বৃহস্পতিবার ● ১৯ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
বিশ্বনাথে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে কলেজছাত্রী প্রিয়াংকা রানী নাথ ওরফে সঙ্গী (২২) নামে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের রামাইচক রহিমপুর গ্রামের নরউত্তম দেবনাথের মেয়ে ও সিলেট মদন মোহন কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
বুধবার (১৮ আগষ্ট) রাতে নিজ শয়ন কক্ষের ছাদে ব্যবহৃত বাঁশের সাথে ওড়না ও দরজার পর্দা দিয়ে ফাঁস নেন। একপর্যায়ে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
ততক্ষণে নিষ্প্রাণ হয়ে যায় প্রিয়াংকার দেহ। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে রাতেই সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় তার ভাই সুজন দেবনাথ ওইদিন রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দেন। তবে কেন, কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রিয়াংকা? এর সঠিক জবাব জানাতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরির মাধ্যমে সংসার পরিচালনা করতেন প্রিয়াংকা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিতা। আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে প্রিয়াংকার ভাই সুজন দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও আমাদের নিজস্ব তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে খুনি সাইফুল সাড়ে চার মাসেও ধরাছোঁয়ার বাইরে
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে আলোচিত স্কুলছাত্র সুমেল (১৮) হত্যাকাণ্ডের চার মাস আঠারো দিন অতিবাহিত হয়েছে। তবু, এতোদিনেও হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত ‘খুনি সাইফুল’ ওরফে লন্ডনী সাইফুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী। উদ্ধার হয়নি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও। ঘটনার দিন পুলিশের চোখে ‘ধুলো’ দিয়ে তাদের সম্মুখ দিয়েই লাপাত্তা হয় সে।
এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
গ্রেফতারে দু’দফা পুরস্কার ঘোষণা হলেও, এ পর্যন্ত কেউই অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি ধূর্ত এই খুনির। সবকিছু ছাপিয়ে সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কাদের প্রশ্রয়ে? কোথায় লুকিয়ে চিহ্নিত এই খুনি? সে কি নাগালের বাহিরে?
হত্যা মামলার বাদী সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিলের অভিযোগ, প্রকাশ্য দিবালোকে সাইফুল তার বাহিনী নিয়ে নিজেই গুলি করে সুমেলকে হত্যা করে। এ ঘটনায় আমি ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দেই। মামলার প্রধান অভিযুুক্ত সাইফুলসহ এজাহারের ১০ নাম্বার আসামি পর্যন্ত কাউকেই এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতসহ ইতিমধ্যে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ সাইফুল ও তার অস্ত্রধারি ক্যাডার বাহিনীর মূল সদস্যরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। উদ্ধার হয়নি অস্ত্রও।
এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
গত ১লা মে প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষকালে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমেলকে হত্যা করে সাইফুল আলম।
সে একই গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে। ঘটনার পরে স্পটে উপস্থিত পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই পালিয়ে যায় সাইফুল। পরে সাইফুল ও তার বাহিনীর অস্ত্রধারী ক্যাডারদের গ্রেফতার করার দাবিতে আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুনি সাইফুলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন সিলেটের ডিআইজি ও পুলিশ সুপার।
অভিযোগ ওঠে পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় ঘটনাস্থল থেকে অনায়াসে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় হাওর পাড়ের ত্রাস, জলদস্যু সাইফুল।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও লকডাউন সব মিলিয়ে, কিছুদিন পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত ছিল। সুুমেল হত্যা মামলার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে সব রকমের প্রচেষ্টা চলছে। অচিরেই সুফল আসবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে বাতিঘর স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পেইন’র উদ্বোধন
বিশ্বনাথ :: চলমান করোনা সংকটে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরী, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত ও ফ্রি অক্সিজেন সেবার ব্রত নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথে ‘স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পেইন’র চালু করেছে সময়ের শৈল্পিক প্রজ্জলন ‘বাতিঘর’। গেল বুধবার (১৮ অগাস্ট) বিকেল ২টায় উপজেলার রাজাগঞ্জ বাজারে সংগঠনটির কার্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বাতিঘর’র সভাপতি রাসেল মাহমুদ’র সভাপতিত্বে এতে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খাজান্সি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সাইফুল ইসলাম বেগ ও বেবী কেয়ার স্কুলের চীফ ডিরেক্টর, যুবনেতা মুহিবুর রহমান সুইট।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আখলাকুর রহমানের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈমুর রহমান ও সদস্য মাছুম হোসোইন। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সদস্য আতিকুর রহমান ও স্বাগত বক্তব্য দেন নাবিল আহমেদ তানভীর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাতিঘর সাবেক দায়িত্বশীল গোলাম মোস্তফা, মাসুদ হাসান, নুরুল হক, রেজা হাসান, জাকির আহমেদ, শহীদ আহমেদ, তারেক আহমেদ, ইকবাল সাকিব, বর্তমান সদস্য বদর উদ্দিন কামরান, জসিম উদ্দীন জুয়েল, মোজাক্কির আহমদ মারজান, ফাহিমুর রহমান, জাকির হুসেন, মুস্তাফিজুর রহমান শাহরিয়ার, ইমন আহমেদ, বেলাল আহমেদ, তাজুল ইসলাম সুমন, বাতিঘরের শুভাকাঙ্খী আলী হুমেস, হাফিজ জিয়া উর রহমান, নেছার আহমেদ, কামাল উদ্দিন প্রমুখ।