মঙ্গলবার ● ১৩ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে লকডাউন প্রত্যাহার
স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে লকডাউন প্রত্যাহার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন সর্বাত্মক লকডাউনের পর এখন হঠাৎ অপরিকল্পিতভাবে সবকিছু খুলে দেবার সিদ্ধান্ত সংক্রমনজনীত পরিস্থিতিকে আরো শোচনীয় করে তোলার গুরুতর আশঙ্কা তৈরী করেছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যেই করোনা সংক্রমন ও মৃত্যু যখন ভয়ানক উর্ধ্বগতিতে তখন বাস্তবে লকডাউন তুলে নেবার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি আত্মঘাতি ও বিপজ্জনক। স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের মতামত ও সুপারিশ অগ্রাহ্য করে ১৫ জুলাই থেকে সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ফলে দেশের জনগণ যে আরও বিপদগ্রস্ত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরিবর্তে উল্টো আগামী কদিন সামাজিক মেলামেশার মধ্য দিয়ে গোটা বাংলাদেশই করোনার হটস্পটে পরিণত হবে এবং মানুষের সংক্রমনজনীত প্রাণহানির ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে তুলবে। বোঝা যাচ্ছে সংক্রমন মোকাবেলায় সরকার উল্টো পথে হাঁটছে।
তিনি উল্লেখ করেন আগামী দুই/তিন সপ্তাহকে যখন বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক হিসাবে চিহ্নিত করছেন তখন সরকারের এই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের যুক্তি কোথায় ? তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন একটি দুর্যোগকালীন সময়ে অভাবী মানুষের দায়িত্ব নিতে পারায় সরকার এখন দেশের মানুষকে আল্লাহর ওয়াস্তে ছেড়ে দিয়েছে। সরকারের এসব হঠাকারী পদক্ষেপের অর্থ হচ্ছে যে যেভাবে পার বাঁচো। এটা সরকারের দায়িত্বহীনতার আরও একটি উদাহরণ।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনের পাশাপাশি নিশ্চয় জীবিকা রক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে। মহামারীকালের এই সময়ে জীবিকা রক্ষায় সরকারের বহুমাত্রিক ভূমিকা নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যে এই দুর্যোগকালে সরকারকেই অভাবী সাধারণ মানুষের দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের কাছে খাদ্য ও নদ অর্থ পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি স্বেচ্ছাচারী পন্থায় অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি টিকা প্রদান কার্যক্রম আরো জোরদার করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণেও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান।