শনিবার ● ২৪ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ
ঝালকাঠিতে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে পরকিয়াপ্রেমে বাধা দেয়ায় সানজিদা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাষরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । আর এ অভিযোগ খোদ স্বামী এনামুল হক ডাকুয়া (২৮) এর বিরুদ্ধে । গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার নৈকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । ওই দিন দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে । ময়না তদন্তের পর লাশ নিহতের গ্রামের বাড়ি নলছিটির রানাপাশায় দাফন করা হয় । এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে । অপমৃত্যু মামলা নং ১৪ তারিখ ২২/০৭/২১ ।
নিহত গৃহবধু সানজিদা আক্তার মিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান ও চাচা আফজাল হোসেন অভিযোগ করে জানান, এক বছর আগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নৈকাঠি গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ ডাকুয়ার ছোট ছেলে এনামুল হক ডাকুয়ার সাথে নলছিটির রানাপাশার শাহ আলম হাওলাদারের একমাত্র মেয়ে সানজিদা আক্তার মিমের বিবাহ হয় । বিবাহের পরপরই সানজিদা বুঝতে পারে তার স্বামী এনামুলের সাথে বড় ভাই সবুজের স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে । বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্বামীর সাথে ঝগড়া-ঝাটি হয় এবং সানজিদা রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়, আবার কিছুদিন পর এনামুল তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিয়ে আসে । গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.১০ মিনিটের সময় এনামুল ফোন করে সানজিদার ভাই মেহেদী হাসানকে জানায় যে “ আপনার বোন অসুস্থ্য , আপনারা চলে আসেন ” ১৫ মিনিট পর এনামুল আবার জানায় “ আপনার বোন মারা গেছে ”। মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, “ আমার ভগ্নিপতি এনামুলের ফোন পেয়ে দুপুর দুইটার সময় আমি ও আমার চাচা নৈকাঠি গ্রামে আমার বোনের বাড়ি পৌছে দেখতে পাই আমার বোনকে বসত ঘরের খাটের ওপর মৃত অবস্থায় শুইয়ে রাখা হয়েছে ”। “ আমার বোনের শরীরের কোমরের ওপরের অংশ সহ বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের কাল দাগ রয়েছে, আমার ভগ্নিপতি আমাকে জানায় আমার বোন গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ”। নিহত সানজিদার চাচা আফজাল হোসেন অভিযোগ করেন, আমার ধারণা আমার ভাতিজিকে গলাটিপে বা অন্যকোন উপায়ে শ্বাষ রোধ করে হত্যা করে, আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। স্ত্রীর জানাজা নামাজে এনামুল উপস্থিত ছিল না, সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আশা করি পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে । পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে এবং আদালত খুললে আমরা এনামুল এবং তার বড়ভাইর স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করবো । অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই অচিন্ত কুমার পাল বলেন, গৃহবধু সানজিদা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক বিধায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে লাশ পোস্টমর্টেম করা হয়েছে । ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শ্বাষরোধের বিষয়টি আসলে অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে । এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এনামুল হোসেন ডাকুয়ার বক্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত ০১৮৭০৩৮৯১৮১ এবং ০১৩১৭৮৭৮৭৩৪ নম্বরে একাধিকবার কল দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায় ।