সোমবার ● ৩০ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বালাসি-বাহাদুরাবাদ ফেরি সার্ভিস চালুর দাবিতে ১০ দিনের আল্টিমেটাম
বালাসি-বাহাদুরাবাদ ফেরি সার্ভিস চালুর দাবিতে ১০ দিনের আল্টিমেটাম
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: উত্তরের জেলা গাইবান্ধার ফুলছড়ির বালাসি ঘাট থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর দাবিতে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে নাগরিক মঞ্চ, গাইবান্ধা। আগামী দশ দিনের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত না এলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষনা দেন। এসময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাথে ব্রহ্মপুত্র সেতু বা টানেল নির্মানেরও দাবি জানান।
সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের ডাকে ফুলছড়ির বালাসী ঘাটে এ কর্মসূচি পালন করে। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা পূনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও কল্যাণ সংস্থা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, জেলা দোকান মালিক সমিতিসহ জেলা ও উপজেলার দুইশতাধিক মানুষ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে।
ফেরি সার্ভিসের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বালাসী ঘাট প্রদক্ষিণশেষে বটতলায় এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নাগরিকরা সড়ক অবরোধ করে।
নাগরিক মঞ্চের সিনিয়র সদস্য ওয়াজিউর রহমান রাফেলে সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, গণফোরামের সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, গাইবান্ধা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকসুদার রহমান শাহান, প্রবীণ সাংবাদিক এসকে মজিদ মুকুল, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি প্রণব চৌধুরী খোকন, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি মোস্তফা মনিরুজ্জামান, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা আহবায়ক এ্যাড. নওশাদুজ্জামান, কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রহমান পিটন, বাসদ (মার্কসবাদী)র কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু, সাংবাদিক হেদায়তুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলি রানী দেবী, যুব ইউনিয়ন নেতা রানু সরকার, কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মিয়া প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু।
বক্তারা বলেন, বালাসি ঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য বিআইডব্লিউটিএ ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ’র এক প্রতিবেদনে এই পথে আর ফেরি চালু করা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়। সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় এই ফেরি রুটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, এর জন্য দায়ী কে, কার বা কাদের স্বার্থে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল?
তারা এই বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি ও দুর্নীতির উৎস খুঁজে বের করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান। সেই সাথে আগামী দশ দিনের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত না এলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষনা দেন।
বক্তারা বালাসিতে ব্রহ্মপুত্র সেতু বাস্তবায়নের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্যও সকলের প্রতি আহবান জানান।