শুক্রবার ● ২৩ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাইফুল মিলন, ষ্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ও সদর থানায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার ২৩ জুলাই দুপুরে সদরের বাটিকামারী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আক্তার তার শাশুড়ির দায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করার অভিযোগ এনে নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিনা আক্তার জানান, গত (১৮ জুলাই) রবিবার দুপুরে শাশুড়ি হঠাৎ অসুস্থ হলে স্বামী জাহিদুল শাশুড়িকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্ত পরিক্ষাসহ অন্যান্য পরিক্ষা দিয়ে তা বাহিরের প্যাথলজি থেকে করে আনতে বলেন এবং রোগীকে ভর্তির পরামর্শও দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিক্ষাগুলো করে ঘন্টা দুয়েক পর রিপোর্টসহ জেলা হাসপাতালে গেলে পূর্বের চিকিৎসককে না পেয়ে নতুন ডিউটিতে যোগদান করা চিকিৎসক সুজন পালকে দোখান।
দায়িত্বরত চিকিৎসক সুজন পাল প্যাথলজিকাল রিপোর্ট ও রোগীকে দেখে বলেন আপনার রোগী সুস্থ্য আছে বাসায় নিয়ে যান রক্ত দিতে হবে আগামীকাল আসেন রক্ত দিয়ে দিবো। রোগীর স্বজনরা বারবার অনুরোধ করলেও তার অসুস্থ শাশুড়িকে ভর্তি করাননি চিকিৎসক সুজন পাল। রোগীকে বাসায় না নিয়ে জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করলেও চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান তার শাশুড়ি।
বিনাচিকিৎসায় শাশুড়ির মৃত্যুতে স্বজনরা কান্নারত অবস্থায় চিৎকার করলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুজন পাল ও কিছু মাস্তান টাইপের লোকসহ তার মৃত শাশুড়িকে তারাতারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং স্টিল পাইপ দিয়ে মারতে উদ্যত হয়। চিকিৎসকের এমন আচরণে প্রতিবাদ করলে চিকিৎসক চড়াও হয়ে নার্স বয়রা মিলে স্বামী জাহিদসহ স্বজনদের এলোপাতারি মারপিট করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
তিনি আরো উল্লেখ করেন চাপের মুখে শাশুড়ির মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফন করেন স্বজনরা। কিন্তু পরদিন তারা জানতে পারেন মৃত শাশুড়িকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো অভিযোগ এনে জেলা হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে গত (২৩ জুলাই) সকালে রিনা আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে মামলা না নিয়েই ফিরিয়ে দেন পুলিশ। ভুক্তভোগীদের থানায় মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হলো কেন তা সাংবাদিকদের মাধ্যমে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়েছেন ভুক্তভোগী এই পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে রিনা আক্তার ও তার ভাই ফরহাদ ও আবুল মেম্বর উপস্থিত ছিলেন।