সোমবার ● ১৬ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রতিকৃতির বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল জাতির জনককে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এ সময় বিশেষ মোনাজাতও অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ, সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি; বঙ্গবন্ধুর ভাগনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটিতে ঢুকে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন, যেখানে ৪৬ বছর আগে ইতিহাসের এক বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ সাধিত হয় এবং পরে বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে বনানী কবরস্থানে যান। যেখানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, তাঁর ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদরা শায়িত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কবরে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন। সেখানে তিনি সুরা ফাতেহা পাঠ করেন এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও দোয়া করেন।
মহালছড়িতে জাতীয় শোক দিবস পালন
মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :: মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যেগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৬ তম মৃত্য বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৫ আগষ্ট রবিবার সকাল ৮ টায় মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর শোক র্যালীসহকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দলীয় কার্যালয়ে শোক সভা এব দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়। শোক সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি রতন কুমার শীল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাবেক সহ সভাপতি চিন্তা হরণ শর্মা, সুলতান মাহমুদ, উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, সাধারণ সম্পাদক রণজিত দাশ, যুবগীলগ এর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, সেচ্ছাসেবকলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি লাল মিয়া প্রমূখ। শোকসভায় বক্তারা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের নেপথ্যে কারা ছিলো, কারা ষড়যন্ত্র করেছিলো সে বিষয়ে এখনো তদন্ত হয়নি। তদন্তপূর্বক ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান বক্তারা।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) আজ ১৫ আগস্ট ২০২১ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাবিপ্রবি অস্থায়ী প্রধান কার্যালয় ও স্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
সকাল ৯ টায় ভেদভেদিতে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অঞ্জন কুমার চাকমা, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এরপর সাড়ে ৯টায় রাবিপ্রাবি স্থায়ী ক্যাম্পাসে “বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল” এ পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১০টায় ঝগড়াবিলস্থ দুঃস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা।
গাইবান্ধায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত
গাইবান্ধা :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গাইবান্ধায় দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
রবিবার দিনের শুরুতেই সরকারি ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। সকাল ৯টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তা। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে জেলা বারের আইনজীবীবৃন্দ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, গাইবান্ধা পৌরসভা, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব, গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা, বাদিয়াখালীর নজরুল চর্চা কেন্দ্র এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবদুল মতিনসহ অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ শামস-উল আলম হীরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর, পৌর মেয়র মতলুবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি কেএম রেজাউল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক ও আলী আকবর।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ শামস-উল আলম হীরুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, শহিদুল ইসলাম আবু, সাইফুল আলম সাকা, মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, পিয়ারুল ইসলাম, শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, এমারুল ইসলাম সাবিন, রেজাউল করিম রেজা, আমিনুর জামান রিংকু, সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন, শাহ আহসান হাবীব রাজিব, মোশাররফ হোসেন দুলাল, মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, আসিফ সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন মামুন প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শোক দিবসে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জেলার সকল মসজিদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোয়া মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত ও মন্দির, গির্জায় ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং পৌর পার্কের শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন।
বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমি এমপি হতে পারতাম না : এমপি মিলাদ গাজী
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৫ ই আগষ্ট রবিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ।বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য শাহেদ গাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ,যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল,সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু,রিজভী আহমদ খালেদ,আলী আহমেদ মুছা,গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী, শাহ গুল আহমদ কাজল,লোকমান আহমদ খান,শেখ শাহনুর আলম ছানু, উত্তম কুমার পাল হিমেল, দিলারা হোসেন,শেখ ছৈইফা রহমান কাকলী,সমর চন্দ্র দাশ, মোজাহিদ আহমদ, দুলাল চৌধুরী,গৌতম কুমার দাশ,কামাল হাসান চৌধুরী, মনসুর আলম,তছনু বেগ,ওয়াহিদুজ্জামান মুহিত,ফয়সল তালুকদার, মাহবুবুর রহমান রাজু প্রমূখ। সভার শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন,খালেদ আহম,গীতা পাঠ করেন অমলেন্দু সুত্রধর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মিলাদ গাজী বলেন,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমি এমপি হতে পারতাম না। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন,নবীগঞ্জ শহরের যানজট নিরসন করতে বাইপাস রাস্তাসহ প্রক্রিয়াধীন নবীগঞ্জে শিল্পকারখানা এবং অর্থনৈতিক জোন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদাৎ বরনকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনানকরে ১ মিনিট দাড়িয়ে নীরবতা পারন করা হয়।
যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বনাথে জাতীয় শোক দিবস পালন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেটের বিশ্বনাথে জাতীয় শোক দিবস ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে নানান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রোববার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর মুর্যা।লে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। এরপর একে একে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাবলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব, সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিন, উপজেলা কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বিআরডিবি মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দুপুরে সর্বসাধারণের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সুবিধামতো সময়ে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জায় বিশেষ মোনাজাত বা প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ ও আশ্রয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকায় ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস শহিদের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান, থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ওয়াহিদ আলী, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক নবীন সোহেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুহিবুর রহমান সুইট, বিশ্বনাথ ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষে বদরুল আলম চৌধুরী শিপু।
জাতীয় শোক দিবস বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি
বিশ্বনাথ :: আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ আগষ্ট) সকালে উপজেলা পরিষদের মাঠে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকিৃততে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছে। তবে, এবারও বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সদস্য নুর উদ্দীন, জামাল মিয়া, মো. আবুল কাশেম প্রমুখ।
রাউজান প্রেস ক্লাবের উদ্যাগে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত
রাউজান প্রতিনিধি :: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন রাউজান প্রেস ক্লাব।
১৫ আগস্ট রবিবার সকালে রাউজান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সস্থ বঙ্গবন্ধুর মূর্যালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাউজান প্রেস ক্লাবের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিউল আলম, সাবেক সভাপতি মীর আসলাম, সাবেক প্রদীপ শীল, সাধারণ সম্পাদক গাজী জয়নাল আবেদীন, সিনিয়র সহ সভাপতি এম. জাহাঙ্গীর নেওয়াজ, সহ সভাপতি শাহেদুর রহমান মোরশেদ, নেজাম উদ্দিন রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন হাবীবী, অর্থ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাবু, সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন সাজ্জাদ, লোকমান আনসারী প্রমুখ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞের শিকার বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
রাজস্থলী প্রেস ক্লাব উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিকৃতিত্বে পুস্পস্তবক অর্পণ
রাজস্থলী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি :: রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা প্রেস ক্লাব উদ্যোগে ১৫ আগস্ট ২০২১ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিকৃতিত্বে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আজ রবিবার ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সারা বছরে ন্যায় এবারে ও সারাদেশেব্যাপী সাথে এক হয়ে রাজস্থলী প্রেস ক্লাব পালিত জাতীয় শোক দিবস। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট কালো রাতে জাতীর পিতা দেশ নায়ক শেখ মুজিবুর রহমান স্ব- পরিবার কে এ বাংলার দেশ ঘাতক দ্রোহীর হাতে নির্মম নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, এরা বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা রুপ ধারনকে ধ্বংসের করতে চেয়ে ছিল। কিন্তু তার গভীর সোনার বাস্তবায়ন স্বপ্নকে ধামা চাপা রাখতে পারেনি। এই দিনটি সকলে কাছে শোকাবহত শহীদের প্রতি বিনস্র হাজার শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাই। এতে সভাপতিত্বে পরিচালনা করেন আজগরনআলী খান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবদান শ্বরণ করি ও আদর্শকে কোন দিন ভুল তে কেউ পারবেনা,সকলে হৃদয়ে মাঝে অমরে গেঁথে থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সভাপতি আজগর আলী খান,সিনিয়র সহ-সভাপতি চাউচিং মারমা সাধারণ সম্পাদক চাইথোয়াইমং মারমা,সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ূম মিরাজ,অর্থ সম্পাদক আইয়ুব চৌধুরী, নুশরাত জাহান নিশু,সানুমং মারমা প্রমুখ।
মিরসরাইয়ে যুবলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন
মিরসরাই প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১৫ আগষ্ট) সকালে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ সকল শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। ঐসময় করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় মিরসরাইবাসীর অক্সিজেন সংকট রোধকল্পে “বঙ্গবন্ধু” ২৪ ঘন্টা ফ্রি অক্সিজেন সেবার উদ্ধোধন করা হয়। মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জীবনী স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও মোনাজাত শেষে এতিমখানা ও পথশিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানা বলেন, সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন (এমপি), জননেতা মাহবুবর রহমান রুহেল ও চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী যুবলীগের সার্বিক নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে অক্সিজেনের অভাবে যেন মিরসরাইবাসী শ্বাসকষ্টে না ভুগে সেই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ফ্রী অক্সিজেন সেবা সার্ভিস উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও মোনাজাত শেষে এতিমখানা ও পথশিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছি এবং ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার নেপথ্যে যারা কুশীলব ও ঘাতক তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার আহবান জানান। মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল ভুঁইয়া বলেন, শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন ও সেই সাথে বঙ্গবন্ধু ফ্রী অক্সিজেন সেবার উদ্বোধন করা হয়। যতোদিন পর্যন্ত বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণ থাকবে ততোদিন এই বঙ্গবন্ধু ফ্রী অক্সিজেন সেবা সার্ভিস কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
শাহাদাত বার্ষিকী ও শোক দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আওতাধীন ১৬ ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার আওয়ামী যুবলীগের সকল নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিরসরাইয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চেয়ারম্যান নয়নের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি
মিরসরাই :: মিরসরাইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়নের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার (১৫ আগষ্ট) দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ৫ শত হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ, আলোচনা সভা এবং ইউনিয়নের ৪ হাজার জনগণের জন্য মধ্যাহৃভোজের আয়োজন। করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা ফিরোজ আহম্মদ। এসময় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসীম, সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিন কোম্পানী, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সালা উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক এয়াছিন, প্রচার সম্পাদক ডা. মহিন উদ্দিন চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সরোয়ার খাদেম, ইউপি সদস্য আজাদ উদ্দিন, শফি আহম্মদ, ফেয়ার আহম্মদ মিন্টু, কোরবান আলী, বেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা ইকবাল ভূঁইয়াসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মসজিদের ইমাম, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ। চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। শেখ মুজিব মানে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানে শেখ মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালো রাত্রীতে হায়েনারা বঙ্গবন্ধু ও স্ব পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যা বিশ্বের ইতিহাসে কালো অধ্যায়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিরসরাইয়ের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে ও মিরসরাইর আগামীর কর্ণধার মাহবুব রহমান রুহেলের পরামর্শে বিভিন্ন কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউনিয়নের ৫ শত হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরন এবং ৪ হাজার মানুষের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এর নেতৃত্বে রাঙামাটি সদর উপজেলায় ও বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পনসহ ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান আশীষ কুমার বড়ুয়া (যুগ্মসচিব), বোর্ডের সার্বক্ষনিক সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (উপসচিব)সহ বোর্ড ও বোর্ডের প্রকল্পসমূহের উবর্ধতন কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ৯টা ৪৫ মিনিটে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল’ এর আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান (সচিব পদমর্যাদা) নিখিল কুমার চাকমা। আলোচনা’র শুরুতে প্রথমে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন থেকে তেলাওয়াতসহ বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। বোর্ডের তথ্য অফিসার ডজী ত্রিপুরার উপস্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন।
চেয়ারম্যান বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারে নিহত সকল শাহাদত বরণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের পাশর্^বর্তী দেশ ভারতে এবং সবচেয়ে ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকাসহ অনেক রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এমন নিষ্ঠুর ঘটনা নজির বোধ হয় আর পৃথিবীতে একটিও নেই। এমন নজির বিহীন ঘটনা যেটা কোন সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, সেদিন কি দোষ করেছিল? বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ আবু নাসের, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, পত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ছোট ছেলে শিশু শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল? শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে হত্যাকারীদের হত্যাকান্ডের জন্য বিচার করা যাবে না, এরূপ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং খুনীদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ণবাসনের মাধ্যমে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়, যা অত্যন্ত ঘৃন্য অপরাধ।
মাননীয় চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর চিন্তা প্রসূত রাষ্ট্র নায়কোচিত চিন্তার ফসল। আজ আমরা যেখানে সম্মানের সাথে অবস্থান করছি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে সেটা কখনো সম্ভব হতো না। এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বোর্ডের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী, ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ হিসেবে দেশের স্বাধীনতা বিরুধী কুচক্রীমহল স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল। বাঙ্গালী জাতির জীবনে যেমন এটি একটি কলঙ্গজনক অধ্যায়, ঠিক তেমন এক মর্মান্তিক বেদনা বিধুর দিন। তাই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। এছাড়া তিনি জাতীয় শোক দিবসের এই দিনে জাতির পিতাসহ পনেরই আগস্টের কলঙ্কিত রাতে শাহাদত বরণকারী সকল শহীদদের প্রতি বিন্রম শ্রদ্ধা জানান এবং বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারী ঘাতক ও তাদের দোসররা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে চিরদিনের জন্য মুছে ফেলতে পারবে, কিন্ত তারা তা পারেনি; কারণ বঙ্গবন্ধু মৃত্যঞ্জয়ী ও চিরঞ্জীব। তিনি বলেন, আজকের এই শোকের দিনে যে সকল ঘাতক এখনও বিদেশে পলাতক হিসেবে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের দাবী জানান এবং শোককে শক্তিতে পরিণত করে এবং শক্তিকে জাগরণে পরিণত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব), মো. এয়াছিনুল হক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, এসএসএস-সিএইচটি প্রকল্প, সহকারী প্রকৌশলী ত্রয়া সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেনসহ বোর্ডের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পক্ষে অনেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান আশীষ কুমার বড়ুয়া (যুগ্মসচিব), সদস্য-বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (উপসচিব), মো. এয়াছিনুল হক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, এসএসএস-সিএইচটি প্রকল্প; মো. শফিকুল ইসলাম প্রকল্প পরিচালক, মিশ্র ফল চাষ প্রকল্প; নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব তুষিত চাকমা (চ.দা.), উপপরিচালক মংছেনলাই রাখাইন, কল্যানময় চাকমা, হিসার রক্ষণ কর্মকর্তা; কাইংওয়াই ম্রো, গবেষণা কর্মকর্তা; সহকারী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম, সহকারী প্রকৌশলী ত্রয়া সরকার, ডজী ত্রিপুরা, তথ্য অফিসার; সাগর পাল, সহকারী পরিচালক (চ.দা.); মো. কামরুজ্জামান সহকারি পরিচালক, মিশ্র ফল প্রকল্পসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও বোর্ডের প্রকল্পসমূহের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আক্রান্ত সকল রোগীদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় বোর্ডের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সকালে রাঙ্গামাটির তবলছড়িস্থ আনন্দ বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দুপুরে বোর্ডের জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহ্ফিল ও তবারক বিতরণ করা হয় এবং সন্ধ্যায় তবলছড়িস্থ শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া স্ব স্ব জেলা পর্যায়ের কর্মসূচির সাথে সাম্যঞ্জস্য রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিট অফিস সমূহের নিকটবর্তী মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার এবং গীর্জায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহ্ফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প পরিচালিত ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়ে কঠোর স্বাস্থবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবসে চুয়েট পরিবারের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে চুয়েট পরিবার। আজ ১৫ আগস্ট (রবিবার), ২০২১ খ্রি. সকাল ০৯.১০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর শুরু হয়। চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতার ম্যুরাল প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং চুয়েটে মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর। এরপর বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যানগণ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় স্মারক বৃক্ষরোপণ করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চুয়েট কর্তৃক আয়োজিত দিনের কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্বে বেলা ১১.৪৫ ঘটিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত উক্ত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর। মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুরকৌশল বিভাগের সাফকাত আর রুম্মান ও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আজহারুল ইসলাম মাহমুদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮জন সদস্য শহিদ হয়েছিলেন। এই নারকীয় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম, একটি দর্শনের নাম। বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ ও দর্শনকে আমাদের ধারণ করতে হবে। যেখানে শোষণ ও বৈষম্য চলে বঙ্গবন্ধু সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন। স্বাধীনতার পরে একটা ভঙ্গুর দেশকে পরিচালনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করলেন শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই প্রাথমিক শিক্ষাকে তিনি জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেন। ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করলেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি তৈরির লক্ষ্যে তিনি বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। যা ছিল বঙ্গবন্ধুর একটা দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। পরবর্তীতে স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে।” চুয়েট ভিসি আরও বলেন, “২০০৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরে অদ্যাবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন বাস্তবতা। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌঁছে গেছে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী বসে নেই। তারা নানা ষড়যন্ত্রের মেতে আছে। তাই দেশের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তিনি ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পূর্ণাঙ্গ রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।”
শোক দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য শাহাদাত বরণকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতা, শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।
বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীতে রাঙামাটি জেলা পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনাসভার আয়োজন করেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯.৩০টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনাসভা, প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার বিতরণ এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের চেক বিতরণ করা হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমা, সদস্য নিউচিং মারমা, সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার, পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসাসহ হস্তান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাসভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনাসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন সদস্য সবির কুমার চাকমা, সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলার ১০জন প্রতিবন্ধীকে ১০টি হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়। এছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন ট্রেডে ১৬জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে আতœকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৭লক্ষ ৭০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
পরে এইদিনটি উপলক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে সরকারি শিশু পরিবার, তৈয়বিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসা, বায়তুশ শরফ এবং মোনঘর শিশু সদনের শিশুদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এসকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
ঘোড়াঘাটে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল, আলোচনাসভা সহ বিভিন্ন আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ আগস্ট) সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেেেক নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাফে খন্দকার সাহানশা’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান, ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন, ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা নয়ন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সদের আলী খন্দকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুট্টু, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের পরেই উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর, ঘোড়াঘাট থানা, ঘোড়াঘাট সরকারি কলেজ, ঘোড়াঘাট কারিগরি কলেজ, ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ সহ সর্ব স্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অপরদিকে আরেক অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে যুব বেকারদের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম ৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে যুব ঋণের চেক প্রদান করেন।
নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আত্রাইয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
রবিবার দিবসের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে প্রশাসনের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ইউএনও ইকতেখারুল ইসলাম। এরপর উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, আ’লীগ পরিবার, সরকারের বিভিন্ন দফতর, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একে একে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সন্তানদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর চেতনা লালন ও আদর্শ ধারনের প্রত্যয় নিয়ে ইউএনও ইকতেখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় হয়। সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, সহকারী কমিশনার(ভূমি) মনজুরুল আলম,ওসি আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুল ইসলাম, আ’লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, সম্পাদক আক্কাছ আলী, সহসভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, যুগ্ন সম্পাদক নাহিদ ইসলাম বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি জুয়েল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আখতারুজ্জামান, ইনেস্টাক্টর ফররুক আহম্মদ, সাংবাদিক তপন কুমার সরকার বক্তব্য রাখেন। যুব উন্নয়ন অফিসার ফজলুল হক এর সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, যুব অফিসের মাধ্যমে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার যুব ঋণ এবং মহিলা বিষয়ক অফিসের মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মহিলাদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতার ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ৪৬ টি বৃক্ষ রোপন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।