বৃহস্পতিবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বিপৎসীমার ৫০ সে.মি. উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, পানিবন্দি দেড় হাজার পরিবার
বিপৎসীমার ৫০ সে.মি. উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, পানিবন্দি দেড় হাজার পরিবার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: উজানের ঢলে উত্তরের জেলা গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সাথে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন। ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র ৫০ সেন্টিমিটার ও জেলা শহরের নতুন ব্রীজ পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৩টা থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃহস্পতিবার ৩টা পর্যন্ত ১০ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ০৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।
ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক স্রোত দেখা দিয়েছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের সাতটি ওয়ার্ডে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। এই এলাকায় বসতভিটা, গাছপালা, বাজারসহ অনেক ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে ওই এলাকার লোকজন তাদের ঘর থেকে আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল নিরাপদ স্থানে সরাতে শুরু করেছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঘরগুলো ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী ফজলুপুর ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। বন্যাপিড়ীত লোকজন আর্থিক সংকটে পড়ে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ২ হাজার বিঘা জমির আমন বীজতলা, রোপা আমন, পাট, মরিচ, বেগুন, পটলসহ বিভিন্ন ফসল।
ফজলুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফ প্রামানিক বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় তার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১৫ শতাধিক পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছেন। সরকারিভাবে ত্রান হিসাবে মাত্র ৩ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ক্ষতিগ্রস্তদের তুলনায় অনেক কম।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন
গাইবান্ধা :: স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাইবান্ধা ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার জেলা শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সকল সহযোগী সংগঠনের থানা ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি হাফেজ মাও. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সেক্রেটারী প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আল আমীন বিন হোসাইন, উপদেষ্টা মুহা. মঈনুল হক, প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাও. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যদি অফিস আদালত, বাস, ট্রেন, পার্ক চিড়িয়াখানা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পারে, স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা কেন চলবে না। সরকার প্রায় তিন কোটি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান।