সোমবার ● ২১ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় দেশের একটি প্রজন্মের ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় দেশের একটি প্রজন্মের ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে
ঢাকা :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভা শেষে আজ গৃহীত প্রস্তাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতি, স্বেচ্ছাচারী ও চরম অদূরদর্শী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে দেশের গোটা একটি প্রজম্নের ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অটো প্রমোশনের বর্তমান ধারা শিক্ষার্থীদের মেধা-মননকে নষ্ট করে দিচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থেিদর শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটছে। পরিবারের আর্থিক দৈন্যের কারণে অনেককে শিশু শ্রমে যুক্ত হতে যাচ্ছে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পারছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা কিশোর অপরাধ চক্র ও নানা অসামাজিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়ছে। করোনা দুর্যোগের গত দেড় বছরে সরকার শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে ন্যূনতম আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সভার প্রস্তাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, সমস্ত কিছু খুলে দেবার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যুক্তি কোথায়। সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় করোনার জীবানু যেন কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আশ্রয় নিয়েছে। প্রস্তাবে প্রশ্ন তোলা হয় যে, করোনা যদি আরো দুই/তিন বছর অব্যাহত থাকে, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও কি দুই/তিন বছর বন্ধ রাখা হবে ?
সভায় এই ব্যাপারে স্বেচ্ছাচারী পন্থায় রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে দ্রুত টিকা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসারও দাবি জানানো হয়।
সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে ভরা মওশুমে চারের মূল্য বৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং বলা হয় চাতালের মালিকসহ অসৎ সিণ্ডিকেটসমূহের দৌরাত্মই চালের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বাজারের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন না থাকায় অসৎ ব্যবসায়ীরা মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। প্রস্তাবে চালসহ ভোগ্যপণ্যের দাম কমাতে অবিলম্বে কার্যকরি পদক্ষেপ নেবার আহ্বান জানানো হয়। সভায় টিসিবিকে সক্রিয় করা ও শ্রমজীবী- মেহনতিদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন, এ্যাপোলো জামালী, সাইফুল ইসলাম, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, ডা. মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সভার শুরুতে পার্টির নেতা আনছার আলী দুলালের বড় ভাই আলহাজ্ব শামসুল হক এর মৃত্যুতে ও করোনার মৃত্যুবরণকারীদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।