শুক্রবার ● ২৫ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » বিশেষ কৌশলে জলপথে পাচার হচ্ছে অবৈধ বনজদ্রব্য
বিশেষ কৌশলে জলপথে পাচার হচ্ছে অবৈধ বনজদ্রব্য
আমির হামজা, ষ্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রামের রাউজানের একটি জলপথে দিয়ে প্রতিদিন নানা কৌশলে পাচার হচ্ছে অবৈধ পাহাড়ী বাঁশ ও কাঠসহ বনজদ্রব্য। এসব অবৈধ বাশঁ-কাঠ পাচারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে স্থানীয় একটি হাট গহিরা কালাচাঁদ হাট। প্রতিদিন সর্তা খাল দিয়ে অবৈধ ভাবে বাশেঁর ছালির মাধ্যমে লাখ লাখ ঘনফুট কাঠ আসে গহিরা কালাচাঁদ হাটে। বিশেষ কায়দায় জলপথে আসা কাঠ ও বাশঁ পাচার হয় এখান থেকে দেশের বিভিন্ন নানা প্রান্তে। জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রক্তছড়ি ও ব্র্রক্ষ্মাছড়ি থেকে ফটিকছড়ি হয়ে সর্তার খাল দিয়ে উজানের পানি পথে গহিরা কালাচাঁন্দ হাটের কাঠ পাচারের অবৈধ ডিপোতে আসে। খাগড়াছড়ি ও ফটিকছড়ি বন বিভাগকে ম্যানেজ করে সরকারি গাছ কেটে এখানে নিয়ে আসে একটি গাছ চোরাই সেন্ডিকেট। এই সেন্ডিকের সাথে রয়েছে রাউজান, ফটিকছড়ি ও খাগড়াছড়ি জেলা উপজাতিয় চক্র।
সূত্র জানায়, একদিকে গভীর রাতে বন বিভাগের গাছ কেটে উজার করছে এসব অবৈধ চোরা কাবারিরা। অপর দিকে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বীরদর্পে কাঠ ব্যবসায়ী সেজে সমাজপতি হচ্ছে তারা। সরেজমিনে গহিরা কালাচাঁদ হাটের অবৈধ বাশঁ কাঠ ডিপো পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, গহিরা সর্তার খালের দুই প্রান্তে রয়েছে ৮/১০টি করাত কল। করাত কল গুলোতে সারিবদ্ধ ভাবে স্তুপ করা হয়েছে চোরাই পথে আনা সেগুন, গর্জন, কড়াই, আকাশ মনি ও গামারী গোল কাঠ। এছাড়া সর্তার খালের পাড় দখল নিয়ে বিক্রির জন্য স্তুপ করে রেখেছে পাচারকারীরা। সেখান থেকে পুলিশ ও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে ট্রাকে ট্রাকে দ্বিতীয় দফায় কাঠ পাচার হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এছাড়া অবৈধ বাশঁ-কাঠ পাচারের হাট হিসাবে পরিচিত রাউজানের গহিরা কালাচাঁদ হাটে গড়ে উঠেছে শতাধিক ফার্ণিচারে দোকান। এসব দোকান ও করাত কলের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানা গেছে। দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ পন্থায় বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল প্রদর্শন করে গহিরায় জমজমাট অবৈধ কাঠ ব্যবসা। এবিষয়ে রাউজান ঢালার মুখ বন কর্মকর্তা ফরেস্টার আইয়ুব আলী মন্ডল বলেন, আমি নতুন জয়েন্ট করেছি রাউজানে। এখনোও সবকিছু অজানা। এছাড়া সর্তার খাল হয়ে গহিরাতে কাঠ পাচারের বিষয়টি আমি জানতাম না। তবে আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব। এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।