সোমবার ● ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের টয়লেট থেকে নবজাতক উদ্ধার
খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের টয়লেট থেকে নবজাতক উদ্ধার
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেট থেকে সদ্য জন্ম নেয়া এক কন্যা শিশু উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর সকালে কান্নার শব্দ শুনে টয়লেট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
কলেজের প্রভাষক রেশমি চাকমা বলেন, কান্নার শব্দ শুনে টয়লেট থেকে একটি নবজাতক উদ্ধার করে কলেজের অফিস সহায়কসহ স্থানীয়রা।
নবজাতকটিকে খাগড়াছড়ি মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, নবজাতকটি বর্তমানে ভালো আছে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের সমাজ সেবা অফিসার নাজমুল হাসান জানান, নবজাতকটির চিকিৎসাসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি প্রভেশনাল অফিসার প্রীতি বিজয় চাকমা জানান, নবজাতকটির কেউ না থাকায় অভিভাবক নির্ধারণে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মহালছড়িতে ২৪৫পিস ইয়াবাসহ আটক-২
খাগড়াছড়ি :: খাগড়াছড়ির মহালছড়ি সরকারি কলেজ মোড় ২৪ মাইল নামক এলাকায় ২৪৫পিস ইয়াবাসহ ২মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৪৫মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহালছড়ি থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ইায়াবাসহ আটক করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো গুইমারার হাফছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. ফজলুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক(২৪) ও একই এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মোঃ আবুল হাশেমের ছেলে মো. আকাশ(২৪)।
মহালছড়ি থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ বলেন, উদ্ধারকৃত গোলাপী বর্ণের ইয়াবা ও আসামীদের ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মো. ওমর ফারুক (২৪) এর হতে ১৪৫পিস ও মো. আকাশ (২৪) হতে ১০০পিস গোলাপী বর্ণের ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাদের ২জনকে সোমবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
পানছড়িতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে এলজিইডি’র চলমান কর্মযজ্ঞ
খাগড়াছড়ি :: পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির অপরাপর উপজেলাগুলির ন্যয় প্রত্যন্ত পানছড়ির জনপদের উন্নয়নেও এলজিইডির কর্মযজ্ঞ চলছে অব্যাহত গতিতে।
দেশের পল্লি অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ এবং হাট-বাজার ও গ্রোথ সেন্টার উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এলজিইডি যে অবদান রেখেছে তা আজ দৃশ্যমান।
বিশেষ করে এ উপজেলায় ২০২০-২১ইং অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে বাস্তবায়িত কাজ গুলো চোখে পড়ার মতো।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, PDP-4 প্রকল্পের আওতায় গংগারাম, লোগাং, মেহেরচাঁন, কালানাল, মির্জাটিলা, হাসান নগর ও উত্তর ফাতেমানগর বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার ১১টি স্কুলের একাডেমিক ভবন ১১কোটি টাকা,
রাবার ড্যাম ৩কোটি ৬২লক্ষ টাকা, ৫টি স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল ১কোটি টাকা, ফাতেমা নগর ৪কি.মি. রাস্তা ৪কোটি টাকা, করল্যাছড়ি ১কি.মি. রাস্তা ২কোটি টাকা, উপজেলা পরিষদ সম্প্রসারিত ভবন ও হল রুম নির্মাণে ৫কোটি ৮০লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
গংগারাম-দীঘিনালা ১০কি.মি. রাস্তা নির্মাণে ১০কোটি টাকার কাজ ছাড়াও এ উপজেলায় ব্রীজ-কালভার্টের নির্মাণ কাজসহ প্রায় শতকোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন ও চলমান রয়েছে।
এছাড়াও RIDP-2 প্রকল্পের আওতায় করল্যাছড়ি, চিকনছড়া, ফাতেমা নগর, কলেজ গেইট, নালকাটা, তারাবনছড়া, হাসাননগরে সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পানছড়ি রাবার ড্যামে স্মল স্কিল ও বিভিন্ন স্থানে এলজিইডির ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ও চলমান রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অরুন কুমার দাশ জানান, দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করা। যাতে গ্রামের লোকজনকে শহরমূখী হতে না হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ভিশনের লক্ষ্যে পানছড়িতে স্বচ্ছতার সাথে এলজিইডির কার্যক্রম চলমান। ২০২০-২১ইং অর্থবছরের চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব বলেন, এ উপজেলায় এলজিইডি’র পাশাপাশি এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলছে। এটা বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের অবদান। এ এলাকায় শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নাই।
তবে একটি চক্র সরকারের এ উন্নয়ন কার্যক্রম ও উপজেলার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে কাল্পনীক অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল মোমিন বলেন, পানছড়িতে এলজিইডি’র উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো দৃশ্যমান। উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র ও অসহায়দের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতা, আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মাণসহ নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে উপজেলাবাসী৷
উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগ তথা বর্তমান সরকারের কোন বিকল্প নেই।