মঙ্গলবার ● ২৪ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে বিপুল পরিমান ভারতীয় মদসহ আটক ২
বিশ্বনাথে বিপুল পরিমান ভারতীয় মদসহ আটক ২
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ২৮৫ বোতল ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ২৪ আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের আতাপুর গ্রামের সুরমা নদী পার থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ছত্তিশ গ্রামের মৃত ফিরোজ বক্সের ছেলে সোহেল মিয়া (৩৫), একই গ্রামের সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও মৃত আলী আকবরের ছেলে আনহার আলী (২৭)।
এসময় মাদক বহনকারী একটি টলার (নৌকা), একটি সিএনজি (সিলেট-থ ১২-৯২৩০) অটোরিক্সাসহ ২৮৫পিছ ভারতীয় অফিসার মদ আটক করে থানায় নিয়ে আসে একদল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ওসি গাজী আতাউর রহমানের নিদের্শে উপজেলার লামাকাজী আতাপুর গ্রামের সুরমা নদীর তীর থেকে ২১৮ পিচ অফিসার চয়েজ, ২২ পিচ মেকডুয়েল ও ৪৫ পিচ এসিব্লাক ভারতীয় মদসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। যার অনুমান মুল্য ১লক্ষ টাকা।
মদ ও মাদক ব্যবসায়ী দু’জনকে আটকের সত্যতা জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান জানান, ২৮৫ বোতল মদসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসমানীনগরে যুবককে অপহরণ করে মারধর-লুট, আটক ৪
বিশ্বনাথ :: সিলেটের ওসমানীনগরের দয়ামীর বাজার থেকে মাছুম আহমদ (২১) নামের এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে একই উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের একটি বাড়িতে আটকে রেখে মারধর ও লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত মাছুম আহমদ বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা কোনাউড়া গ্রামের মৃত ইনাই আলীর পুত্র। টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়কে কেন্দ্র করে এঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
মারধরের পর মাছুমকে সেখান থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে বিশ্বনাথে নিয়ে আসার পথিমধ্যে তার (মাছুম) হাক-চিৎকারে থানার সম্মুখে স্থানীয় জনসাধারণ তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সার গতিরোধ করে অপহৃত মাছুমসহ তাকে অপহরণকারী ৪ জনকে থানায় নিয়ে যান। ঘটনাস্থল ওসমানীনগর হওয়ায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ তাদেরকে সেখানে (ওসমানীনগর থানায়) প্রেরণ করে। এরপর মাছুম আহমদ আটককৃত ওই ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২ (তাং ২২.০৮.২১ইং)।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রামের রশিদ আলীর পুত্র নূর ইসলাম (৫৫), সাহিদ আলীর পুত্র লুৎফুর রহমান (৩৮), বাছন মিয়া (৩৮) ও দক্ষিণ দশপাইকা গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর পুত্র রিপন মিয়া (৩০)। মামলায় আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারা বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ২১ আগস্ট বিকেল ৪.১৫ মিনিটের সময় অভিযুক্ত বাছন মিয়া তার ব্যবহৃত মোবাইলে বাদীর মোবাইলে কল দিয়ে টাকা-পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর বাজারে আসতে বলে। গ্রেপ্তারকৃত বাছন বাদীর পূর্ব পরিচিত হওয়া মাছুম দয়ামীর বাজারে আসেন।
মাছুম দয়ামীরে যাওয়ার পর বাছন তাকে (মাছুম) জানায় ঘোষগাঁওস্থ তার (বাছন) শ্বশুড় বাড়িতে গিয়ে লেনদেনের কথা বলবে বলে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র অভিযুক্তরা চিৎকার দিয়ে চোর চোর বলে মাছুমকে একটি রুমে আটকে রেখে আরো ৩/৪ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে বাদীকে মারধর শুরু করে।
এসময় বাদীকে অভিযুক্তরা হুমকি দেয় হাক-চিৎকার করলে প্রাণে মেরে মেলবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। মারধর করার পর বাদীর পকেটে থাকা প্রায় ৩ হাজার টাকা অভিযুক্ত বাছন নিয়ে যায়। মারধরের কিছু সময় পর অভিযুক্তরা বাদীকে নিয়ে অজ্ঞাতনামা স্থানের উদ্দেশ্যে যাত্র করে। রাত প্রায় ৮টার দিকে পরিচিত লোকজন ও বিশ্বনাথ থানা দেখতে বাদী হাক-চিৎকার শুরু করেন।
এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সার গতিরোধ করে তাদেরকে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে যান। সেখানে ঘটনার বিবরণ শুনে তাদের সবাইকে ওসমানীনগর থানায় প্রেরণ করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল ওসমানীনগর থানায় হওয়ার কারণে তাদেরকে সেখানে প্রেরণ করা হয়েছে।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল বণিক।