শনিবার ● ১৪ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে ভাংচুরের মামলায় ৮ আসামির জামিন লাভ
বিশ্বনাথে ভাংচুরের মামলায় ৮ আসামির জামিন লাভ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতি পক্ষের বসত ঘর ভাংচুরের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার ৮ জন অভিযুক্ত আসামির জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
গভীর রাতে বসত ঘর ভাংচুরের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার ৮ জন অভিযুক্ত আসামি জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত তবারক আলীর পুত্র আনছার আলী, মৃত আব্দাল মিয়ার পুত্র শামীম আহমদ, ছোয়াব আলীর পুত্র হারিছ আলী, তার পুত্র কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, সালাহ উদ্দিন, আব্দুল জলিলের পুত্র সুহেল মিয়া, ও হাজী জৈন উল্লাহর পুত্র আরজু মিয়া।
অভিযুক্তরা গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৩য় আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট দিবাগত রাতে কাজিরগাঁও গ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসী কলমদর আলী ও মছলন্দর আলী পক্ষের লোকজন তাদের বাড়ির পৈত্রিক বসতঘর ভাংচুর করেন। বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ঘটনার পরদিন প্রবাসী কলমদর আলী ও মছলন্দর আলীসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ১০জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন তাদের (কলমদর-মছলন্দর) সৎ বোন শাহানারা বেগম। মামলা নং- ৪, তাং- ০৫.০৮.২০২১ইং।
মামলা দায়েরের পর ওই দিন রাতে অভিযান চালিয়ে সন্দেহ জনক হিসেবে কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত সাজিদ আলীর পুত্র আনছার আলী (৫৩) ও শেখেরগাঁও গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের পুত্র সুন্দর আলী (৩০)’কে আটক করে থানা পুলিশ। বর্তমানের তারা দু’জন জেলহাজতে আটক রয়েছেন।
দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বাদী শাহানারা বেগম উল্লেখ করেন, তার লন্ডন প্রবাসী দুই সৎ ভাই কলমদর আলী (৫৮) ও মছলন্দর আলী (৪৫) এর ইন্দনে একই গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনছার আলী ও মৃত আবদাল মিয়ার ছেলে শামীম আহমদ এর নেতৃত্বে লোকজন দিয়ে টিন শেডের দালানের তৈরী তার বসত ঘর ভেঙে দেয়।
এসময় তার ঘরে থাকা ফ্রিজ, পানির মোটর, খাট, আলমিরা, স্বর্ণালংকার, কলেজের সার্টিফিকেট ও জায়গাজমির দলিলসহ আরও অনেক কিছু লুটপাট করে নেয়া হয়। ওইদিন শাহানারা তার অসুস্থ মাকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে সিলেট শহরের একটি বাসায় বসবাসরত ছিলেন।
তাকে বাড়ি ছাড়া করতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তার সৎ ভাইয়েরা নানা পায়তারা করে আসছেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও চলে আসছে।
এদিকে, আনছার আলীসহ জামিনপ্রাপ্ত অভিযুক্তরা ওই ঘর ভাংচুরের ঘটনার সাথে জড়িন নন দাবি করে তারা সাংবাদিকদের বলেন, শাহানারার দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী ছুরত মিয়া ও নূর মিয়ার সাথে মসজিদকে কেন্দ্র করে গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকজনদের বিরোধ রয়েছে।
আর ওই বিরোধকে কেন্দ্র করেই হয়রানী করতে ছুরত মিয়া ও নূর মিয়ার ইন্দনে তাদেরকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। মূলত পৈত্রিক সম্মত্তি নিয়ে শাহানারা ও তার সৎ ভাইদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। পারিবারিক এই বিরোধের সাথে গ্রামের নিরীহ লোকজন জড়িত না থাকলেও তাদের উপর একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
শোক দিবস বিশ্বনাথে মনু মিয়া স্মৃতি সংসদের দোয়া মাহফিল
বিশ্বনাথ :: জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সিলেটের বিশ্বনাথে আলহাজ্ব মনু মিয়া স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার ১৪ আগষ্ট বাদ মাগরিব রামপাশা রোডস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শোক সভায় মোনাজাত করেন জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা হিজবুল্লাহ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও আলহাজ্ব মনু মিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল জলিল জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মনু মিয়া স্মৃতি সংসদের প্রধান উপদেষ্টা বসারত আলী বাছা, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নূরুল হক, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বাবুল, বিশ্বনাথ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সুন্দর আলী রুহুল, যুবলীগ নেতা নাসির আহমদ, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, পৌর ছাত্রলীগ নেতা সামির আলী, পারভেজ রহমান ফাহিম, ফখরুল আমিন চৌধুরী, আতিকুজ্জামান, কামরান আহমদ, আমজাদ হোসেন, মাসুম আহমদ, জীবন পাল, লিপটন দাস, পুলক কুমার, সুমন দাস ও জাহেদ আহমদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।