রবিবার ● ২৯ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » কুমার নদে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার
কুমার নদে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনার পরও বন্ধ হচ্ছেনা ঝিনাইদহের কুমার নদে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার। ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে চায়না জালের সংখ্যা। এরইমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার গাড়াগঞ্জ থেকে শুরু করে আবাইপুর গ্রাম পর্যন্ত ২৫ কি.মি. জায়গা জুড়ে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। হাজার হাজার ফুট নিষিদ্ধ চায়না জাল ২০০ থেকে ৩০০ গজ পর পর পেতে রাখা হয়েছে। ডিঙি নৌকা নিয়ে প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হয়ে যায় এই জাল পাতার প্রক্রিয়া এরপর সারারাত পেতে রাখার পর সকাল থেকে চলে জাল গোছানোর পালা। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার খবর পেলেই এসব অসাধু মাছ শিকারীরা জাল নদী থেকে তুলে বাড়িতে বা সুরক্ষিত স্থানে লুকিয়ে রাখে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত চলে গেলে আবার নদীতে পেতে রাখে। এরইমধ্যে অনেকেই জাল নিয়ে এলাকার বিভিন্ন খালে-বিলে মাছ শিকারে নেমেছে। এই জালে ধরা পড়ছে বিভিন দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় মাছ। শুধু মাছই নয় নদীতে থাকা কোন জলজ প্রানী ও রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি মাছের ডিমও ছেকে তোলা হচ্ছে এই চায়না জাল থেকে। এতে করে প্রাকৃতিক সব ধরনের দেশীয় মাছ ধরা পড়ছে। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে চিংড়ি, পুটি, বুই কাতলা ,টেংরা, কই, শিং ,মাগুর, তেলাপিয়া, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকি থেকে শুরু করে ছোট বড় কোন মাছই রেহাই পাচ্ছেনা এই নিষিদ্ধ চায়না জাল থেকে। এতে ক্রমেই মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে কুমার নদী। হেতামপুর এলাকার বাসিন্দা মুসা বলেন, এভাবে চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার মেনে নেওয়া যায় না, এভাবে মাছ শিকার করলে কিছুদিন পর আর নদীতে কোন প্রকার মাছ পাওয়া যাবে না। শৈলকুপা মৎস্য কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা কুমার নদীতে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি এধারা অব্যাহত থাকবে। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ইতিমধ্যে আমরা কুমার নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি, প্রয়োজনে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আবারও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। দেশীয় মাছ রক্ষার্থে প্রশাসনিক ভূমিকা আরো কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারন মানুষ।
হোসেন আলী কামিল মাদ্রাসায় দুই পদে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোসেন আলী কামিল মাদ্রাসায় দুই পদে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছে নিয়োগ কমিটি। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ আলীয়া মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার সভাপতি রাসেল আহম্মেদ অভিযোগের বিষয়ে জানান, নিয়োগ সচ্ছ ও বৈধ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। এ কারণে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ২৬ আগস্ট দুপুরে পিয়ন দিয়ে পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাঠায় মাদ্রাসা সুপার। প্রবেশপত্রে উল্লেখ রয়েছে শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের আলিয়া মাদ্রাসায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে ৮ জন আবেদন করলেও পরীক্ষা দিতে আসে ২ পদে ৬ জন। শুক্রবার বিকাল ৫ টা ১০ মিনিটের দিকে দুইজন শিক্ষকের দায়িত্বে আলিয়া মাদ্রাসার ২য় তালার একটি কক্ষে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ৪ পরীক্ষার্থী দেখাদেখি করে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এসে পরীক্ষার্থী মাহফুজ আনোয়ারের সাথে কথা হলো। তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন রাজু আহমেদ নামের আরেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে। রাজু আহমেদ খুলনার বিএল কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। মাহফুজ আনোয়ারের প্রক্সি দিতে হয়তো তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, ১১ লাখ টাকায় কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব রক্ষক পদে সেলিম নামের একজনকে ঠিক করা রয়েছে। তাই পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। অফিস সহকারী পদে মিলন নামের একজনকে নিয়োগ দিতে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সভাপতি ম্যানেজ হয়েছেন এমন কথা এলাকায় শোনা যাচ্ছে। এই পদে পরীক্ষা দেয় সুরুজ ও তরিকুল নামে আরও দুইজন। কিন্তু নিয়োগ পাচ্ছেন মিলন। মিলনের নামে হরিণাকুন্ডু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কয়েকটি মামলা রয়েছে। ঢাকা থেকে আগত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপ পরিচালক আফাজ উদ্দিন পরীক্ষার খাতা দেখতে দেখতে সাংবাদিকদের জানান তাৎক্ষনিক ভাবে প্রশ্ন তৈরী করে পরীক্ষা গ্রহন করা হয়েছে। কোন অনিয়ম নেই। তবে মাদ্রাসা কমিটির কোন লেনদেনের বিষয়টি আমি বলতে পারবো না। মাদ্রাসার সভাপতি রাসেল আহমেদ জানান, আওয়ামীলীগের উচ্চ পর্যায়ের এক নেতার পিএস মাদ্রাসার সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। তিনি হতে না পেরে নিয়োগ নিয়ে এসব মিথ্য কথা প্রচার চালাচ্ছে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন, নিয়োগ নিয়ে কোন বানিজ্য করা হয়নি। একটি মহল নিয়োগ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মনে করি।
ঝিনাইদহে একসাথে স্বামী-স্ত্রীর গলায় ফাঁস, স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামীকে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর রেফার্ড
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে একসাথে স্বামী-স্ত্রীর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়ায়। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজ বাড়ীতে একই সাথে স্বামী পাভেল (১৯) এবং স্ত্রী মিম (১৮) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে, পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থার রাত সাড়ে দশটার দিকে স্ত্রী মিম মারা যায়। পরে স্বামী পাভেলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়াতে তাকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। স্বামী পাভেল কাঞ্চনপুরের জিয়ার ছেলে, এবং মৃত মিম জিয়ার বৌমা। প্রাথমিকভাবে ঘটনার বিষয়ে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।