শুক্রবার ● ২০ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » আমাকে কেউ অপহরণ করেনি, আমি আমার স্বামীর কাছে আছি : এমপি কন্যা সোহেলী
আমাকে কেউ অপহরণ করেনি, আমি আমার স্বামীর কাছে আছি : এমপি কন্যা সোহেলী
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগ নেত্রী খালেদা খানমের মেয়ে সোহেলী আহম্মদকে কেউ অপহরণ করে নি বলে তিনি এক হলফনামার মাধ্যমে দাবী করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো ঢাকা নোটারী পাবলিকের একটি হলফনামা আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে এই দাবী করেন। গত ১২ আগষ্ট এমপি কন্যা এই হলফনামা দেন। ঢাকা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মোঃ মানজুর হোসাইন সাক্ষরিত হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমি আমার সাবেক স্বামী মাদকাসক্ত বিল্লাল হোসেন লিটনকে পাঁচ মাস আগেই তালাক দিয়ে সাজেদুর রহমান পপপুকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছি। ফলে নিজের অপহরণের বিষয়ে তার সাবেক স্বামী ঝিনাইদহ সদর থানায় যে মামলা করেছেন তার কোন আইনগত ভিত্তি নেই। তাকে অপহরণের কোন প্রশ্নই ওঠে না। বরং তিনি বর্তমান স্বামী সাজেদুর রহমান পপপুকে নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছেন। ৩ পৃষ্ঠার হলফনামায় এমপি কন্যা সোহেলী আহম্মেদ দাবী করেছেন, তার সাবেক স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন মাদকাসক্ত, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, নারী কেলেংকারী ও প্রতারক হিসেবে পরিচিত লাভ করলে তিনি নিজের ও একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যাতের কথা চিন্তা করে তাকে তালাক দেন এবং গত ৩ মার্চ ২০২১ তারিখে সাজেদুর রহমান পপপুকে মুসলিম শরিয়া আইন মোতাবেক বিয়ে করেন। তালাক প্রদানের পর স্ত্রী দাবী করে অপহরণ মামলা দায়ের করা একজন সাবেক স্বামীর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। হলফনামায় সোহেলী আহম্মেদ দাবী করেন, তার সাবেক স্বামী কাঞ্চনপুর ট্রাক টার্মিনাল পাড়ার শফি উদ্দীন মুন্সির ছেলে বিল্লাল হোসেন লিটনকে প্রথমে আদর্শপাড়ার কাজী হারুন অর রশিদের নিকাহ রেজিষ্টার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তালাক দেন। তখন লিটন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ ভাবে তিনি তার সাবেক স্বামীকে ৫/৬ বার তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পর প্রতিবারই সে আর মাদক সেবক করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু লিটন মাদক সেবন ও ব্যবসা থেকে ফিরে না আসায় সর্বশেষ তাকে তালাক দিয়ে পপপুর সঙ্গে ঘর সংসার করতে থাকি। এরপর লিটন পরিকল্পিত ভাবে আমার মা আ’লীগের মহিলা এমপি ও পিতাকে জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখিয়ে আমার মায়ের অসুস্থতার খবর দিয়ে বাসায় ডেকে আনে এবং বাসায় আটকিয়ে রেখে জোর পুর্বক আবারো একটি নিল কাগজে সাক্ষর করিয়ে নেয় এবং ফেসবুকে স্বামী স্ত্রীর মতো ঘনিষ্ট ছবি তুলে পোষ্ট করতে থাকে যাতে আমার বর্তমান স্বামী পপপু তার উপর রুষ্ট হয়ে ওঠে। এ ভাবে তিন মাস আমি আমার মায়ের বাসায় বন্দি জীবন কাটানোর পর পালিয়ে বর্তমান স্বামীর বাড়িতে চলে আসি। এরপরেই জানতে পারি সাবেক স্বামী আমাকে স্ত্রী দাবী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় অপহরণ মামলা করেছে। সেই মামলায় আমার বর্তমান স্বামী সাজেদুর রহমান পপপুকে আসামী করা হয়েছে। যা হয়রানীর নামান্তর। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি সেচ্ছায় স্বজ্ঞানে পপপুকে বিয়ে করেছি। বিষয়টি নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালেদা খানম প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে আসছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার অবস্থান ও সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মেয়েকে অপহরণ করেছে। তিনি তার মেয়ের জীবন নিয়েও আশংকা প্রকাশ করেন। মহিলা এমপি তার মেয়েকে অপহরণের দাবীর কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পত্র পত্রিকা ও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর নিজ কন্যা এই হলফনামা পাঠিয়ে মায়ের দাবীর সঙ্গে দ্বিমত পোষন করলেন।
কৃমি নাশক ওষুধ খেয়ে কৃষকের ১১টি ভেড়ার মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে এক কৃষকের ১১টি ভেড়া কৃমি নাশক ওষুধ খেয়ে মারা গেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি অসুস্থ অবস্থায় হয়েছে। মারা যাওয়া ভেড়া গুলোর আনুমানিক মুল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভেড়ার মালিক আফজাল হোসেন জানান, গত ৫ বছর ধরে ভেড়াগুলো লালন পালন করছে। এভাবে ৩০টি ভেড়ার ফার্ম করতে সক্ষম হয়েছে। শরিরে কৃমি দেখা দিয়েছে বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে তিনি উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরে যান। সেখানকার চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করলে তারা কৃমির জন্য ১০০ গ্রাম ওজনের একটি এভিনেকস পাউডারের প্যাকেট দেন। জানিয়ে দেন গর্ভবতী ভেড়াগুলোর না খাওয়াতে। বুধবার সকালে ৬টার সময় তিনি ওই ঔষধের অর্ধকটা পানিতে মিশিয়ে ১৮টি ভেড়ার খাওয়ায়। ওষুধ খাওয়ানোর পরপরই ছটফট করতে থাকে। আধা ঘন্টার মধ্যেই ভেড়া মারা যেতে শুরু করে। একে একে বুধবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ১১টি মারা যায়। অপর ৭ টি অসুস্থ াবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আতিকুজ্জামান জানান, ভেড়ার মালিক মঙ্গলবার অফিসে এসেছিলেন। সবকিছু জেনেশেুনে তার কৃমির জন্য ঔষুধ দেওয়া হয়। সেগুলো তিনি যথানিয়মে খাওয়ালে এভাবে মারা যাওয়ার কথা নয়। তার পরও কেন মারা গেলো তা নিশ্চিত হতে তারা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এই নমুনা পরিক্ষার পর বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।
চোরের ফেলে যাওয়া গরুর মালিকানা দাবি একাধিক ব্যক্তিা, বিপাকে পুলিশ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে চোরের ফেলে যাওয়া গরুর মালিকানা দাবি করছে একাধিক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চারজন ব্যক্তি গরুগুলোর মালিকানা দাবি করেন। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। অবশেষে গরুগুলোর মালিকানা ঠিক করতে ঝিনাইদহ আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। গরুর মালিকানা দাবি করা ব্যক্তিরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌর শহরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ইমান আলীর তিনটি, মধুগঞ্জ পাড়ার মুন্নার একটি, ঢাকালে পাড়ার পারভেজ রহমান রচি একটি ও পৌরসভার পানির লাইনের কর্মচারী নুর ইসলাম একটি। গত ১৭ আগস্ট দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর রায়গ্রাম ইউনিয়নের দুলালমুন্দিয়া গ্রামে চোরেরা ছয়টি গরু ফেলে রেখে যায়। বুধবার সকালে গ্রামে গরুগুলো দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী আটকে রাখে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গরুগুলো থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। গরু পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ গরু দেখতে আসে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চারজন ব্যক্তি গরুগুলোর মালিকানা দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদন্দে পড়ে যায় পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে গরুর মালিকানা নিশ্চিত করতে ঝিনাইদহে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেখান থেকে মালিকরা উপযুক্ত প্রমান দিয়ে গরু গ্রহন করবেন বলে জানায় পুলিশ। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, চোরে ফেলে যাওয়া গরু উদ্ধারের পর থেকে অনেকে মালিকানা দাবি করছে। এখন অনেকে নিজের গরু দাবি করে দেখতে আসছে। তাই আমরা গরুগুলোর প্রতিবেদন কোর্টে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখান থেকে তারা প্রমান দিয়ে গরু নিয়ে যাবে।