শিরোনাম:
●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   দীপংকর তালুকদার এর অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজয় দিবস পালিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ২৩ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা
শুক্রবার ● ২৩ জুলাই ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা

ছবি: সংবাদ সংক্রান্ত-চাইথোয়াইমং মারমা।চাইথোয়াইমং মারমা, রাজস্থলী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি :: আজ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব আষাঢ়ী পূর্ণিমা। এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এ পূর্ণিমা তিথিতে রাজকুমার সিদ্ধার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ, গৃহত্যাগ, সারানাথের ঋষি পতন মৃগদাবে পঞ্চবর্গীয় ভিক্ষুদের কাছে ভগবান বুদ্ধের ধর্মচক্র প্রবর্তনসূত্র দেশনা হয়েছিল।

পার্বত্য চট্রগ্রাম পাহাড়ের বসবারত মারমাদের আজকের দিনটিকে মারমা ভাষায় ওয়াছো নামে সকলে কাছে পরিচিত। সকাল হতে বিহারে গিয়ে অবস্থানরত দায়ক ও দায়ীকারা সাদা পোষাক পড়ে অস্টমশীল পালন মধ্যে দিয়ে মারমাদের ওয়াছো শুরু। এরপর গৌতম বৌদ্ধের প্রতি বুদ্ধ পূজা, ফুল পূজা,প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে থাকে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় মারমা সম্প্রদায়ের নর-নারীরা নতুন নতুন নিজের ঐতিহ্যবাহী থামী পোষাক পড়ে টিফিন কেরি ভাত হাতে নিয়ে বিহারে সারিবদ্ধ যেতে দেখা যায়। ঐ টিফিন কেরি ভাত গুলি প্রথমে গৌতম বুদ্ধ কাছে পূঁজা করি। তারপর বিহারেধ্যক্ষ গুরু ভান্তে নিকট দুপুরে খাবার দান করে আশীর্বাদ গ্রহ ন করে নেয়, বিহারে বিহারেধ্য ক্ষ ও আজ এই দিন হতে তিন মাস বর্ষবাস পালনে শুরু। বিহার ভান্তেকে এই তিন মাস কোন বিহারে গিয়ে রাত যাপন অবস্থান হতে বিরত থাকতে হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত সকল মারমা সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীরা আজকের দিন টিকে ওয়াছো উৎসব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সাথে পালন করি।এ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উৎসব বা মারমা সাক্রই ২৫৬৫ বুদ্ধাব্দ। বিকাল তিনটায় সকলে নারী ও পুরুষ রা সারিবদ্ধ ভাবে বিহারে গিয়ে গৌতম বুদ্ধ কাছে পঞ্চশীল অস্টশীল গ্রহণ করি।
এই মারমা ওয়াছো উৎসব ধর্মীয় পালনে মধ্যে দিয়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষরাও শান্তি সমৃদ্ধি বসবাস করতে পারি প্রার্থণা করছি। মারমা সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ ধর্মের রীতিমতো কেউ কেউ তিনমাস কোন মাছ মাংস খাবার হতে বিরত রাখে। অনেকে তিনমাস নিরামিষ শাকসবজি খেয়ে জীবন ধারন করছে। বৌদ্ধ ধর্মের ত্যাগের প্রকৃত মহা সুখ হিসেবে সকলে কাছে পরিচিত লাভ করছে। যে জীবনে যতদিন বেঁচে থাকব সে ততদিন সব কিছু ত্যাগ করতে পারে,তখন সে ধর্মের পরিপূর্ণ লাভ করবে কর্মে সুফল পেতে পারি। তাই সকল বৌদ্ধ মারমা সম্প্রদায়ের লোকরা অহিংসা পরম ধর্ম কে বিশ্বাস করি, এবং পাপকে ভয় করে পাপীকে নয়। মারমা সম্প্রদায়রা প্রতি বছর ওয়াছো উৎসব নিয়মিত পালন করে থাকি। মারমা সম্প্রদায়রা হাজার হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ ধর্মের অনুসারী ও পালন করছি। আজকের ওয়াছো উৎসব সকলে মারমা জাতি কাছে বড় মনে করি। সন্ধ্যায় বেলায় মারমা সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ ধর্মের রীতিমত ফানুস উড়ে থাকে। সব্বে স ত্তা সুখিতা হোন্ত, জগৎতে সকল প্রাণী সুখী হউক। আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের অন্যতম সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

গৌতম বুদ্ধ যেমন নিজ প্রচেষ্টায় জীবনের পূর্ণতা সাধন করে মহাবোধি বা আলোকপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং জগজ্জ্যোতি বুদ্ধত্বপ্রাপ্ত হন তেমনিভাবে পূর্ণ চন্দ্রের মতো নিজের জীবনকে ঋদ্ধ করাই প্রতিটি বৌদ্ধের প্রচেষ্টা। আষাঢ়ী পূর্ণিমা’র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধরা এই প্রচেষ্টার প্রতি তাদের অঙ্গীকার নবায়ন করে থাকে। শুধু সাধারণ বৌদ্ধ নয়, ভিক্ষুদের জন্যও আষাঢ়ী পূর্ণিমা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

বৌদ্ধরা এদিনটিকে সচরাচর শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা হিসেবে অভিহিত করে থাকে। ভিক্ষুদের অন্যতম বাৎসরিক আচার বর্ষাবাস শুরু হয় আষাঢ়ী পূর্ণিমাতে; শেষ হয় আশ্বিনী পূর্ণিমাতে। বর্ষাকালে সিক্ত বসনে এদিক-ওদিক ঘোরা-ফেরা করা, বস্ত্র তুলে চলা-ফেরা করা মানায় না বিধায় যেখানে-সেখানে ভিক্ষুদের বাস না করে গৌতম বুদ্ধ বর্ষাবাস গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বৌদ্ধ বিনয় মতে যে ভিক্ষু বর্ষাবাস যাপন করেন তিনিই কঠিন চীবর লাভের যোগ্য হন। বর্ষাবাস যাপন ব্যতিরেকে চীবর লাভ করা যায় না। যে বিহারের ভিক্ষু বর্ষাবাস যাপন করবে না, সেই বিহারে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানও করা যাবে না। বর্ষাবাসের জন্য ভিক্ষুরা সংঘারাম, বিহার ও সাধনাকেন্দ্র বেছে নেয়।

আজ একই তিথিতে শ্রাবস্তীর গন্ডম্ব বৃক্ষমূলে প্রতিহার্য ঋষি প্রদর্শন, মাতৃদেবীকে ধর্মদেশনার জন্য তুষিতস্বর্গে গমন এবং ভিক্ষুদের ত্রৈমাসিক বর্ষাবাস আরম্ভও হয়।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)