রবিবার ● ১৫ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক উভয় পরিবারের কেউ মেনে না নেয়ায়
দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক উভয় পরিবারের কেউ মেনে না নেয়ায়
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শনিবার সকালে আবু সাইদ (১৭) ও সোহানা খাতুন (১৪) নামে দুই কিশোর কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ দুইটি একই আড়ায় ঝুলে ছিল। মেয়েটি নিজের ওড়না আর ছেলেটি গামছা বাধা অবস্থায় ছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে দুই পরিবার মেনে না নেওয়ায় এই কিশোর প্রেমিক প্রেমিকা এক সঙ্গে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আবু সাইদ চাপাতলা গ্রামের আবু সুলতানের ছেলে। অন্যদিকে সোহানা খাতুন নেপা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের শাহাজামালের মেয়ে। সে কাঞ্চনপুর হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। তারা সম্পর্কে বেয়াই বিয়াইন। স্বরুপপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের মেম্বর মোমিনুল ইসলাম জানান, আত্মহননকারী আবু সাইদ তার চাচাতো ভাই আল-আমিনের শ্যালিকা সোহানা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে। কথাটি জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। হয়তো এই কারণেই তারা আত্মহত্যা করতে পারে। মেম্বর মোমিনুল ইসলাম আরো জানান লাশ দুইটি সোহানার দুলাভাই আল আমিনের আরেকটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে ছিল। শনিবার সকালে দুইটি লাশ এক সঙ্গে ঝুলতে দেখে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মহেশপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। দুই জনের শরীরে কালশিটে দাগ ও রক্ত ছিল প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন। সোহানার বোন শেলী খাতুন জানান, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে গত দেড় মাস ধরে সোহানা তার বাড়িতেই ছিল। এই সুযোগে হয়তো তার চাচাতো দেবর সাইদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তাই বলে তারা এ ভাবে মারা যাবে তা কল্পনা করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
দেশব্যাপি সাম্প্রদায়িক হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রাম, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজারসহ সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনের জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। এসময় বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুবীর কুমার সমাদ্দার, পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম গাঙ্গুলী, যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরতী দত্তসহ অন্যান্যরা। বক্তারা, সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার করছেন চোখের অপরেশন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলার কোটাঁদপুর কলেজ মোড়ে প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্র ও মেইন স্ট্যান্ড থেকে পোস্ট অফিস মোড়ে যেতে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র দুটিতে ‘কদম আলীর ডিগ্রী নাই’ জাতীয় দুই ব্যক্তি চিকিৎসক দিয়ে যাচ্ছেন। প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্র রোগী দেখেন ডাঃ সুমন কুমার বালা। আর প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র রোগী দেখেন মনিরুজ্জামান। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সুমন কুমার বালা প্যারামেডিকেল পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৩ মাসের ট্রেনিং নিয়েছেন। অন্যদিকে মনিরুজ্জামান খুলনার শিরোমনি হাসপাতালে ডাক্তারের সহকারী হিসাবে চাকরি করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। মনিরুজ্জামানের কোন একাডেমিক ডিগ্রী নেই। এই দুটি চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের বিজ্ঞাপণ দেওয়া ক্যাবল লাইনে। সেখানে প্রচার করা হয় বিনা অপারেশনে চোখের ছানি অপসারণসহ চটকদার বিজ্ঞাপণ। তারা প্রতিদিন একেক জন ৫০ জন করে রোগী দেখেন। ১০০ টাকার ভিজিটে দেন প্রেসক্রিপশন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ চক্ষু পূণর্বাসন কেন্দ্র ও চক্ষু হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ শেখ আব্দুল হালিম জানান, হেলথ এসিসট্যান্ট কিভাবে প্রেসক্রিপশন লেখে আমার জানা নেই। চোখ একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সামন্য ভূলে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। কোটচাঁদপুরের প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের ডাক্তার মনিরুজ্জামান বলেন, আমি ১১ বছর শিরোমনি হাসপাতালে চাকরি করেছি। ডাক্তারের সাথে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই রোগী দেখি। কোন সমস্যা হয় না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন আমার বিষয়ে জানেন। ডাঃ সুমন কুমার বালা বলেন, আমি প্যারামেডিকেল থেকে ৪ বছরের ডিপ্লোমা করেছি। ট্রেনিং নিয়েছি। আমি এখানে চাকরি করি। আমার সার্টিফিকেট যা আছে সব সঠিক। কিছুতো একটা করতে হবে। আমি এখানে চাকরি করি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরের কলেজ স্ট্যান্ডে প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ভুমি অফিসের কর্মচারী। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জরুরী জুম মিটিংয়ে থাকায় তিনি বক্তব্য দিতে পারেন নি।