রবিবার ● ১৮ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » ব্যবসায়ীদের যোগসাজশেই ভরা মৌসুমে চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ানো হয়েছে
ব্যবসায়ীদের যোগসাজশেই ভরা মৌসুমে চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ানো হয়েছে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আকবর খান আজ এক বিবৃতিতে ধানের ভরা মৌসুমে মোটা চালসহ চালের দামের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন মিলার ও ব্যবসায়ীদের অসৎ সিণ্ডিকেটের যোগসাজসেই স্বেচ্ছাচারীভাবে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। তারা উল্লেখ করেন এ বছর বেরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের কাছে ৩০ লক্ষ মেট্টিক টনের উপর সংগ্রহে রয়েছে। বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এই অবস্থায় চালের দাম বাড়ার যৌক্তিক কোন কারণ নেই। তারা ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন ৪৮ থেকে ৫০ টাকার কমে এখন কোন মোটা চালই নেই। মাত্র এক মাসের ব্যবধানেই কেবল মোটা চালের দামই বাড়ানো হয়েছে কেজি প্রতি ৬ থেকে ৮/১০টাকা পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের গরীবসহ শ্রমজীবী- মেহনতি ও স্বল্প আয়ের মানুষ বড় বিপদে পড়েছে। চালের এই মূল্যবৃদ্ধি তাদের জীবনে গোদের উপর বিষফোড়ার মত।
তারা বলেন, ধান কলের মালিক-ব্যবসায়ী-ফড়িয়ারা মানুষকে রীতিমত জিম্মি করে ফেলেছে। সরকারের কোন মনিটরিং ও নজরদারী না থাকায় এই দুষ্টচক্র যা খুশী তাই করে চলেছে। তারা বলেন, এমনিতেই করোনা মহামারীতে শ্রমজীবী- মেহনতি মানুষ জীবন-জীবিকা চরম বিপর্যস্ত। তখন এই বাজার সিণ্ডিকেটের দৌরাত্মে তাদের জীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে চালের দাম কমিয়ে আনতে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ, অসৎ মিলার ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গ্রামাঞ্চলে রেশনিং ব্যবস্থা চালুরও দাবি জানান। তারা দারিদ্রসীমার নীচে নেমে আসা দেড় কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য ও নগদ টাকা পৌঁছানোরও আহ্বান জানান। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা তহবিলের অর্থের নয়-ছয় বন্ধ করে প্রকৃত অভাবীদেরকে এই অর্থ প্রদানের দাবি জানান।