রবিবার ● ২৭ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » ড্রাগন ফলের চাষ করে সফল চাষি সুরত আলী
ড্রাগন ফলের চাষ করে সফল চাষি সুরত আলী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: সুরত আলী নামে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের এক ফলচাষি চাষ শুরুর মাত্র ৪ বছরে পেয়েছেন সফলতা। তিনি জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন শিবনগর গ্রামের মৃত মনিরুদ্দীন মন্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি ৪০ বিঘা জমিতে দেশি বিদেশি ফলের চাষ করছেন। সুরত আলী বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল ড্রাগনসহ বিদেশি ফলের এক বাগান গড়ে তুলব। তাই ২০০৭ সালের অক্টোবরে এক একর জমিতে ড্রাগনের চাষ করি। মাত্র এক বছরের মাথায় স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়। সফলতা আসতে শুরু করে। দ্বিতীয় বছর অনেক বেশি ফল আসে, যা বিক্রি করে বেশ লাভ হয়। ফলে এ চাষ আরও বৃদ্ধি করি। বর্তমানে প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে ভিয়েতনামের শরিফা, সৌদি খেজুর, কফি, অ্যাভোকাডো, মালটা, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি আম ও উন্নত জাতের লিচুর চাষ করছি। এসব নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছি বাণিজ্যিক ফলের বাগান। যেখানে প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাগান থেকে বছরে খরচ বাদে আমার লাভ হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা।’ পৌর এলাকার শিবনগর দাসপাড়ার মাঠে কৃষি খামারটি। খামারে ড্রাগন, আম, লিচু, পেয়ারা, খেজুর, লটকন, নারিকেল, রামবুটান প্রবৃতি ফলের বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ ধরনের ড্রাগনসহ হিমসাগর, ল্যাংড়া, আমরুপালি, মোজাফফর লিচু, টিস্যুকালচার খোরমা খেজুর, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের পেয়ারা, সিডলেস পেয়ারা ও টিস্যুকালসার নারিকেল গাছ রয়েছে। দেশি ফল চাষে খরচ কম। স্বল্পসময়ে খরচের টাকা উঠিয়ে লাভের মুখ দেখা যায়। কিন্তু বিদেশি ফল চাষে সময় লাগে বেশি, খরচও বেশি। তবে ঝুঁকি নিয়ে চাষ শুরু করেন তিনি। গাছে ফল আসতে শুরু করায় এখন তিনি আশাবাদী। এ-জাতীয় ফলের চাষ শুরু করতে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তারই ভাগ্নে কৃষিবিদ ড. রুস্তম আলী। ড. রুস্তম ঢাকার একটি নার্সারি থেকে বিদেশি জাতের এ ফলের চারা তাকে সরবরাহ করেন। ব্যতিক্রমী এ ফলের চাষ সম্পর্কিত সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ তিনিই দিচ্ছেন। রুস্তম আলীর আর্থিক সহযোগিতা ও কৃষি পরামর্শে তার এ খামার এখন লাভজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সুরত আলীর দৃষ্টিনন্দন এই বাগান প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে কৃষি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস কর্মকর্তা শিকদার মো. মোহায়মেন আক্তার জানান, সুরত আলীর ফল চাষ পদ্ধতি প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি আরও জানান, ক্যাকটাস গোত্রের এই ফলের গাছ দেখে সবাই একে সবুজ ক্যাকটাস বলেই মনে করেন। সাধারণত মধ্য আমেরিকায় এ ফল বেশি পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল দেখতেও খুব আকর্ষণীয়। এর স্বাদ হালকা মিষ্টি।
ঝিনাইদহে ৬’শ ইজিবাইক চালকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ৬’শ ইজিবাইক চালকদের মাঝে চাল ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে জেলার বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সহায়তা প্রদাণ করা হয়। এসময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ৬’শ ইজিবাইক চালকদের মাঝে ১০ কেজি চাউল ও নগদ ৫’শ টাকা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান। এসময় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এস শাহীনসহ জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। করোনাকালে এ সহযোগিতা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা। উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে গত ২২ জুন থেকে জেলায় লকডাউন চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে ইজিবাইকসহ সকল প্রকার গণপরিবহন।
করোনার সংক্রমন প্রতিরোধ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি রোধে ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য বিভাগ বরাবর বিএনপির স্মারকলিপি পেশ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনার সংক্রমন প্রতিরোধ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি রোধে জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় স্বাস্থ্য বিভাগের করণীয় বিষয় স্মারকলিপি পেশ করেছে বিএনপি। আজ রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগমের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. এস এম মশিয়ুর রহমান, সদস্য সচিব এ্যাড. এম এ মজিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান মনা, মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, কৃষকদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, থানা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন আলম। সেসময় করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত টিকা বিনামুল্যে প্রদাণের ব্যবস্থা, সার্বিক চিকিৎসা সেবার জন্য অধিক সংক্রমন বৃদ্ধি অঞ্চল হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ, প্রতিটি জেলায় অসুস্থ, বৃদ্ধ, চলাচলের অনুপযোগী রোগীর করোনা টেস্টোর জন্য বাড়ীতে যেয়ে নমুনা সংগ্রহ ও সরকারি খরচে টেস্টের ব্যবস্থা করাসহ ৭ টি পরামর্শ সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
ভারত থেকে আসা মহেশপুর সিমান্তে দুই বাংলাদেশী নাগরিক আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর গ্রাম থেকে হালিমা খাতুন (৪০) ও তার ছেলে আব্দুল আজিজ (২২) কে আটক করেছে বিজিবি। গত শনিবার রাতে পলিয়ানপুর গ্রামের জনৈক কবির শেখের মেহগনি বাগান থেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার জিটকেপোতা গ্রামে। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান গনমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করা হয়, মহেশপুরের জিটকেপোতা গ্রামের মোঃ আবু তালেব মন্ডলের স্ত্রী মোছাঃ হালিমা খাতুন ও তার ছেলে মোঃ আব্দুল আজিজ মন্ডল অবৈধ পথে ভারত তেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় আজ রবিবার সকালে পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে।