বুধবার ● ১৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » ভালুকায় যাত্রীবাহী বাসে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ জন জেলহাজতে
ভালুকায় যাত্রীবাহী বাসে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ জন জেলহাজতে
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ভালুকায় যাত্রীবাহী বাসে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ওই বাসের চালক ও দুই হেলপারকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত অভিযুক্ত ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ওই কিশেরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত বাসচালক আবদুর রহিম (২৪) জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভালুকজান গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ও একই উপজেলার কালাদহ গ্রামের হাসান আলীর ছেলে হেলপার মামুন মিয়া (২৪) এবং সহযোগী আশরাফুল ইসলামকে (২৭) ময়মনসিংহের চুরখাই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।
এ ঘটনায় মামলার পর বাসটিও জব্দ করেছে পুলিশ। সেইসাথে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত অভিযুক্ত ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তার আগে গত ১৫ই আগস্ট এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে ১৭ই আগস্ট ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত বাসচালক ও দুই হেলপারকে আটক করে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়,গত ১৫ই আগষ্ট রাত ৯টার দিকে ভালুকা সিডষ্টোর বাজার হতে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে কথা আছে বলে ১৪বছরের ওই কিশোরীকে মায়ের দোয়া পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠানো হয় ।পরবর্তীতে ওই কিশোরীকে নিয়ে বাসটি ময়মনসিংহ চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের জনৈক কদ্দুসের গ্যারেজের পাশে রাত ১০টার দিকে বাস থামিয়ে বাসের ভেতরে বাসচালক আবদুর রহিম (৩০), হেলপার মামুন মিয়া (২৫) এবং আশরাফুল ইসলাম (২২) সারারাত ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন ১৬ আগষ্ট সকালে ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় বাসচালক আবদুর রহিম ওই কিশোরীর জামিরদিয়া এলাকায় লবণকোটা ভাড়া বাড়ীতে পৌছে দেয়।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ এ ঘটনায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট)ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত অভিযুক্তদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
ভালুকা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটি আগে গামের্ন্টসে চাকুরী করতো। এখন সে তার দাদীর কাছে বাড়ীতেই থাকে। মামলা হওয়ার পর আমরা ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করি। পরে আবদুর রহিম ও মামুন মিয়া ঘটনার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেসনিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।