রবিবার ● ১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কুষ্টিয়া ভাদালিয়াপাড়া মাদকপল্লীর ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া
কুষ্টিয়া ভাদালিয়াপাড়া মাদকপল্লীর ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া পাড়াটি কথিত কয়েকজন নেতার ইন্ধনে দীর্ঘ এক যুগ ধরে মাদক পল্লীতে রূপান্তরিত হয়েছে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয়রা প্রতিবেদককে জানিয়েছে। এ বিষয়ে গত বুধবার ভাদালিয়া পাড়াতে সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে মাদক ব্যবসায়ী ছানো ও হাসানের স্ত্রী সরাসরি প্রতিবেদকদের কাছে স্বীকার করেন যে, আমাদের এখানে প্রতিটা পরিবারই গাঁজা বিক্রী করে, আমরাও করি। তারা এটাও বলেন, গত মঙ্গলবার গাজা বিক্রয়কে কেন্দ্র করে আমাদের এলাকায় একটি হট্টগোল ও সৃষ্টি হয়।
ছানোর স্ত্রী প্রতিবেদককে বলেন, আমার শ্বশুর রহমান সাধু ও আমার শাশুড়ি প্রায় বিশ বছর ধরে গাঁজা বিক্রি করে আসছেন তারই সুবাদে আমার স্বামী ছানো ও আমি গাঁজা বিক্রি করে আসছি। উল্লেখ্য যে, ছানো গাঁজা বিক্রি করে আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন ভাদালিয়া পাড়াতে। গত ৫ বছর আগেও তার এমন বাড়ি ছিল না। ছিল মাঠের মধ্যে একটি কুঁড়েঘর। ছানো শুধু আলিশান বাড়িই করেননি তার ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখা গেছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে হাসানের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের পাড়াতে সকলেই ব্যবসা করে আমরা বাদ যাবো কেনো। আমাদের পাড়াতে মোট ৭ জন ব্যবসায়ী আছে তারা বড় বড় চালান এনে ব্যবসা করছে। তিনি এটাও বলেন আমার স্বামী গাজা এনে দেয় আর আমরা বাসায় বসেই বিক্রি করি।
উল্লেখ্য এই দুইজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবেদক এর কাছে অবলীলায় স্বীকার করলেন যে আমরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা এটাও বলেন, আমাদের কাছে সকলেই আসে আমরা মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা করি। তাদের সঙ্গে কথা বলার এক ফাঁকে ছানোর স্ত্রী মোবাইলে কল দেন উক্ত এলাকার সাবেক মেম্বার সাইফুল এর কাছে। ফোনটি প্রতিবেদক এর কানে ধরিয়ে দেন, তিনি প্রতিবেদককে রিকোয়েস্ট করে বলেন নিউজ না করার জন্য। তিনি এটাও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি না করাটাই ভালো তারা ব্যবসা করছে করতে দেন নিউজ করার দরকার নাই।
এমতাবস্থায় ভাদালিয়া পাড়া সহ আশপাশের গ্রামবাসীরা বলেন, অতি দ্রুত ভাদালিয়া পাড়ার মাদক পল্লী থেকে সকল মাদক ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, মাদকের ভয়াল থাবায় আশপাশের যুবসমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। এই দিকটা বিবেচনা করে উক্ত মাদক পল্লী উচ্ছেদ জরুরি হয়ে পড়েছে।