বৃহস্পতিবার ● ১ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ৭ দিনের কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে রাঙামাটিতে প্রশাসন তৎপর
৭ দিনের কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে রাঙামাটিতে প্রশাসন তৎপর
নির্মল বড়ুয়া মিলন :: করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমনের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার আজ ১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা ২১টি শর্ত দিয়ে গতকাল ৩০ জুন করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেন।
আজ ১ জুলাই বৃহস্পতিবার সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন প্রথমদিন কার্যকর করতে রাঙামাটি শহরের মানিকছড়ি, ভেদ ভেদী, কলেজ গেইট, বনরুপা, পুরতন বাস ষ্টেশন (দোয়েল চত্বর মোড়), ইন্দ্রপরী সিনেমা হল মোড়, রিজার্ভবাজার ও তবলছড়ি বাজার এলাকায় সকাল থেকে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে সল্প সংখ্যাক চলাচলকারি যানবাহন চেক করতে দেখা গেছে।
রাঙামাটি জেলা শহরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খোলা ছিল এছাড়া সকল সরকারি, বে-সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। জুন ক্লোজিং এর কারণে সকল ব্যাংক খোলা ছিল তবে কোন ধরনের ব্যাংকিং লেন-দেন হয়নি।
শহরের বনরুপা ও তবলছড়ি এলাকার সকল মার্কেট, দোকান-পাট বন্ধ ছিল। তবে রিজার্ভবাজার এলাকায় অধিকাংশ মার্কেট ও দোকান খোলা ছিল এবং জনসমাগম বেশী দেখা গেছে।
কঠোর লকডাউন প্রথমদিন কার্যকর করতে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের তদারকি করতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ ও রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন গাড়ি নিয়ে শহরে টহল দিতে দেখা গেছে।
সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন প্রথমদিন কার্যকর করতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত (মোবাইল কোর্ট) রাঙামাটি শহরে টহল দিতে দেখা গেছে। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ বাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে টহল দেন।
কঠোর লকডাউন প্রথমদিন শহরে জনসাধারনের চলাচল অনেক কম ছিল, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে লোকজন বের হয়নি। আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরী পরিসেবা কৃষি পণ্য, খাদ্যদ্রব্য, স্বাস্থ্য সেবা, রোগীবাহি গাড়ি, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা ফার্মাসিটিক্যাল ও গণমাধ্যমের গাড়ি ব্যতিত যাত্রীবাহি কোন ধরনের গাড়ি শহরের মধ্যে চলাচল করেনি।
কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে ভেদ ভেদী এলাকায় নিয়োজিত পুলিশের এসআই আব্দুর রহমান বলেন, অন্য বারের চেয়ে সাধারন জনগণ রাস্তায় অনেক কম বের হচ্ছে। মানুষজন এখনো কোন ধরনের ক্ষোভ দেখাতে দেখা যাযনি। সবার মনে করোনার ভয় লক্ষ করা গেছে।
কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে ইন্দ্রপরী সিনেমা হল মোড় এলাকায় নিয়োজিত পুলিশের এসআই সুমতি চাকমা বলেন, রিজার্ভবাজার এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রাখতে আমরা গিয়ে বার-বার বলে আসছি, ম্যাজিষ্ট্রেট স্যার মোবাইল কোর্ট নিয়ে গেলে দোকান বন্ধ করে দোকানের ভিতর বসে থাকে। মোবাইল কোর্ট এর গাড়ি চলে গেলে দোকান আবার তারা খোলে বসে। তার পরও আমরা তাদের সরকারি নির্দেশনা বুঝি বলার চেষ্টা করেছি।
কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই প্রথমদিন কঠোর লকডাউন কার্যকর হচ্ছে এবং সরকার জারিকৃত বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কর্মতৎপর বলে এসআই সুমতি চাকমা জানান।