বুধবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বিপৎসীমার ৪০ সে.মি. উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বিপৎসীমার ৪০ সে.মি. উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সাইফুল মিলন, স্টাফ রিপোর্টার :: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, এরেন্ডাবাড়ী ও ফজলুপুর ইউনিয়নে আমন বীজতলা, রোপা আমন, পাট, মরিচ, বেগুন, পটলসহ নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে।
এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের গুনভরি হতে রতনপুর এবং মশামারী হতে ভুষিরভিটা যাওয়ার রাস্তাসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফুলছড়ির রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় কামারজানি ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০টি পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছেন বলে জানান কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বুধবার ৩টা পর্যন্ত ১৪ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ১০ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।
৮০% মানুষকে টিকা প্রদানের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
গাইবান্ধা :: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উপর্যুক্ত ক্ষতিপুরণ ও ডিসেম্বরের মধ্যেই নূন্যতম ৮০% মানুষকে টিকা প্রদানের দাবিতে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অ্যাড. নওশাদুজ্জামান নওশাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু, বীরেন চন্দ্র শীল, জাহেদুল ইসলাম, চপল সরকার, কৃষ্ণ চন্দ্র পাল, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের জেলা সংগঠক শামিম আরা মিনা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত প্রায় দুই বছরে করোনা পরিস্থিতিতে নিম্ন আায়ের মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের সবকিছু হারিয়েছে। সরকারী আর্থিক প্রণোদনা না পেলে এই মানুষরা কোনভাবেই উঠে দাঁড়াতে পারবেনা। সেজন্য নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আর্থিক প্রণোদনা এবং গরীব-নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বল্পমূল্যে রেশন সরবরাহের দাবী জানান।
বক্তারা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ন্যূনতম ৮০% মানুষকে টিকা প্রদান ও করোনা আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে আইসিইউসহ সেন্ট্রাল অক্সিজেন সার্ভিস চালু করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ কিন্ডারগার্টেন ও নন এমওপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের গত এক বছরের বেতন-ভাতা এবং প্রতিষ্ঠান চালু করতে সরকারী আর্থিক প্রণোদনা দাবী করেন।