শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে ৪০ বছর পর শ্মশানের জায়গা বুঝিয়ে দিল প্রশাসন ●   নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ আত্মসাৎকারী নিউটন গ্রেফতার ●   কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের অনুমতি ●   চুয়েটে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এন্ড ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক কর্মশালা ●   খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান ●   বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ●   খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ●   মাটিরাঙ্গায় ট্রাক্টর উল্টে চালক নিহত ●   অদম্য সেরাদের সেরা আইডল অন্বেষণ-২০২৪ শুরু ●   ঘোড়াঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযান অস্ত্রসহ যুবক আটক ●   রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন ●   ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   নবীগঞ্জে মোবাইল চুরির হিড়িক ●   বাংলাদেশ রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিক কারখানায় জনবল সংকট ●   সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকীতে মানুষের ঢল ●   মিরসরাইয়ে শান্তিনীড় বৃত্তি পেলো ১১৫ জন শিক্ষার্থী ●   বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা ●   বিনা প্রয়োজনে রেললাইন স্টেশন স্থাপনে অর্থ লুটপাট : রেল উপদেষ্টা ●   ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব ●   গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ●   ঘোড়াঘাটে কারাবরণকৃত নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় ●   নবীগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার ●   নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন ●   আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে দন্ত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগী ●   যমুনা রেলওয়ে সেতুর দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে : নির্মাণে ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় ●   ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা ●   মিরসরাইয়ে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন ●   চুয়েটে রিসার্চ বেজড টিচিং-লার্নিং ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » কাপ্তাই হ্রদ রক্ষা ও মত্‍স্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নাই
প্রথম পাতা » অপরাধ » কাপ্তাই হ্রদ রক্ষা ও মত্‍স্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নাই
বুধবার ● ৯ মার্চ ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কাপ্তাই হ্রদ রক্ষা ও মত্‍স্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নাই

---

ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৯ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.১০মিঃ) বাংলাদেশ মত্‍স্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট রাঙামাটি কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প উপ পরিচালক এমএ বাশার সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে দেয়া এক স্বাক্ষাত্‍কারে বলেন,কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল জল বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন ৷
এছাড়া বনজ সম্পদ আহরণ, বৃহত্তর পার্বত্যঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ,দুর্গম এলাকায় নৌ চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি, মত্‍স্য চাষ ও আহরণ,কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার সুযোগ সৃষ্টি ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধন ইত্যাদি ৷
তিনি আরো বলেন,কাপ্তাই হ্রদ মত্‍স্য সেক্টরে গুরুত্বত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ৷ এখানে ৭৫ প্রজাতির মাছ রয়েছে ৷ কিন্তু বিভিন্ন কারণে কিছু মাছ বিলুপ্তির পথে, কিছু ক্রম হ্রাসমান ৷ সবথেকে বড় কথা হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদে বড় মাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং ছোট মাছ যেমন, কেচকি, চাপিলা,কাঁটা মইল্যা,আইড়, বাটা, ফলি ও মলা ইত্যাদি মাছের আধিক্য রয়েছে ৷ বিগত বছর গুলোতে হ্রদে মাছের উত্‍পাদন ও আয় বাড়লেও কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছেনি ৷
সরকারী তথ্য থেকে জানা যায়,কাপ্তাই হ্রদ দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার সর্ব বৃহত্‍ কৃত্রিম হ্রদ, এটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয় সমূহের মধ্যে সর্ব বৃহত্‍ ৷ কিন্তু কাপ্তাই হ্রদ রক্ষা ও মত্‍স্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণীত হয়নি ৷ ব্যবস্থাপনা কৌশণ প্রণয়নের জন্য হ্রদ সম্পর্কীয় মৌলিক জ্ঞান ও গবেষণালব্ধ তথ্য অতীব প্রয়োজনীয় ৷ বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পাদিত গবেষণা লব্ধ তথ্য নীতিমালা প্রণয়নে পর্যাপ্ত ছিল না ৷ রাঙামাটিতে মত্‍স্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট তাদের গবেষণা কার্য চালিয়ে আসছে আশি দশকের শেষার্ধ থেকে ৷ ইনষ্টিটিউটের গবেষণা লব্ধ ফলাফল ও অন্যান্য উত্‍স থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির সমন্বয়ে ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নের দিক নির্দেশনা সনি্নবেশিত হচ্ছে খুবই কম ৷
কাপ্তাই হ্রদটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম মত্‍স গবেষণা, মত্‍স চাষ, পর্যটন এলাকা ও বিদেশী মুদ্রা আয়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম ৷
১০৬০ সালে কাপ্তাই হ্রদ তৈরীর পর থেকে ২০১৬ মার্চ পর্যন্ত কোন সরকার কাপ্তাই হ্রদের জায়গার পরিসীমা নির্ধারণ, সৌন্দর্য্য বর্ধন, হ্রদের উন্নয়ন ও সম্পদ রক্ষায় কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন নাই ৷ স্থানীয় প্রশাসন যেমন : পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, মত্‍স্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি), বাজার ফান্ড, পর্যটন কর্পোরেশন, রাঙামাটি পৌরসভা, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, মত্‍স্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট, বাংলাদেশ বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন বোর্ড,পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কেউ এর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যথাযত ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়নি ৷
---
বিগত ১০ বছর ধরে চালানো এক সমিক্ষায় দেখা গেছে কাপ্তাই হ্রদ অবৈধভাবে দখল করে যেসমস্ত হোটেল, মোটেল, বহুতল ভবন, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক বাসা বাড়ী গড়ে তুলেছে তাদের ভিতর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন ইত্যাদি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সরাসরী অবৈধ হ্রদ দখলের সাথে জড়িত রয়েছে ৷
কাপ্তাই হ্রদের জমি দখলের সাথে সাথে বিগত বিএনপি সরকারের সময় থেকে চালু হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দিয়ে, নেট দিয়ে, নদীতে খুটি গেড়ে জাল বসিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নদী দখলের প্রক্রিয়া ৷ এ প্রক্রিয়ার সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক সকল দলের নেতাকর্মী বিভিন্ন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ও স্থানীয় প্রশাসনের এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরাসরী জড়িত ৷

যে কারণে কাপ্তাই হ্রদ থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম কোন সময় পরিচালনা করা হয়নি ৷

এবিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন বলেন, রাঙামাটিতে কোথাও তো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা এই কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা নাই এবং তিনি প্রতিবেদককে বলেন আপনি নির্দিষ্ট করে দেখিয়ে দিন, কোথায় - কোথায় কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা রয়েছে ৷ প্রতিবেদক রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনকে নির্দিষ্ট বেশ কয়েকটি এলাকার নাম উল্লেখ করে বলার পর তিনি ইংরেজিতে বলেন Thank You For Your Kind Information.
কাপ্তাই হ্রদ অবৈধভাবে দখল নিয়ে একজন জেলা প্রশাসক যখন এভাবে মন্তব্য করেন তাহলে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা কে বা কারা তৈরী করে ভোগ দখল করছেন তা হয়তো বুঝতে কারোরই অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ৷
যে কোন সময়ে জনমনে প্রশ্ন জাগতে পারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কাদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করেন ?

জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের রাঘব বোয়ালদের রক্ত চোখ উপেক্ষা করে কাপ্তাই হ্রদের পাড় মুক্ত বা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলির দীর্ঘ দিনের দাবি রয়েছে ৷
কিন্তু এব্যাপারে স্থানীয় জেলা প্রশাসন প্রশাসন ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলি নির্বিকার থাকায় পরিবেশবাদী সংগঠন গুলির আবেদন নিবেদন লাল ফিতার ফাইলে বন্দী হয়ে পড়ে আছে ৷

স্থানীয় পরিবেশবাদী,সচেতন নাগরিক ও স্থানীয় জনসাধারনের দাবি রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশ আইনের আওতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা এই কাপ্তাই হ্রদ থেকে অবৈধ দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা৷





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)