সোমবার ● ১৯ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » ভূঁয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
ভূঁয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে সাংবাদিক পরিচয়ে ফেসবুক লাইভে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপ্রপচার করায় এক ভূঁয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ১৮ জুলাই বিকেলে বিশ্বনাথ থানায় এ ডায়েরী (জিডি নং-৭২৫) করেন ‘দৈনিক সবুজ সিলেট’র বিশ্বনাথ প্রতিনিধি, প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু।
সাধারণ ডায়েরীতে প্রকাশ, উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের মৃত সমছু মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক আনোয়ার হোসেন (৩৮), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেকে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
সে তার ইউটিইউব ‘‘.সিলেট নিউজ ২৪’’ চ্যানেল ও নিজ নামে নামীয় ফেসবুক আইডি (আনোয়ার হোসেন) খুলে নিজে নিজেকেই চীফ রিপোর্টার’র দায়িত্ব দিয়ে হলুদ সাংবাদিকতায় লিপ্ত হয়। গত (১৭ জুলাই) সে ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুকে দৈনিক সবুজ সিলেট ও সাংবাদিক তজম্মুল আলী রাজুর বিরুদ্ধে অর্থের দ্বার প্রভাবিত হয়ে মিথ্যে-বানোয়াট ও মানহানিকর ভিডিওচিত্র পোষ্ট করে ছড়িয়ে দেয়। এতে সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে মানহানি ও চরম ক্ষতির সম্মুখিন হন তিনি। তার এমন কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকার একাধিক মানুষ।
জানা যায়, আনোয়ারের পিতা সমসু মিয়া ছিলেন নিরীহ আইসক্রিম বিক্রেতা। তিনি ফেরি করে গায়ে গায়ে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে। আনোয়ার একসময় জীবিকার তাগিদে সে গাড়ি চালকের পেশায় নিয়োজিত হয়। ঢাকায় প্রাইভেট গাড়িতে চাকুরীরত অবস্থায় চাকুরী চলে যাবার পর এলাকায় এসেই একদিনে সে সাংবাদিক’ বনে যায়।
এ বিষয়ে কথা বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, সাধারণ ডায়েরীর আলোকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
দিনদুপুরে দুটি বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে দুটি বাসায় দিনদুপুরে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে পৌর শহরের নতুন বাজার শামীম মেমোরিয়াল রোডস্থ লুবিয়ান কমপ্লেক্সর ২য় তলার দুটি ফ্লাটে এই ঘটনা সংগঠিত হয়। ওই দুটি ফ্লাটে শুকুর আলী ও হাফিজুল করিম দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়ে হিসেবে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছেন।
জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা দিকের পারিবাকি প্রয়োজনীয় কাজে দুটি পরিবারের সকল সদস্য তাদের নিজ নিজ ফ্লাটের দরজা তালাবদ্ধ করে বাহিরে চলে যান। আর এই সুযোগে চুরেরা বাসার দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে।
এসময় চুরেরা শুকুর আলী বাসায় রক্ষিত স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ সাড়ে ১৩ হাজার টাকা এবং হাফিজুল করিমের বাসায় রক্ষিত স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে প্রায় সাড়ে ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ সাড়ে ৪০ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে পরিবারের লোকজন বাসায় ফিরে দেখতে পান ঘরের দরজা ভাঙ্গা ও স্টীলের মালামাল এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে। বিষয়টি তারা থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার এসআই অমিত সিংহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এখলাছুর
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে মিরেরগাও গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলী ছেলে এখলাছুর রহমান গত (১৭ জুলাই) শনিবার বিকেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, একই গ্রামে পরতাব আলীর বাড়িতে ছাদের উপরে কাজ করতে গিয়ে দিনমজুর এখলাছুর রহমান হঠাৎ করে বিদ্যুতের মেইন লাইনে শট খেয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হন। আহত এখলাছুর রহমানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এখলাছুর রহমান।
আধাঘন্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে স্ত্রীর মৃত্যুর অধাঘন্টার ব্যবধানে শোকে মারা গেলেন স্বামীও। একইসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল ( ১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলার খাজান্সি ইউনিয়নের পশ্চিম রহিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রহিমপুর গ্রামের ছবর আলী (৮০)’র স্ত্রী আনিছা বেগম (৭৫) আজ সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভূগছিলেন। বিকেলে অনেক স্বাভাবিক ভাবেই শরীর নিয়েই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন স্বামী ছরব আলীও চিকিৎসা নিতে সিলেট শহরে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে মোবাইল ফোনে তাকে স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ জানানো হলে, শোকে তিনিও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে হার্ট এ্যাটাকে মারা যান তিন। মৃত্যুকালে তারা ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ছবর আলীর ছোটভাই আঞ্জব আলী জানান, রোগে ভূগলেও তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই স্বাভাবিক ছিলেন। পরিবারের সবার সাথে কথা বলেই বিকেলে তারা পৃথক ভাবে ডাক্তার দেখাতে যান। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় প্রথমে স্ত্রী ও পরে অধাঘন্টার ব্যবধানে তিনিও মারা যান। আজ সোমবার সকাল ১১টায় একই সঙ্গে তাদের জানাযা হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তালুুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অত্যান্ত হৃদয়বিদারক। তাদের পরিবারকে সান্তনা জানানোর ভাষা নেই। আমি মরহুম ছরব আলী ও তার স্ত্রীর বিদেহী আত্মার গাফিরাত কামনা করছি