রবিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে এইচএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
গাজীপুরে এইচএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :: এইচএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, অটোপাশ হওয়া শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা ফেরত না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী কাজী আজিমউদ্দিন কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে জোরপূর্বক সেশন ও অন্যান্য ফি আদায়ের অভিযোগ এনে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই কলেজের মানবিক বিভাগের এক শিক্ষার্থী।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ১৬০টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১ হাজার ৭০টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বিভাগভেদে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা ফি আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষার জন্য শুধু বোর্ড নির্ধারিত পরীক্ষা ফি ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বকেয়া বেতন ছাড়া অন্য কোনো অর্থ আদায় করতে পারবে না প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে সেশন ফিসহ অন্যান্য অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
শিক্ষাবোর্ডের তথ্যমতে, কোন অবস্থাতেই পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবককে প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে আসতে বলা যাবে না, প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে। এ মর্মে বিশেষভাবে নির্দেশনা দেয়া থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজ শিক্ষার্থী বা তার অভিভাবকের সচল মোবাইল ফোনে পাওনাদি উল্লেখ করে এসএমএস প্রেরণ করবে, কিন্তু একাধিক শিক্ষার্থী বলছেন তারা কলেজ থেকে কোন এসএমএস পাননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা জানান, ২ বছরের বকেয়া বেতন, পরীক্ষা ফি, সেশন ফি ও অন্যান্য ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৪-১৫ হাজার টাকা আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ফি পরিশোধ করতে অনেক অভিভাবকই বিপাকে পড়ছেন। এছাড়াও শিক্ষাবোর্ড ২০১৯-২০ সেশনে অটোপাশ হওয়া শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা ফেরত দিতে বললেও তা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তারা।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন-অর-রশিদ হাওলাদার জানান, ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক অর্থ আদায় করা হচ্ছে। ৬৩৯ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে ফরম পূরণ করলেও অনেকেই অনলাইন সিস্টেমটা বুঝতেছে না, ফলে তারা কলেজে এসে ফরম পূরণ করছে।