শুক্রবার ● ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » বিরোধীদের মোকাবেলায় সরকার আত্মঘাতি পোড়ামাটি রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেছে
বিরোধীদের মোকাবেলায় সরকার আত্মঘাতি পোড়ামাটি রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেছে
আজ সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সরকারের মধ্যে তত অস্থিরতা বাড়তে শুরু করেছে। বিরোধীদের মোকাবেলায় রাজনৈতিক কৌশলের দিক থেকে তারা এক ধরনের আত্মঘাতি পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করছে। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে তারা এখন ভুতের মত পিছনে হাটতে শুরু করেছে। করোনা দুর্যোগে সর্বশান্ত জীবিত মানুষদের বাঁচানোর রাজনীতির পরিবর্তে ৪০ বছর পর তারা এখন জিয়াউর রহমানের লাশ খোঁজার রাজনীতি শুরু করেছে। এটা সরকার ও সরকারি দলের দেউলিয়া দশা ও হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী একটি দলকে এত নীচে নামতে হবে কেন ? তারা প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অবমাননা করছেন। তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগ ও বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে যখন বিরোধীদল ও জনগণকে আস্থায় নিয়ে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়া জরুরী তখন সরকার খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রাজনীতিতে হিংসা, ঘৃণা আর বিরোধী-বৈরীতা আরও বাড়িয়ে তুলছ্ সরকারের উস্কানীমূলক এসব রাজনৈতিক কৌশল বিদ্যমান সংকট আরো ঘনীভূত করবে; অনাস্থা-অবিশ্বাস কেবল আরও বাড়িয়েই তুলবে।
তিনি বলেন, দুর্যোগজনীত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা, অব্যবস্থা, দুর্নীতি, লুটপাট, বাজারে সিণ্ডিকেটের দৌরাত্ম ও নৈরাজ্য আড়াল করতেই সরকার মানুষের মনযোগ ঘুরিয়ে দিতে তৎপর রয়েছে। নিজেদের উপর অনাস্থা থেকেই তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে দীর্ঘসূত্রিতার আশ্রয় নিচ্ছে; ছাত্রলীগকে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে নির্দেশনা দিয়েছে।
তিনি বলেন, বেপরোয়া সরকার রাজনীতি ও রাজনীতিকদেরকে সাইড লাইনে বসিয়ে রেখে সমগ্র গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙ্গে দিয়ে বলপ্রয়োগের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে দেশ চালানোর বিপজ্জনক পথে হাঁটছে। ভোটের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। এসব গুরুতর অশনি সংকেত; যা কারও জন্যই শুভ নয়। তিনি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে অধিকার আর ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির রাজপথের কার্যকরি ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা রাশিদা বেগম, এ্যাপোলো জামালী, সাইফুল ইসলাম, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, সংহতি জানান সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বাবু, সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম কাজল প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ দেশের প্রতিটি নাগরিককে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, এলপিজি সিলিণ্ডার গ্যাসের দাম কমানো, জালিয়াত-মুনাফাখোর বাজার সিণ্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, উত্তরাঞ্চলে বন্যা কবলিত জেলাসমূহেহহ জরুরীভিত্তিতে ত্রাণ তৎপরতা শুযরুর আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, আন্দোলনে সরকারকে পিছু হঠাতে না পারলে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মর্যাদা কিছুই রক্ষা করা যাবে না।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন, বিয়জনগর প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।