বৃহস্পতিবার ● ১২ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে হাসপাতালের গুরুপূর্ণ সড়কের ওপর নির্মান সামগ্রী পাথর : মালিকের খোঁজ পাচ্ছেনা প্রশাসন
রাঙামাটিতে হাসপাতালের গুরুপূর্ণ সড়কের ওপর নির্মান সামগ্রী পাথর : মালিকের খোঁজ পাচ্ছেনা প্রশাসন
স্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটি জেলা শহরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মুল সড়কের সাথে সংযোগ সড়ক যুক্ত রাঙামাটি জেলা সদর হাসপাতাল সড়ক। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, রাঙামাটি সদর হাসপাতাল, রাঙামাটি নার্সিং ইনষ্টিটিউট, রাঙামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা ঔষধাগারে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সদর হাসপাতাল সড়ক। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ে স্থানীয়রাসহ প্রতিদিন প্রায় হাজার-হাজার জনসাধারনের যাতায়াত করতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে । কেউ আসেন মুমর্ষ রোগী নিয়ে, কেউ আসছেন করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে, কেউবা রাঙামাটি সদর হাসপাতালে আসেন বহির্বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা নিতে।
আরো ৪০ বছর আগে গণপূর্ত বিভাগের নির্মীত এর এ সড়ক তেমনটা প্রশস্ত নয়। রাঙামাটি প্রধান ডাকঘরের পাশ্ব দিয়ে নেমে আসা সরু এ সড়কটির অবস্থা এখন বেহালদশা। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত, খানাখরন্ড ভরা। চালমান বর্ষায় সড়কের চলাচল স্থানে গর্তে বৃষ্টির পানিতে ভরে থাকে।
তারপরও রাঙামাটি শহরে বসবাসরত ক্ষমতাসীন দলের গুরুপূর্ণ নেতা, সরকারি আমলারা এবং স্বাস্থ্য সেবা ও করোনা টিকা নিতে আসা লোকজন কষ্ট স্বীকার করে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল সড়কটি দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরো বিপত্তি বেঁধেছে গত ৫ দিন ধরে কে বা কারা এ হাসাপাতল সড়কের ওপর কয়েক ট্রাক পাথর ফেলে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় বাঁধা সৃষ্টি করে রেখেছেন।
এতে সরকারি-বেসরকারি এম্বুলেন্স, কার, জিপ, ট্রাক, মাইক্রো, ব্যক্তিগত সিএনজি অট্রোরিক্সিা ও মোটরসাইকেল নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত কালিন সড়কের মোড়ে ঢালু হওয়াতে পাথর ফেলে রাখা স্থানে প্রতিনিয়ত গাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
আজ ১১ আগস্ট বুধবার সকাল ১০টার দিকে সলিউশন রাঙামাটির রাশেদুল ইসলাম তার সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ছবিসহ পোষ্ট করেন। তিনি লেখেছেন “রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশ মুখে ডালু রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছিলো পাথরে কনা রাখার কারনে, অনেক সচেতন নাগরিকের আসা যাওয়া হয় এদিকে, করোনা ভেকসিন দিতে যাতায়াতের জন্য ব্যস্তময় রাস্তায় এমন ভাবে টার্নিং মোড়ে পাথর রাখাটায় অযুক্তিযুক্ত, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে আনা প্রয়োজনে, জরুরী মুহুর্তে হাসপাতালের যাতায়তের সকল স্থানে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং ও পাথর বালি না রাখার ব্যাবস্থা করা, তিনি তাঁর নিজ উদ্যাগে যতটুকু সম্ভব করেছেন, রাস্তার পাথর এক পাশে করার চেষ্টা করেছেন ইত্যাদি লেখেছেন তিনি।
এবিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এস.এইচ.এম মাগ্ফুরুল হাসান আব্বাসীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়েছি। জেলা প্রশাসনের ভ্রম্যমান আদালত গিয়ে হাসপাতাল সড়কের ওপর ফেলে রাখা পাথরের কোন মালিক পাওয়া যাচ্ছে না। কে বা কারা এ নির্মান সামগ্রী রেখেছেন স্বাীকার করছেনা। যে ব্যক্তি এসব নির্মান সামগ্রী পাথর সড়কের ওপর রেখেছেন তার নাম অথবা মোবাইল নাম্বার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের দেয়ার অনুরোধ জানান এডিএম এস.এইচ.এম মাগ্ফুরুল হাসান আব্বাসী।
জনসাধানের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সড়কের ওপর নির্মান সামগ্রীর রাখার বিষয়ে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এসব নির্মান সামগ্রী পাথর তাদের পৌরসভার নয়। মেয়র বলেন গুরুপূর্ণ সড়কের ওপর কে বা কারা এসব নির্মান সামগ্রী পাথর রেখে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন তা তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এবিষয়ে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল সড়কের ঔষধের দোকান মালিক স্বপন কুমার মহাজন বলেন, আজ ৫দিন যাবৎ রাঙামাটি কোতয়ালী থানায়, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনে এবং রাঙামাটি পৌরসভায় স্থানীয়রা নির্মান সামগ্রী পাথর রেখে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার বিষয়টি ফোনে বার-বার অভিযোগ করেছেন কিন্তু বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইল কোর্টের ম্যাজিষ্ট্রেট ঘুরে চলে গেছেন এসব নির্মান সামগ্রী পাথরের কোন মালিক ওনারা খোজে পাননি।