিকে জিম্মি করে রেখেছে। স্থানীয় প্রশাসন জনস্বার্থের জন্য কাজ করার কথা কিন্তু করোনাকালিন যাত্রীদের পকেট কাটা হচ্ছে বা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বীগুন ভাড়া আদায় করছে সিএনজি/অট্রোরিক্সা ড্রাইভারগণ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২/১ শত টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সিএনজি/অট্রোরিক্সা ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।
রাঙামাটিতে করোনাকালিন স্বাস্থ্যবিধির কথা বিবেচনা করে ২জন যাত্রী পরিবহনের নিদের্শনা দিয়ে রাঙামাটি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি সিএনজি/অট্রোরিক্সা ভাড়া পূণঃ নির্ধারন করে দেয়ার পরও যখন সিএনজি/অট্রোরিক্সার চালকরা সরকারী নিদের্শ মানছেনা তাহলে অবিলম্বে সিএনজি/অট্রোরিক্সাসহ গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা হোক।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সদস্য আনোয়ার আজিম আরো বলেন, করোনাকালিন ব্যতিত প্রতিদিন হাজার-হাজার ছাত্র/ছাত্রী স্কুল-কলেজে সিএনজি/অট্রোরিক্সায় করে যাতায়াত করে থাকে। এতে সল্প আয়ের পরিবারে যদি ২জন ছাত্র/ছাত্রী স্কুল বা কলেজে যাতায়াত করে সেই পরিবারকে কেবলমাত্র সিএনজি/অট্রোরিক্সা ভাড়া গুনতে হয় প্রতি মাসে ৫-৬ হাজার টাকা।
রাঙামাটি শহরে বসবাসরত ছেলে/মেয়েদের স্কুল বা কলেজে যাতায়াত ভাড়ার জন্য অনেক বড় অংকের টাকা সিএনজি/অট্রোরিক্সা ভাড়া বাবদ ব্যয় করিতে হয় অভিভাবকদের।
আর গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়ে অথবা ছাত্র/ছাত্রীরা স্কুল বা কলেজে যাতায়াত করতে হয় পায়ে হেটে। কারণ সব পরিবারের আর্থিক সক্ষমতা নাই তাদের সন্তানদের জন্য সিএনজি/অট্রোরিক্সা ভাড়া প্রদান করার।
আর যারা পর্যটক হিসাবে রাঙামাটিতে ভ্রমনে আসেন সেসব যাত্রীদের কাছ থেকে সিএনজি/ অট্রোরিক্সা ড্রাইভারেরা ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করে ছাড়েন।
একটি সিন্ডিকেটের হাতে বছরের পর বছর রাঙামাটি শহরবাসিকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
পর্যটকসহ যাত্রীরা এ জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে রাঙামাটি শহর (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) থেকে ঘাগড়াবাজার পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চালু এবং অন্যন্য শহরে ন্যয় সিএনজি/অট্রোরিক্সার পাশা-পাশি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত টেম্পু, মোটর সাইকেল, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ইজি বাইক,থ্রি হুইলার, জিপ ও মাইক্রোতে করে যাতে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য আশু পদক্ষেপ নিতে জনস্বার্থে স্থানীয় প্রশাসন এবং সকল জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির নেতা আনোয়ার আজিম।