শুক্রবার ● ১৩ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনে নিখিল কুমার চাকমা
রাঙামাটিতে ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনে নিখিল কুমার চাকমা
স্টাফ রিপোর্টার :: আজ ১৩ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১০ টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন রিজার্ভ বাজারের সাথে জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী সংযোগের জন্য পিসি গার্ডার ফুট ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব পদমর্যাদা) নিখিল কুমার চাকমা।
ব্রীজের পরিদশর্নকালে চেয়ারম্যান বলেন, যখন ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ দেয়া হয় তখন কাপ্তাই বাঁধে উদ্ভাস্তু এলাকাবাসীকে পুরাতনবস্তী এলাকায় পূর্ণবাসিত করা হয়। তখন থেকে এলাকার স্থানীয় জনগণ যারা এখানে ছিলেন তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল যোগাযোগের জন্য ১টি ব্রীজ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ব্রীজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছিলেন। সেজন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এছাড়া তিনি ব্রীজটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এম.পি, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে অন্যন্য সৃষ্টি করে যাচ্ছেন সেটি জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী সংযোগের জন্য অন্যতম একটি মাইলফলক। তিনি ব্রীজটি’র উদ্বোধনের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র বদান্যতায় ও সানুগ্রহে যেদিন অনুমতি দিবেন সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে ব্রীজটি শুভ উদ্বোধন করা হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পার্বাত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন রিজার্ভ বাজারের সাথে জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী সংযোগের জন্য পিসি গার্ডার ফুট ব্রীজ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি ডিপিপি অনুযায়ী মোট প্রকল্পের ব্যয় সতের কোটি তেষট্টি লক্ষ ছয়ত্রিশ হাজার টাকা। ব্রীজের দৈর্ঘ্য ৩৮৪.০৮ মিটার এবং প্রস্থ ৪.৫০ মিটার। ব্রীজের নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুতগতি চলমান রয়েছে এবং আগামী জুন ২০২২ সালে সমাপ্ত হবে।
ব্রীজটি নির্মাণের ফলে ইতোমধ্যে পৌর এলাকার রিজার্ভ বাজারের সাথে জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী এলাকা সংযোগ হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা সুবিধা সহজতর হয়েছে। এছাড়া ব্রীজের নির্মান কার্যক্রম পুরোপুরি সম্পন্ন হলে জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী এলাকার সুবিধা বঞ্চিত প্রায় ৩০০০ হাজারের অধিক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটি ইউনিট কার্যালয়ের চলতি দায়িত্ব নিয়োজিত নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) তুষিত চাকমা, বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. খোরশেদ আলম, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ত্রয়া সরকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) হাসান মোহাম্মদ নোমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সুমেশ চাকমা, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আমিনুর রশিদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।