রবিবার ● ৪ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নিন্দা
খাগড়াছড়িতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নিন্দা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক এন্টি চাকমা আজ রবিবার ৪ জুলাই সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালে এক মারমা স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও আটক ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২ জুলাই ২০২১ শুক্রবার রাতে পারিবারিক সমস্যার কারণে এক মারমা স্কুল ছাত্রী গুগড়াছড়ির বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে গতকাল শনিবার (৩ জুলাই) ভোরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বাস টার্মিনালে পৌঁছান। এসময় আনুমানিক ভোর ৪ টার দিকে বাসে তুলে কয়েকজন সেটলার মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী থানায় গিয়ে বিষয়টা পুলিশকে জানালে ঘটনায় জড়িত বাসের হেলপার মো. কামাল মিজি ও মো. রফিকুল ইসলাম-কে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর ফলে সারাদেশে কঠোর লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রশাসন তৎপর থাকা সত্ত্বেও খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালে গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের ঘটনায় প্রশাসন ও বিচারে পক্ষপাতিত্বের কারণে অপরাধী গ্রেফতার হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয় না এবং যথাযথ মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানের ওপর গোপন নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে অপরাধীরা সহজে ছাড়া পেয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রচেষ্টাকারী স্কুল শিক্ষক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য ধর্ষণ ও ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক কোন শাস্তি প্রদান করা হয়নি।
বিবৃতিতে তিনি মারমা স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের ঘটনায় যথাযথ মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানে গোপন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং সারা দেশে নারী নির্যাতন বন্ধের জোর দাবি জানান।