মঙ্গলবার ● ৩১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন গাইবান্ধার আইনজীবীরা
তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন গাইবান্ধার আইনজীবীরা
সাইফুল মিলন, ষ্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির উপর অতর্কিত হামলা এবং বাড়িঘর ভাঙচুর সহ হুমকিদাতাদের গ্রেফতারের দাবীতে তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন গাইবান্ধা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা।
মঙলবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে এ কর্মবিরতির ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু।
তাদের অভিযোগ, গত ১৭ আগষ্ট গাইবান্ধা জেলা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ প্রিন্সকে তার বাসায় গিয়ে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
এঘটনায় তিনি সদর থানায় একটি অভিযোগ করলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মঙলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আদালতের সকল কার্যক্রম থেকে আইনজীবীরা বিরত থাকবেন।
এসময়ের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর কর্মসূচীর হুশিয়ারী দিয়ে জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, জেলার সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার বাসায় গিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও হুমকি দেয়ার কারনে জেলা বারের সকল আইনজীবীরা তাদের নিরাপত্তা শঙ্কায় ভূগছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় তিনি গোডাউন রোডস্থ তার বাসায় সাদুল্লাপুর থেকে আসা রিয়াজুল জান্নাত নামের এক মোয়াক্কেলের সাথে আলোচনা করছিলেন। এসময় রিয়াজুল জান্নাতের প্রতিপক্ষ লুৎফর রহমান ২০-২৫ জন লোক নিয়ে তার বাসায় ঢুকে রিয়াজুল জান্নাতকে মামলা না করার হুমকি দেয়। এসময় প্রতিবাদ করলে লুৎফর ও তার লোকজন পিপি ফারুক আহমেদের বাসায় ভাংচুর চালায় এবং হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এঘটনায় গত ২৮ আগস্ট লুৎফর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করে পিপি ফারুক আহমেদ প্রিন্স বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে ওইদিনই লুৎফরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অজ্ঞাত আসামীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের এ কর্মবিরতি ঘোষণা দেয় আইনজীবীদের সংগঠন গাইবান্ধা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন।
অন্যদিকে গাইবান্ধা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের
সভাপতি আহসানুল করিম লাছু মঙলবার বিকেলে কর্মবিরতি তুলে নেয়ার জন্য এক নোটিস জারি করেছেন। নোটিসে তিনি উল্ল্যেখ করেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে না জানিয়ে কর্মবিরতির সিন্ধান্ত সাংগঠনিক পরিপন্থি। বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবুর কাছে এমন সিদ্ধান্তের জবাব চেয়ে চিটি পাঠিছেন তিনি।