সোমবার ● ২১ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় ১ হাজার ৪টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও জমি হস্তান্তর
গাইবান্ধায় ১ হাজার ৪টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও জমি হস্তান্তর
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: মুজিববর্ষ উপলক্ষে আজ রবিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে গৃহ ও জমির দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩শ’ ৫৪টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলায় ১ হাজার ৪টি পরিবারের মধ্যে জমি ও গৃহ বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানটি গণভবন থেকে জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমগুলো সরাসরি একযোগে প্রচার করা হয়।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সে তাঁর পক্ষে সদর উপজেলার ভুমিহীন ও গৃহহীন ১০০ জন পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি এবং জমির কবুলিয়ত দলিল, নামজারী খতিয়ান, ডিসিআরের কপি এবং ঘর প্রদানের সনদ সমন্বয়ে সজ্জিত ফোল্ডার হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর, পৌর মেয়র মতলুবর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর জামান রিংকু প্রমুখ।
এছাড়া অন্যান্য উপজেলাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ঘরের চাবি ও জমির কবুলিয়ত দলিল, নামজারী খতিয়ান, ডিসিআরের কপি এবং ঘর প্রদানের সনদ সমন্বয়ে সজ্জিত ফোল্ডার হস্তান্তর করেন।
২য় পর্যায়ে এই আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় একই সাথে অন্যান্য উপজেলার মধ্যে সুন্দরগঞ্জে ১৬০টি, গোবিন্দগঞ্জে ২৩০টি, সাদুল্যাপুরে ২০০টি, ফুলছড়িতে ২৬০টি, সাঘাটায় ৪০টি ও পলাশবাড়ীতে ২৪টি জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়।
এ জেলায় সর্বমোট ১ হাজার ৪৩০টি গৃহ নির্মাণের জন্য ২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। বরাদ্দকৃত ১ হাজার ৪৩০টি গৃহের মধ্যে সদরে ২০০টি, সুন্দরগঞ্জে ২০০টি, গোবিন্দগঞ্জে ৩৫০টি, সাদুল্যাপুরে ২০০টি, ফুলছড়িতে ৩৬০টি, সাঘাটায় ৮০টি ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ৪০টি। অবশিষ্ট ৪২৬টি গৃহের নির্মাণ কাজ ৩০ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভিডিও কনফারেন্সে সকল উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তা, জেলার অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।