সোমবার ● ২ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » নবীগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে তিন গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
নবীগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে তিন গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শাখোয়া,করগাঁও,গুমগুমিয়া ৩ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আশংকাজনক অবস্থায় দু’জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫ ঘটিকায়।
স্থানীয়রা জানান, শাখোয়া এবং করগাঁও গ্রামের মধ্যেবর্তী পশ্চিমপাড়া হাওড়ে গউছ মিয়া নামে এক ব্যাক্তির ফিসারীর পাশে ছোট খালে পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরেছিলো শাখোয়া গ্রামের বেনু মিয়ার শিশু পুত্র ছমির মিয়া (১৩),। এসময় করগাঁও গ্রামের নুরুল মিয়ার শিশু পুত্র টুটুল মিয়া (১২), ছমির মিয়াকে মাছ না ধরতে বাঁধা দেয়। পরে এই দুই শিশুর মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে করগাঁও গ্রামের জুবেল মিয়া (২৭), নামে এক যুবক ছমিরকে মারধর করে। বিষয়টি গ্রামপর্যায়ে জানাজানি হলে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে গুমগুমিয়া গ্রামবাসীও যুক্ত হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘন্টাখানেক সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন,ঝর্ণা আক্তার (২৫),নিলু (২৮),তামিল (১৬),তাউসিন আহমদ, সাদিকুর রহমান (৪০), রিন্টু মিয়া (৩০),খোকন মিয়া (৩২),সজলু মিয়া (২৮), জিয়াউল হক (২৮), আব্দুল তাহিদ (২০), ইসলাম উদ্দিন (১৭), জামিল আহমদ (২৯),এলাল মিয়া (৫০), জিয়াউর রহমান (৪০), আব্দুর রজোক (৭০),ময়নুল হক (২০), আব্দুল মুহিদ (৩২), হাবিবুর রহমান (২৪), আছমত আলী (২৫), মাসুক মিয়া (৪২),। গুরুতর আহত অবস্থায় আছমত, হাবিবুর, মাসুক, তাউসিন,খোকন, জিয়াউরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। করগাঁও গ্রামের মোঃ সাহেদ আলীর পুত্র নাঈম মিয়া (২২),বলেন, গউছ মিয়া নামে এক ব্যাক্তির ফিসারীর পাশে অবস্থিত একটি খালে সেচ দিয়ে বেনু মিয়ার পুত্র ছমির মাছ ধরে। এতে বাঁধা দেয় টুটুল। পরে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ ছিল ঘন্টাব্যাপী। পুলিশ গিয়েও পরিস্থিতি শান্ত করতে পারেনি। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। এসময় উভয়পক্ষের লোকজন ছত্রবঙ্গ হয়ে যায়।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মােতায়েন রয়েছে । উভয় গ্রামবাসীর সাথে সমঝােতার চেষ্টা করছে পুলিশ বর্তমান আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে ।