বুধবার ● ৩০ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি বিরুদ্ধে গৃহবধূ খুনের অভিযোগ
স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি বিরুদ্ধে গৃহবধূ খুনের অভিযোগ
সাইফুল মিলন, ষ্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধা সদরের সাহাপাড়ার ভবানীপুর গ্রামের গৃহবধূ লিপা বেগমকে যৌতুকের জন্য স্বামী ও তার শ্বশুর-শাশুড়ি বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগে উঠেছে। এমনকি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে পুলিশ।
আজ ৩০ জুন বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে থানায় হত্যা মামলা দায়েরসহ এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসি ও অপমৃত্য মামলা রেকর্ড করার জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেছেন নিহত গৃহবধূর অসহায় দরিদ্র পিতা রাজু মিয়া ও মা লাভলী বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, পলাশবাড়ি উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের দরিদ্র কৃষক রাজু মিয়ার মেয়ে লিপা বেগম (২০) এর সাথে সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের ছোট ভবানীপুর গ্রামের মোসলেমের ছেলে ইজিবাইক চালক হাসান আলী ৩ বছর আগে বিয়ে হয়।
ওদের ৮ মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে অহেতুক নানা দোষে হাসান আলী ও তার বাবা-মা লিপাকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করতো। এরই একপর্যায়ে গত ২৭ জুন তাদেরকে মোবাইল ফোনে খবর দেয়া হয় যে, লিপা আত্মহত্যা করেছে। তারা তখন ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। এমনকি বাড়িতে জামাই হাসান আলী ও তার পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। এরপর সদর থানার এসআই ইসলাম মল্লিক ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় এবং তাদেরকে থানায় ডাকে। থানায় যাওয়ার পর এসআই ইসলাম মল্লিক টাইপ করা একটি মামলার কাগজে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষর গ্রহণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা না জেনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুলিশ হত্যাকান্ডকে আড়াল করতে মনগড়া একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। এ
ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাজু মিয়ার পিতা আব্দুল গফুর উপস্থিত ছিলেন।