সোমবার ● ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » অত্যাবশকীয় খাদ্যপণ্যের মুল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী ভিত্তিতে ‘মুল্য নির্ধারণ কমিশন ‘ গঠন করুন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
অত্যাবশকীয় খাদ্যপণ্যের মুল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী ভিত্তিতে ‘মুল্য নির্ধারণ কমিশন ‘ গঠন করুন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে চাল,ডাল,তেল,চিনি,লবণসহ অতি আবশ্যক নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর পাইকারী ও খুচরা মূল্য নির্ধারণে ‘মূল্য নির্ধারণ কমিশন’
গঠনের দাবি জানিয়েছেন এবং বলেছেন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম রোধে এই কমিশন গঠন জরুরী। উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত এই কমিশন চাহিদা ও যোগানের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অতি জরুরী এসব খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং সরকার কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করবে।এসব মূল্য তালিকা জনগণকে ভালভাবে অবহিত করারও ব্যবস্থা করতে হবে।
একই সাথে তিনি এসব পণের উৎপাদন, পরিবহন,বিপনন ও আমদানির ক্ষেত্রেও সরকারকে ভূমিকা গ্রহণের আহবান জানান।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় এই উদ্যোগ নিয়ে ইতিমধ্যে আবশ্যিক খাদ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এসেছে।সমাজতান্ত্রিক দেশ ছাড়াও পৃথিবীর বহুদেশে এইভাবে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের অকার্যকারীতায় বাজার সিন্ডিকেট দেশের মানুষকে পুরোপুরি জিম্মি করে ফেলেছে।এদের দৌরাত্মে স্বল্প আয়ের কোটি কোটি মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। ব্যবসায়ী, মিলার, ফডিয়া মধ্যস্বত্বভোগীরা যা খুশী তাই করে চলেছে। বাস্তবে সরকারের বাজার মনিটরিং বলতে কিছু নেই।তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার ও প্রশাসনের পরোক্ষ ছত্রছায়ায় বাজার সিন্ডিকেটসমূহ চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে।প্রতিদিন মানুষের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা এরা বাডতি হাতিয়ে নিচ্ছে।
তিনি বলেন,চাল, তেলসহ খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও যোগান থাকার পর ধারাবাহিকভাবে এসব পণ্যের মুল্যবৃদ্ধির কোনই কারণ নেই।চালের যেটুকু ঘাটতি ছিল আমদানি করে তা পূরণ করা হয়েছে।
তিনি সরকারকে আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের মুল নিয়ন্ত্রণ করে চরম দুর্ভোগে থাকা ভোক্তাদের খানিকটা স্বস্তি দিতে জরুরিভাবে সরকারের দিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেবার আহবান জানিয়েছেন।