মঙ্গলবার ● ২৯ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ২৪ ঘন্টায় ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত ৯৩,মৃত্যু-৮ জনের
২৪ ঘন্টায় ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত ৯৩,মৃত্যু-৮ জনের
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: আক্রান্ত আর মৃত্যু দিন দিন বাড়ছে সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহে। গত ২৪ ঘন্টায় ঝিনাইদহে করোনায় ৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, সকালে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাবে পরীক্ষা করে ১’শ ৪৪ টি নমুনার ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে ৯৩ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ৬৪ দশমিক ৫৮ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৪ হাজার ২’শ ২৬ জনে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: হারুন-অর-রশিদ জানান, বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছে ৮৫ জন রোগি। তিনি বলেন, প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচেছ। রোগীর চাপ সামলাতে করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি রোগীর কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ঝিনাইদহে চলমান লকডাউনের ৮ম দিনে চলছে ঢিলেঢালা ভাবে। স্থানীয় হাট-বাজার, চায়ের দোকানে ভীড় করছে মানুষ। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চলাচল করছে ইজিবাইক, নসিমনসহ যানবাহন।
হাসপাতালের প্যাথলজী থেকে করোনা পরীক্ষার লাখ লাখ টাকা আত্মসাত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসা সেবার এ হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন করোনা পরিক্ষার রোগীদের হতে হচ্ছে আর্থিক হয়রানির শিকার। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত বছর মার্চ থেকে শুরু হয় করোনার নমুনা সংগ্রহ। শুরু থেকে ২৯ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত সর্বমোট ১৬৬৮টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্যাথলজী বিভাগের দায়িত্বে থাকা মোঃ আরিফুজ্জামান রোগিদের করোনা পরিক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পূর্বেই রেজিষ্ট্রেশন বাবদ ৩২০ টাকা আদায় করে থাকেন। এ তার তথ্য মতে ২০ টাকা কাগজপত্র ফটোকপি, ১’শ টাকা ল্যাবচার্জ ও ২’শ টাকা যাতায়াত খরচসহ মোট ৩২০ টাকা নেয়া হয়। তবে কোন রোগী জমাস্লিপ চাইলে শুধুমাত্র ১’শ টাকার রশিদ কেটে দেওয়া হয়। কুশোবাড়িয়া গ্রামের রোগীর স্বজন ইপিয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, তার বাবার করোনা টেস্টের জন্য ৩২০ টাকার পরিবর্তে তাকে ১’শ টাকার রশিদ দিতে গেলে বিবাদ সৃষ্টি হয়। তিনি আরিফুজ্জামানের নিকট জানতে চেয়েছিলেন, যাতায়াত এবং ফটোকপি খরচ কি তার সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। একই দিন পুরাতন বাখরবা গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতি রোগির নিকট থেকে যাতায়াতের কথা বলে যে ২’শ করে নিচ্ছে সে হিসেবে এ যাবতকালে আরিফুজ্জামান ১৬৬৮ নমুনা পরিক্ষার বিরপরিতে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯শ ২০ টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে প্রতিয়মান হয়। ব্রহ্মপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মধু মোল্লা জানান, করোনা মহামারিতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই নাজুক তার উপর সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগ মরার উপর খাড়ার ঘা বসিয়ে দিচ্ছে। কাজীপাড়া গ্রামের রাকিবুজ্জামান অভিযোগ করেন তার মায়ের করোনা পরিক্ষাবাবদ ১’শ টাকার পরিবর্তে কেন ৩’শ ২০ টাকা দিতে প্রশ্ন উঠলে আরিফুজ্জামান উর্ধ্বত কর্তৃপক্ষের দিকে আঙ্গুল উঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সচেতন মহলে প্যাথলজী বিভাগের অন্যান্য পরিক্ষার সরকারি খরচ নিয়ে স্বচ্ছতা ও আরিফুজ্জামানের কর্মকান্ডে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্যাথলজীস্ট আরিফুজ্জামান বলেন, টাকা তিনি একা ভোগ করেন না এবং উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ বিষয়টি জানেন তাদের অনুমতিতেই এ টাকা নেয়া হয়। করোনা আক্রান্ত রোগীদের পিসিআর টেস্ট কুষ্টিয়া পাঠানোর জন্য সপ্তাহে একবার সেখানে যেতে হয় বলেই যাতায়াত খরচ ২’শ টাকা নেয়া হয় এমন মন্তব্য করেন। তবে একজন মানুষ সপ্তাহে একবার কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য সকল রোগীর নিকট থেকে ২০০ টাকা যাতায়াত খরচ ও ফটোকপির ২০ টাকা গ্রহণ কি শোভনীয় এমন প্রশ্নের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তাছাড়া এ বিষয়ে সরকারি বরাদ্দ আছে কিনা আরিফুজ্জামানের নিকট তার সদুত্তর নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই তবে অভিযোগের বিষয়টি দূঃখজনক। করোনা পরিক্ষার সরকারি ফি ১’শ টাকা নেয়ার কথা। অতিরিক্ত ২২০ টাকার দায়ভার আরিফুজ্জামানকেই নিতে হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, করোনা টেস্টের জন্য মাত্র ১০০ টাকা সরকারি ফি এর বাইরে কোন খরচ নেই। ফটোকপি, হ্যান্ডগ্লোবস, স্যানিটাইজার, মাস্কসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরকারিভাবে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিধিবহির্ভূত কোন অর্থনৈতিক অসংগতির অভিযোগ প্রমান পেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিপজ্জনক চুটলিয়ার মোড়ে অবৈধ ট্রাক পার্কিং, দেখার কেও নেই
ঝিনাইদহ :: দুর্ঘটনা রোধে কয়েক কোটি টাকা ব্যায় প্রশস্থ করা হয় ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের চুটলিয়া বাঁকটি। রাস্তার দুই ধার বাড়িয়ে অনেকটা সোজা করা হয় রাস্তা। কিন্তু পুরো রাস্তা দখল করে রেখেছে ট্রাক। প্রথমে দেখলে মনে হবে এটি হয়তো ট্রাক টার্মিনাল। কিন্তু না। ট্রাকগুলো ইচ্ছামতো রাস্তার উপর রেখে ড্রাইভাররা বিশ্রাম নেন। খান হোটেলের খাবার। দীর্ঘক্ষন রাস্তার উপর ট্রাক রেখে এই যাত্রাবিরতী কাল হয়ে দেখা দিচ্ছে। রাস্তার উপর ট্রাক পার্কিং করার কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো দেখা যাচ্ছে না। ফলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় অবৈধ ভাবে পার্কিং করা ট্রাকে পাশে দাড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় বলে পথচারীদের অভিযোগ। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের সাবেক ডিসি শফিকুল ইসলামের সময় জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এই সড়টি প্রশস্থ ও বিপজ্জনক বাঁকটি সোজা করার প্রস্তাব করেন ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহম্মেদ। সভায় প্রস্তাবটি গ্রহন করে তৎকালীন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু উদ্যোগ গ্রহন করেন। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ চুটলিয়ার বিপজ্জনক বাঁকটি প্রশস্থ করে তৈরী করেন দৃষ্টি নন্দন রাস্তা। কিন্তু নির্মানের পর পরই হাইয়ে দিয়ে চলাচলকৃত ট্রাকগুলো সেখানে থামিয়ে দীর্ঘক্ষন ধরে জটলা সৃষ্টি করা হয়। যে উদ্দেশ্যে সড়কটি প্রশস্থ করা হয়েছিল তা কর্যত ব্যাহত হচ্ছে বলে অবিযোগ করেন নিয়মিত ওই সড়কে চলাচলকারী সরকারী কর্মকর্তাগন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন দ্রুত এই যানজট উচ্ছেদ না করলে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দীন জানান, করোনাকালে ওই সড়কে কম যাওয়া হচ্ছে। এর আগে আমরা বহু যানবাহনকে জরিমানা করেছি। ড্রাইভারদের সতর্ক করেছি। তিনি বলেন এখন তো কঠোর লকডাউন চলছে। কৃষি ও পচনশীল পরিবহনকে সহায়তার জন্য সরকারী ভাবে বলা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা জোরসোরে অভিযান শুরু করবো।
৬ বছর পর চুয়াডাঙ্গার শিশু শিহাব হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার
ঝিনাইদহ :: ৬ বছর পর শিশু শিহাব হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেই সঙ্গে আসামীদের গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি ও সুনিদ্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। পিবিআই সুত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের প্রবাসি তোয়াজ উদ্দীনের শিশু সন্তান শিহাব নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুই দিন পর ৩০ অক্টোবর শিহাবের লাশ পাওয়া যায় পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের ওসমান আলীর জমিতে। এ ঘটনায় নিহতর মা বিলকিস খাতুন ৬ জনকে আসামী করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সর্বশেষ পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে হত্যার প্রধান আসামী লাল্টুকে বাদ দিয়ে আদালতে ক্রটিপুর্ন ও দায়সারা চার্জসীট প্রদান করে। এই চার্জসীটের বিরুদ্ধে বাদী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করলে মামলাটি নতুন ভাবে তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ আদালত ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দেন। ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই তহিদুল ইসলাম মামলাটির তদন্তভার নিয়ে হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধারের পর প্রধান আসামী ও তার সহায়তাকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। দায় স্বীকার করে আদালতে তারা সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। মামলার সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন শিহাব বাড়ির পাশে ইমরানের দোকানে মিষ্টি কিনতে যায়। ফেরার পথে আসামী নয়ন শিহাবকে তার চাচাতো ভগ্নিপতি জমির উদ্দীন পিন্টুর কাছে নিয়ে যায়। পিন্টু নয়নকে ৫০০ টাকা দিয়ে শিহাবের বিষয়ে কাউকে কিছু না জানাতে শাসিয়ে দেয়। পিন্টুর ঘরে শিহাবকে আটকে রেখে চক্রটি গ্রামে নিখোঁজ মাইকিং করে। কুতুবপুর গ্রামের শ্রী অসিত কুমারের ভ্যান যোগে কলম ও শাহাবুদ্দীন এই প্রচার কাজে অংশ নেয়। পরিকল্পনা মাফিক রাতে প্রধান আসামী লাল্টু শিশু শিহাবের মালয়েশিয়া প্রবাসি পিতা তোয়াজ উদ্দীনের কাছে মুক্তপণ দাবী করার পরিকল্পনা নেয়। এ সব দেখে শিশু শিহাব কান্নাকাটি শুরু করলে লাল্টু শিহাবের কানে জোরে থাপ্পড় মারে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে শিহাব। চাচাতো ভগ্নিপতি পিন্টুর ঘরের মধ্যে শিশু শিহাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর অসিতের পাকিভ্যান যোগে লাশ শিবপুর গ্রামের মাঠে ফেলে আসে। লাশ টানার কাজে ব্যবহৃত পাকিভ্যানটিও পিবিআই উদ্ধার করেছে। ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই তহিদুল ইসলাম মঙ্গলার বিকালে জানান, মুলত শিশু শিহাবের প্রবাসি পিতার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করার জন্যই অপহরণ ও পরবর্তীতে হত্যার ঘটনা ঘটে। এই মামলার মুল আসামী লাল্টুকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জসীট দেয়া হয়েছিল। পিবিআইয়ের তদন্তে এজাহারের বাইরে আরো তিনজন আসামীরে সন্ধান মেলে। এসআই তহিদুল জানান, মামলাটির তদন্তভার গ্রহনের পর গত ২ মে প্রধান আসামী শিবপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে লাল্টুকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার সমোশপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৩ মে কুতুবপুর গ্রাম থেকে জিয়ারত আলীর ছেলে জমির উদ্দীন পিন্টু ও ১৩ জুন মথুর দাসের ছেলে অসিত দাসকে একই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন বলে এসআই তহিদুল ইসলাম জানান। ৬ বছর পর শিশু শিহাব হত্যার প্রকৃত ঘাতকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পরা ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের আরেকটি সাফল্য বলে তিনি দাবী করেন।
ভারতে প্রবেশের সময় মহেশপুর সিমান্তে ৯ বাংলাদেশী আটক
ঝিনাইদহ :: অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের সময় মঙ্গলবার ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অভিযানে ৯ বাংলাদেশী নারী পুরুষ আটক হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাটের স্মরনখোলা উপজেলার হোন্দাঘাটা গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী খানের ছেলে মোঃ সোলেমান খান (৪২), একই উপজেলার পশ্চিমখাদা গ্রামের মোঃ বাহাদুর খানের ছেলে মোঃ সবুর খান (২৩), পূর্ব খুন্তাকাটা গ্রামের মৃত নুর ইসলাম খানের মেয়ে মোছাঃ সালমা বেগম (৩০), যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার আমিনী গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইমন হোসেন (১৯), একই জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার মাইঝালী গ্রামের মৃত সেকেন্দার শেখের ছেলে মোঃ মোজাম্মেল হোসেন (৪০), ফরিদপুরের সালতা উপজেলার ফুলবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ আব্দুস সামাদ শেখের মেয়ে রোমা শেখ (২৪), একই গ্রামের মোঃ পান্নু শেখের মেয়ে মোছাঃ অন্তরা শেখ (১৮), শরীয়তপুর জেলার চরযাদবপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ এনায়েত হোসেন (৩৮) এবং ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ছোটঘাটপাড়া গ্রামের মৃত বিলাত আলীর মেয়ে মোছাঃ সোহাগী (৩০)। বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহেশপুর ৫৮ বিজিবির আওতাধীন বেনীপুর বিওপির চুয়াডাংগার জীবননগর উপজেলার আটপিকা নামক স্থান হতে তাদের আটক করা হয়। এরা বিনা পাসপোর্টে চোরাই পথে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। গনপরিবহন বন্ধের মধ্যে এ সব নারী পুরুষ কি ভাবে সীমানেআত জড়ো হলো তা সম্পর্কে জানা যায়নি। আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকালে পাসপোর্ট অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ১১(১)(গ) ধারায় জীবননগর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মহেশপুরের ইউএনও এবার নিজেই করোনায় আক্রান্ত
ঝিনাইদহ :: নিজে করোনার ভয় না করে ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের থাকা,খাওয়ার ব্যবস্থা,করোনা রোগীদের বাড়ী বাড়ী খাবার ও ঔষধ পৌছে দিয়ে আসছিলেন আজ সেই করোনা যোদ্ধা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীল নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানাগেছে, গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীলসহ ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীলসহ ১৮ জনের করোনা প্রজেটিভ হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ ডাঃ হাসিবুর সাত্তার জানান, মাঝে দু’দিন আক্রান্তের সংখ্যা কম খাকলেও মঙ্গলবার ১৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীলও রয়েছেন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আরো জানান,অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।