মঙ্গলবার ● ৩১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » পিচঢালা রাস্তায় এখন হাঁটু কাঁদা
পিচঢালা রাস্তায় এখন হাঁটু কাঁদা
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: এক সময় ছিল পাঁকা রাস্তা, এখন হয়ে গেছে মাটির। শুধু মাটির নয় রিতিমত হাঁবড়। গত ১২ বছর সংষ্কার না হওয়ায় এক সময়ের পিচের রাস্তাটি এখন মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। রাস্তার পিচ-পাথর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন আর বোঝার উপায় নেই এখানে এক সময় পাঁকা রাস্তা ছিল। বর্তমান অবস্থা এতোটাই খারাপ যানবাহন তো দুরের কথা পথচারী এমনকি গরু ছাগলও হেটে যাতায়াত করতে পারছে না। এই অবস্থা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের। গ্রামবাসি সিদ্দিক হোসেন জানান, বিজয়াপুর ও শৈলকুপা উপজেলার পিড়াগাতি গ্রামের মাঝে এই দুই কিলোমিটার রাস্তা দুই উপজেলাবাসির জন্য খুবই জনগুরুত্বপুর্ন। অথচ এলজিইডি’র আওতাভুক্ত এই রাস্তাটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন হলেও নির্মানে কোন গুরুত্ব নেই। ফলে বছরের পর বছর কাঁদায় নিমজ্জিত থাকে সবচে গুরুত্বপুর্ন এই সড়কটি। দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তার জন্য দুই উপজেলার ২০ গ্রামের মানুষ ৩০ কিলোমিটার ঘরে ঝিনাইদহ জেলা শহরে আসেন। অথচ রাস্তার দুই পাশে ৩২ কিলোমিটার উন্নতমানের পাকা রাস্তা আছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের পাঁচমাইল নামক স্থান থেকে উত্তর দিকে এই রাস্তাটি ঝিনাইদহের বিজয়পুর, দুর্গাপুর, শৈলকুপার পিড়াগাতি, ফাদিলপুর হয়ে শৈলকুপা উপজেলা শহরে মিলেছে। অন্যদিকে দূর্গাপুর গ্রাম থেকে ঝিনাইদহ শহর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তাও পিচঢালা। কিন্তু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর ও শৈলকুপার পিড়াগাতি গ্রামের মাঝে দুই কিলোমিটার সড়ক রয়েছে চলাচলের একেবারেই অযোগ্য। রাস্তায় বড় বড় গর্ত। এই গর্ত পেরিয়ে ভারী যানবাহন, ভ্যান-রিক্সা দুরের কথা এখন আর পাঁয়ে হেটেও পথ পাড়ি দেওয়া যাচ্ছে না। এখন আর রাস্তাটি দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে এক সময় পাঁকা রাস্তা ছিল। শৈলকুপা উপজেলার পিড়াগাতি গ্রামের আলিনুর রহমান জানান, ফাদিলপুর বাজারটি শৈলকুপা উপজেলার বড় বাজার। এই বাজারের ব্যবসায়ীরা ঝিনাইদহ শহরে মোকাম করতে পারছেন না। যারা করছেন তাদেরও শৈলকুপা শহর হয়ে ঝিনাইদহ যেতে হচ্ছে। এতে তাদের অতিরিক্ত ৩০ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে। তারা দূর্গাপুর হয়ে ঝিনাইদহ গেলে মাত্র ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই যেতে পারে। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পন্য সহজে বাজারজাত করতে পারছেন দুই কিলোমিটার রাস্তার জন্য। এ বিষয়ে তারা একাধিকবার ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করেছেন, কিন্তু রাস্তাটি সংষ্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, এই রাস্তাটি সংষ্কারের জন্য কয়েক দফা উচ্চ পর্যায়ে লিখেছেন। কিন্তু এখনও বরাদ্ধ পাননি। আবারো বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করবেন বলে তিনি জানান। বরাদ্ধ পেলেই দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
বিএনপি যা বলে সবই উন্নয়ন বিরোধী, তাদের লড়াই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে-ঝিনাইদহে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঝিনাইদহ :: বিএনপির লড়াই মুলত স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে এবং মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্বদান করেছিল আওয়ামী লীগের সাথে তাদের সাথে বিএনপির দ্বন্দ সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই। বিএনপি যা বলে তার সবই উন্নয়ন বিরোধী। সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ সার্কিট হাউজের ৩য় তলা ভবনের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে এ দেশ যে যায়গায় এসেছে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল। বাংলাদেশকে এখন ইমাজিন টাইগার বলছে বিভিন্ন দেশ। আমরা নি¤œ আয়ের দেশ থেকে বের হয়ে মধ্যম আয়ের দেশে এসে পৌছেচি এবং আমরা ইতিমধ্যে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে। আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে কয়েকগুন। আমাদের সেই ৫৩০ ডলার থেকে ২২’শ ৭৫ ডলার মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান অনেক উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন প্রায় ৯৯% মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ। রাস্তাঘাটের অবকাঠামোতে ব্যাপক উন্নয়ন। স্কুল কলেজে বিল্ডিংগুলো ব্যাপক ভাবে উন্নয়ন হয়েছে। আমার কিন্তু সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গুমের সংস্কৃতি চালু হয়েছে’ এই মন্তব্যে আপনার কি বলার আছে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফকরুলরা সমস্ত ব্যর্থতা নিয়ে একথা হাস্যকর ছাড়া অন্য কিছু না। জাতি এ সমস্ত কথা কথা প্রত্যাখ্যান করে এবং তাদের কথা সব সময় প্রত্যাখ্যাত হয়। তারা যা বলে সবই উন্নয়ন বিরোধী। তাদের সময়ে তারা যা কিছু করেছে তা সবই মানুষের জানা আছে। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যারা ব্যার্থ, যারা অতীতে ব্যার্থ হয়েছে, যারা অতীতে খুনের রাজনীতি করেছে, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জাতির পিতার হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি বিল পাশ করেছে। যারা সেই স্বঘোষিত খুনিদের মন্ত্রীর মর্যাদায়, রাষ্ট্রদুত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এবং মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি রাজাকার আল-বদর, আল-শামস। যারা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে তাদেরকে কিন্তু মন্ত্রীত্বের পতাকা দিয়েছে। আমরা পরবর্তীতে দেখি যে সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই কিন্তু বিএনপি জোট সরকার তৈরী করেছে। এখনও তারা সেই লড়াই করে যাচ্ছে। মুলত বিএনপির লড়াই বিএনপির লড়াই মুলত স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে এবং মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্বদান করেছিল আওয়ামী লীগের সাথে তাদের সাথে বিএনপির দ্বন্দ সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই। অনুষ্ঠানের ঝিনাইদের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহে বিশিষ্ট শিল্পী বাউল মতলেব ফকিরের নেতৃত্বে জাতীয় শোক দিবস পালনের পর বাউল সঙ্গীত ও পালাগান অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহ :: ৩০শে আগস্ট সোমবার অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ঝিনাইদহের বিশিষ্ট বাউল শিল্পী মতলেব ফকিরের নেতৃত্বে তার নিজ বাসা গয়েশপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাধুসংঘ অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে লালন চর্চা ও গবেষণা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বাউল মতলেব ফকিরের নেতৃত্বে ও আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, কাঙ্গালীভোজের আয়োজনসহ বাউল সঙ্গীত ও পালাগান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ঝিনাইদহ শহরের মুজিব চত্বর এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় জেলার লালন চর্চা ও গবেষণা ফাউন্ডেশনের বাউল সাধুদের জাতীয় শোক দিবসের কালো ব্যাচ পরিয়ে জাতীয় শোক দিবস সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আঃ রশিদ। সেসময় বাউল সাধুদের সভাপতি ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পী মতলেব ফকির বলেন, ঝিনাইদহ জেলার সিনিয়র বাউল শিল্পী ও সাধুরা অত্যন্ত অবহেলিত ও নির্যাতিত। তাদের নেই কোন প্রকার আয়ের উৎস। তারা যেন সমাজের এক প্রকারের বোঝা হয়ে আছে। তিনি বলেন, আমি জাতীয় শোক দিবসের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাননীয় শেখ হাসিনাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত ও নির্যাতিত সিনিয়র বাউল শিল্পী ও সাধুদের ভাতা ও তাদের পূর্ণ পুনর্বাসনের জন্য জোর দাবি করছি। উক্ত শোক দিবস অনুষ্ঠানে জেলার ৬টি উপজেলা থেকে ৩৮জন বাউল শিল্পীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসা প্রায় ৫শত বাউলদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন মতলেব ফকির। আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় ও জেলার বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে বাউল সঙ্গিত ও পালাগান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশিষ্ট কন্ঠের অধিকারী আলমগীর হোসেন। উল্লেখ্য বিশিষ্ট বাউল শিল্পী মতলেব ফকিরের নেতৃত্বে এবার নিয়ে মোট ৩৮তম জাতীয় শোক দিবস পালন করা সুসম্পন্ন হল।
ঝিনাইদহে গরু কান্ড; চোরেদের ফেলে যাওয়া ৬টি গরু ফিরে পেতে একাধিক মালিক আদালতের দ্বারস্থ
ঝিনাইদহ :: গরু ফেরত পেতে এবার আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চারজন গরু মালিক। চোরেদের ফেলে যাওয়া ৬টি গরু পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর ৪ ব্যাক্তি সেই গরুর মালিকানা দাবী করলেও পুলিশ গরু না দিয়ে সঠিক মালিকানা নিশ্চিতে আদালতের আশ্রয় নেয়। এতে আইনের জটিলতায় পড়ে যায় মালিকগন। শেষে বাধ্য হয়ে মালিকগন ২৩ আগস্ট আদালতের দ্বারস্থ হলে ২৬ আগস্ট পুলিশ তার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ নিয়ে পুলিশের ভার্ষ্য ওরা ৪ জন ছাড়াও একাধিক ব্যাক্তি গরুর মালিকানা দাবী করাতে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। মালিকানা দাবীকৃতদের ভার্ষ্য তারা ৪ জন ছাড়া অন্য কেহ গরুর দাবী করেনি। তারপরও পুলিশ তাদেরকে গরু ফেরত না দিয়ে আদালতে পাঠিয়ে নাজেহাল করছেন। বর্তমানে ওই গরুগুলি ঝিনাইদহ কোর্টের হেফাজতে রয়েছে। গরুর মালিকানা দাবী করে আদালতের দ্বারস্থ চার ব্যক্তিগন হলেন, কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মধুগঞ্জ বাজারের এনামুল হক ঈমানের তিনটি, মুন্নার একটি, ঢাকালে পাড়ার পারভেজ রহমান রচির একটি ও পৌরসভার পানির লাইনের কর্মচারী নুর ইসলাম একটি গরু। উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া গ্রামের একটি বাঁশ বাগান থেকে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় ছয়টি গরু উদ্ধার করে। যার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। আদালতে প্রতিবেদন দাখিলকারী কালীগঞ্জ থানার এস আই সুজাত হোসেন জানান, ১৮ আগস্ট উদ্ধারকৃত ৬ টি গরু থানায় আনার পর জিডি ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন থানাতে বেতার বার্তা প্রেরন করা হয়। সেই সাথে প্রকৃত গরুর মালিকদের প্রমানাদি সহ থানাতে যোগাযোগের আহব্বান জানান। তিনি জানান, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক মানুষ গরুগুলো দেখতে আসেন। এ সময়ে স্থানীয় চারজন ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি মৌখিক ভাবে গরুগুলোর মালিকানা দাবি করছিল। এতে দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে পুলিশ বাধ্য হয়েই পরদিন গরুর মালিকানা নিশ্চিত করতে একটি জব্দ তালিকা করে ঝিনাইদহে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ ঘটনায় দাবীকৃত মালিকগনের আদালতে দায়ের করা অভিযোগের প্রতিবেদনটির তদন্তের জন্য গত ২৫ আগস্ট থানাতে আসে। তিনি পূনরায় তদন্ত শেষে পরদিনই ওই প্রতিবেদনের জবাব আদালতে দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করেছে, গরুর দাবীকৃত মালিকগন উপযুক্ত প্রমানদি দেখাতে পারেনী। তাই উপযুক্ত প্রমাণাদি দিয়েই প্রকৃত মালিকগন আদালত থেকে গরুগুলি গ্রহন করবেন। কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, গরু পাওয়ার পর থেকে অনেকেই মালিকানা দাবি করে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে পড়াতে গরুগুলোর জব্দ তালিকা করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত মালিকগন সেখানে প্রমাণ দিয়ে গরু নিয়ে যাবেন।
মহেশপুর সীমান্ত থেকে ভারতে যাওয়ার সময় ১৫ জন আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় ১৫ জনকে আটক করেছে বিজিবি। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কাঞ্চনপুর গ্রামের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো-নাটোরের সিংড়া উপজেলার থানার তেমুখ গ্রামের মৃত মনতাজ আলীর ছেলে জলিল চৌধুরী (৪১), তহুরুল ইসলাম (৩৫) একই গ্রামের আফছার আলী’র ছেলে রুবেল হোসেন (২৬), মৃতঃ আব্দুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫৩), এন্তাজ চৌধুরীর ছেলে উজ্জল চৌধুরী (৪০), সোনা চৌধুরী (৩৮), তরজুল আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৭), মৃত আলী হোসেনের ছেলে আলম আলী (৩৬), রফিকুল চৌধুরীর ছেলে রবিন হুড চৌধুরী (২৪), জহুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৯), রফিকুল ইসলামের ছেলে মিঠুন চৌধুরী (৩২), একই উপজেলার সিংড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪১), গোলাম রসুলের ছেলে কাসেম আলী (৪৪), গাব্বার মিয়ার ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৩) ও মৃতঃ জনাব আলী’র ছেলে হাসেন আলী (৪৯)। ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে কয়েকজন বাংলাদেশী অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাঞ্চনপুর গ্রামের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামীদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহে মোদাচ্ছের হত্যা; গ্রাম ছাড়া ৫০টি পরিবার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া পুটিয়া গ্রামে হত্যা দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি কয়েকটি পরিবার। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ জুলাই পুটিয়া গ্রামে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় আকামত দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুসল্লীদের মাঝে বাক-বিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে পরদিন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোদাচ্ছের হোসেন নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের মিলন-বিপুল বাহিনী গ্রামে লুটপাট, ভাংচুর চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ওই গ্রামের কমপক্ষে ৭০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, গ্রামে মিলন-বিপুল বাহিনীর অত্যাচারে গ্রামের ৫০ টির অধিক পরিবার নির্দোষ হওয়া স্বত্তেও বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে মানবেতর জীবনযানপন করছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, নিহত হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যে মামলায় আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু তারপরও থেমে নেই অত্যাচার। তাই এ অত্যাচার নিপীড়ন বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনের ভুক্তভোগী রজব আলী, যুমনা বেগম, লালমতি খাতুন, কবির হোসেন, বিউটি আক্তার, রোকেয়া খাতুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহে কথিত সাংবাদিক দম্পতির প্রতারণা, বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক প্রতারক ও তার স্ত্রীর প্রতারণা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নারী। সোমবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগি নারী স্বপ্না কর্মকার। তিনি অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়ায় সামস আরেফীন অনু নামের এক প্রতারক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার স্বামীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। বিভিন্ন সময় ওই প্রতারক তাদের বাড়িতে আসত। বাড়িতে আসার সুযোগে স্বপ্নাকে সরাসরি ও মোবাইলে নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পারিবারিক সম্পর্কের কারণে তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকাও ধার নেয় ওই প্রতারক সামস আরেফীন অনু। সর্বশেষ কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় স্বপ্না কর্মকারের স্বামী সনৎ কর্মকারের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। স্বপ্না কর্মকার বলেন, অনু একজন প্রতারক ও লম্পট। তার কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় অনু ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আমরা ওই লম্পটের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।