রবিবার ● ৬ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাঙামাটিতে সাংবাদিক জামাল হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
রাঙামাটিতে সাংবাদিক জামাল হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৬ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় দুপুর ১.৩০মিঃ) দীর্ঘ নয় বছরেও ধরা পরেনি রাঙামাটি জেলার তরুন সাংবাদিক জামাল উদ্দিন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা। কোন প্রকার রহস্য উর্দঘাটন হয়নি এ হত্যাকান্ডের। এখনো জানা যায়নি কারা জামাল হত্যাকান্ডের মূলহুতা। ২০০৭ সালের ৫ মার্চ জামাল নিখোঁজ হয়, ঠিক তার এক দিন পর ৬ মার্চ বিকাল ৪টায় রাঙামাটি জেলার পর্যটন এলাকার
হেডম্যান পাড়ার পাহাড়ের একটি গাছের নীচ থেকে রক্তাত্ব অবস্থায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সেসময় জামালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন দেখাযায়। পুলিশের সুরতহাল রির্পোটে নিশ্চিত করা হয় যে জামাল উদ্দিনকে খুব নির্যাতনের পর খুন করা হয়।
দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিক জামাল উদ্দিনের হত্যার কোন বিচার পাইনি,এই নিয়ে হতাশ এবং ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া করেছেন রাঙামাটির সাংবাদিকরা। তারা মনে করেন অদৃশ্য শক্তির কারণে সাংবাদিক জামালের হত্যার বিচার হচ্ছে না।
রাঙামাটি জেলার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে রাঙামাটির রাজনৈতিক দল,পেশাজীবী সহ বিভিন্ন স্থরের মানুষ একাদ্মতা প্রকাশ করেন এই সময় ক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা বলেন শুধুমাত্র জামাল নয় সাগর-রুনি নয়, দেশের বিভিন্নস্থনে যেসব সাংবাদিক খুন হয়েছে তারাও কোন বিচার আজ পর্যন্ত পেয়েছে বলে আমরা জানি না।
এ বিচার হবে কি না তানিয়ে সংকট রয়েছে । এদের বিচার না হওয়ায় সাংবাদিকদের প্রতি আস্তা হারাছে সাধারণ মানুষ।
দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক একে মকছুদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠিত মানববন্ধনে রাঙামাটি জেলার স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং আনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী ব্যাক্তিরা অংশ গ্রহন করেন। অবিলম্বে বক্তরা বলেন যত দ্রুত সম্ভব তরুন সাংবাদিক জামাল হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও দোষিদের দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মানববন্ধনে মো: জামাল উদ্দিনের ছোট বোন সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু বলেন, রাঙামাটি চীপ জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে হত্যান্ডের মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত করে ২২-৪-০৮ সালে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। জামালেল পরিবার নারাজীর আবেদ করার পর পুণরায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তা জেলা গোয়েন্দ শাখার অধিকতর তদন্ত জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্ত শেষে ০৭-০৩-১০ সালে পুনরায় চুড়ান্ত রির্পোট দাখিল করে। কিন্তু জামালের পরিবার তা নারাজী দিলে পুনরায় ০৯-০৫-২০ সালে বিঙ্গ আদালত পুনরায় তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশের নিকট দেয়া হয়। তাদের তদন্তর পর তিনটি সংস্থার রিপোর্ট দাখিল করে,কিন্তু তারা কোন কিছু পায়নি তদন্ত কর্মকার্তারা। চুড়ান্ত রির্পোটের পর মামলাটির কোরন ভিত্তি নাই বলে মামলাটি নথিজাত করে এবং আসামীদেরকে মামলা দায় হতে অব্যহতি প্রদান করা হয়।
জামালের বড় ভাই বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে আপিল। মামলা নং ৮/১১। মো: জামাল উদ্দিন হত্যা মামলাটি বর্তমানে মামলাদিন রয়েছে। তিনি আরো বলেন সাংবাদিক হওয়াটা কি ছিল আমার ভাইয়ের অপরাধ, যারা দেশওজাতির জন্য কথা বলে তাদের কেহ নিরাপত্তা দেয়না যার প্রমান সাংবাদিক জামাল হত্যা। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার পায়নি, হত্যার সুবিচার চাই।
এই দিকে জামালের পরিবারের সূত্র জানায় যায়, ২০০৭ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারী রাঙামাটি শহরের বানিজ্য কেন্দ্র বনরুপার আলিফ মার্কেটের ছাদের উপরে গড়ে তোলা একটি জুয়ার ক্লাবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সুপ্রভাত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়, সে দোয় চাপানো হয় জামালের উপর, সে সংবাদ জামাল করে নাই ,কারণ সে ওই পত্রিকায় প্রতিনিধি ছিল না।
সে ক্লাবের সদস্যরা থাকে একা পেয়ে আলিফ মার্কেটর অন্ধকার গলিতে নিয়ে এলোপাতারি কিল-ঘুসি মারতে থাকে একপযায়ে থাকে গাড়িতে তুলি নিয়ে যেতে চেয়ে ছিল। সেসময় রাস্তায় নিয়মিত টহলে ছিল সেনাবাহিনীর দল ,সেদিন সে টহল দল তাদের হাত থেকে জামাল কে উদ্ধারর করে। সে সময় আটক করা হয় হাফিজুল হাসানকে। তখন জামাল তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন, মামলা করার পর প্রায় সময় আসামীরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে যেনো মামলা তুলে নিতে।
ঘটনার পর জামাল বাসা থেকে কম বের হতো,অবশেষে যেদিন বাসা থেকে বের হয় সেদিন আর ফিরতে পারেনি জামাল, এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন কি ছিল জামাল হত্যার কিলিং মিশিনের মূল হোতা ? নাকি প্রভাবশালি মহলেও অদৃশ্য কোন শক্তি! জামাল ২০০৬ সালে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির রাঙামাটি জেলা প্রথিনিধি ছিলেন ,এছাড়া দৈনিক গিরিদর্পণের বার্তা প্রধান, দৈনিক বর্তমান বাংলা, দৈনিক করতোয়া বার্তা সংস্থা আবাসসহ সাংবাদিক পেশায় ১০ বছর কাজের দক্ষতার ছাপ রাখেছিলেন জামাল উদ্দিন ।