বুধবার ● ১৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » রাঙামাটিতে মোট জনসংখ্যার ৪.৫০ শতাংশ করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন : সিভিল সার্জন
রাঙামাটিতে মোট জনসংখ্যার ৪.৫০ শতাংশ করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন : সিভিল সার্জন
রাঙামাটি :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মাসিক সভা বুধবার ১৮ আগস্ট সকালে পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে সদস্য প্রর্বতক চাকমা, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য বাদল চন্দ্র দে, সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার, সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, সদস্য আসমা বেগম, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য নিউচিং মারমা, সদস্য আব্দুর রহিম, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদুল আলম চৌধুরী, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা রাঙামাটি জেলার করোনা পরিস্থিতির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ সভায় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, রাঙামাটিতে সর্বশেষ (১৭ আগস্ট পর্যন্ত) করোনা পজিটিভ আছেন ৩৫৭৬জন। সুস্থ হয়েছেন ২৯৭৫জন। মোট মৃত্যু ৩১জন। তিনি বলেন, ১ম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ১,০৮,৮৮৩ জন এবং ২য় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩২৪৩৯জন। তিনি সভাকে বলেন, রাঙামাটিতে সংক্রমণের হার ২৪.৮২ শতাংশ। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি টিকা নেওয়ার ওপর জোর দেন। বর্তমানে রাঙামাটিতে মোট জনসংখ্যার ১৫.১২ শতাংশ প্রথম ডোজ এবং ৪.৫০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন। ৭-৯ আগস্টের গণটিকায় ৬৮টি কেন্দ্রে ৩১৯৯৯ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, করোনার চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি সাধারণ চিকিৎসা ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে হবে। বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার মত রাঙামাটি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ হাসপাতালের চারিদিকের পরিবেশ যাতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। করোনা চিকিৎসায় মরণাপন্ন রোগীদের জন্য যেসমস্ত দামী ইনজেকশান ব্যবহ্নত হয় সেগুলোর যদি সরবরাহে ঘাটতি থাকে তাহলে পরিষদ তা ক্রয় করে দেবে। তিনি করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন বলে সভাকে জানান।