রবিবার ● ১৮ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » বিশ্বনাথে ওলকচু চাষ করে লাভবান হওয়ার সপ্ন আপ্তাব আলীর
বিশ্বনাথে ওলকচু চাষ করে লাভবান হওয়ার সপ্ন আপ্তাব আলীর
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ওলকচু চাষ করে লাভবান হওয়ার সপ্ন দেখছেন সিলেটের বিশ্বনাথের আপ্তাব আলী। সে উপজেলার কৃষিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ওলকচু’র চাষাবাদ। উপজেলায় প্রথমবারের মতো উচ্চফলনশীল এ সবজি চাষ করেছেন আফতাব আলীর নামের এক কৃষক।
স্থানীয়ভাবে অনেকটা অপরিচিত এ সবজি থেকে দ্বিগুণ মুনাফার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সরেজমিনে অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ২০ শতক উঁচু জায়গার উপর ওলকচু চাষ করেছেন তিনি।
বাগানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে, বেড়ে উঠছে সারি সারি সবুজ ওলগাছ। কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পাতাগুলোকে দু’দিকে সাজিয়েছে গাছগুলো। এছাড়াও পাশাপাশি পৃথক পৃথক জায়গায় তিনি চাষ করেছেন মাল্টা-কমলাও। এসময় গাছের পরিচর্যা করছিলেন কৃষক আফতাব আলী।
তিনি জানান, স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন এ সবজি ‘ওলকচুর প্রদর্শনী’ আনেন তিনি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা নিয়ে গেল এপ্রিল মাসে ২০ শতক জায়গায় চাষ করেন ওল। নাটোর থেকে ২৮ হাজার টাকায় বারি ওলকচু-১ জাতের ৭ মণ বীজ সংগ্রহ করে রোপণ করেন জমিতে। রোপণের দেড় মাসেই গজিয়ে ওঠে গাছ।
অল্পদিনেই পূর্ণতা পায় বাগান। সবমিলিয়ে এ প্রকল্পে খরচ হয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। প্রত্যেক গাছের শেকড়ে মাটির নিচে সাধারণত ২০ কেজি ওজনের ওলকচু’র গুঁড়িকন্দ জন্মে। আগামী অক্টোবর মাসে ফসল উত্তোলন করবেন তিনি। প্রকৃতি সদয় থাকলে এ জমি থেকে পাওয়া যাবে ২০০-২৫০ মণ ওল।
সে হিসাবে খরচ বাদে ৮০-৯০ হাজার টাকা মুনাফা করার স্বপ্ন রয়েছে তার।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মনোজ কান্তি দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, সব অঞ্চলেই উঁচু জমিতে ওলকচু চাষ করা যায়। অল্প ও পরিত্যক্ত জমিতে ওল চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। ওল চাষে চাষীদের সবধরণের পরামর্শ ও উৎসাহ দিচ্ছি আমরা।
প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার টাকা ইউপি সদস্যের পকেটে
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার অর্থ নিজ পরিবারেরর ৯ সদস্যের নামে টাকা তুলে নিয়েছেন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য।
বিয়ষটি জানাজানি হবার পর সোস্যালমিডিয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তীর্যক মন্তব্য করেছেন অনেকেই। ঘটনাটি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের।
সূত্র জানায়, গত ( ১৩ জুলাই) দুপুরে দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন-দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। ওইদিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুনু মিয়া, ১ হাজার টাকা করে ২শ ৭৫ জনের মধ্যে ২লক্ষ্য ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করেন। ২শ ৭৫ জনের মধ্যে, ইউপি সদস্য হিসেবে মো. নূর আলী, নিজ ৮নং ওয়ার্ড’র বল্লভপুর, বাইশঘর ও করচাকেলী গ্রাম থেকে ২৫জন কর্মহীন-দুস্থদের নাম তালিকাভূুক্ত করেন।
তার তালিকাভূক্ত নামগুলিতে দেখা যায়, ২৫ জনের মধ্যে তিনিসহ ৯ জনই তার পরিবারেরর সদস্য। প্রকৃত কর্মহীনদের বঞ্চিত করে, তিনি তার মা-বাবা, ৪ ভাই, স্ত্রী-সন্তান ও নিজ নামে মানবিক সহায়তার ৯ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
বক্তব্য জানতে চাইলে, তিনিসহ পরিবারে ৯ জনের নামে দুস্থদের মানবিক সহায়তা নেয়া বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি সদস্য মো.নূর আলী সাংবাদিকদের বলেন, অনেকে সময় মতো জাতীয় পরিচয়পত্র জমা না দেয়ার, আমাদের কার্ড দিয়ে টাকা এনেছি। যাতে পরবর্তীতে অন্যদের মধ্যে বন্টন করা যায়।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরপ্রশাসক সুমন চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্বনাথে ২৩ বোতল মদসহ জালাল আটক
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ২৩ বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েস মদসহ জালাল মিয়া (৩০) নামের চিহিৃত এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আজ রবিবার ১৮ জুলাই বিকেলে উপজেলার বিশ্বনাথ-লামাকাজী সড়কের কাদিপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশ। সে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার চারকান্দি বগারঢুবি বাজার গ্রামের মৃত ছাদিক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানান, থানার এসআই অরূপ সাগর গুপ্ত’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী জালাল মিয়াকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ২৩ বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েস মদ জব্দ করা হয়। আটককৃত জালাল দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ পৌর শহরের টিএনটি রোডস্থ মনির মিয়ার কলোনিতে বসবাস করে মাদক বিক্রি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
আটকের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান।