মঙ্গলবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » পাটের দাম মণ প্রতি কমেছে ২০০-৫০০ টাকা : হতাশ কৃষক
পাটের দাম মণ প্রতি কমেছে ২০০-৫০০ টাকা : হতাশ কৃষক
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে কমেছে পাটের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার হাট-বাজারগুলোতে পাটের দাম মণ প্রতি কমেছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। এতে হতাশ কৃষকেরা। পাটের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। জানা গেছে, ৬টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম কৃষি পণ্যে ও পাটের হাট শৈলকূপা উপজেলাতে। সকাল থেকে এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামসহ আশপাশের এলাকা থেকে পাট নিয়ে হাটে আসেন কৃষকেরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগরমে জমে উঠে বেচা-কেনা। চলে দরদাম। গত মঙ্গলবার শৈলকূপা হাটে প্রতি মণ পাট প্রকার ভেদে ২৫’শ টাকা থেকে শুরু করে ২৯’শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের থেকে ২’শ থেকে ৫’শ টাকা কম। হঠাৎ পাটের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশংকা করছে কৃষকেরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভারি হবে লোকসানের পাল্লা। তাই পাটের দাম বাড়ানোর দাবি তাদের। কৃষকেরা জানান, যদি দাম না বাড়ে তাহলে পরবর্তী বছরে পাটের চাষ ছেড়ে অন্য ফসলের চাষ করবেন তারা। ঝিনাইদহ শৈলকূপা বণিক সমিতির সভাপতি ও ব্যবসায়ী মো. লিয়াকত জোয়ার্দ্দার জানান, আমদানি বেশি আর করোনার কারণে অনেক মিল কারখানা বন্ধ রয়েছে। সে জন্য কর্তৃপক্ষ পাট না কেনায় দাম কমেছে। আগামীতে দাম আরও কমার আশংকা রয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রতি মঙ্গল ও শনিবার এ হাটে ১০ থেকে ১১ হাজার মণ পাট কেনা-বেচা হয়। যা পাঠানো হয় ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন পাটকলে। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, এ বছর জেলায় ২২ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিদের পাটে ফলন ভাল হয়েছে। সব কলকারখানা যদি খুলে যায় এবং পাটের ব্যবহার শুরু হলেই বাজারে পাটের দাম উঠতে পারে। তবে কৃষক ভাইদের জন্য পরামর্শ যদি তারা এটি ধরে রেখে পরবর্তীতে বিক্রি করে তাহলে ভাল দাম পেতে পারে।