শুক্রবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » গাজিপুর » শ্রমিকদের ১০ দফা দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বিএফডাব্লিউএস
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বিএফডাব্লিউএস
গাজিপুর :: আজ ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় আশুলিয়া প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন (বিএফডাব্লিউএস) সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের সহ সভাপতি অরবিন্দু বেপারি বিন্দু।
সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রমিক নেত্ববৃন্দ বলেন, করোনা মহামারীর এই দূর্যোগে দেশের শ্রমিকশ্রেণীসহ শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষ সব দিক থেকে এক কঠিন সময় পার করছে। সরকার আর মালিকদের চরম স্বেচ্ছাচারীতার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদেরকে উৎপাদন চালিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু সরকার ও মালিকেরা শ্রমিকদেরকে দেওয়া তাদের কথা রাখেনি,বরং তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। মালিকেরা শ্রমিকদের যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করেনি,তাদেরকে কোন ঝুঁকি ভাতা দেয়নি,মহামারী মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়নি। এখনও শ্রমিকেরা বাস্তবে টিকার বাইরে। এই সময়েও শ্রমিকেরা আগুনে পুড়ে কয়লা হয়েছে, নানা দূর্ঘটনা আর নির্যাতন - নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। খাদ্যসহ সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। বাজারের এই আগুনেও শ্রমজীবীরা পুড়ে মরছে। দেশে কোন সরকার আছে বলে মনে হয় না। সরকার দেশ চালাতে পুরাপুরি ব্যর্থ। ভোটের অধিকার তারা আগেই কেড়ে নিয়েছে, এখন ভাতের অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে। মানুষের মান ইজ্জতও হুমকির মুখে।
এসময় জোবায়ের সরকার, এ্যাডভোকেট সুমন আহমেদ, সোবেদা সরকার আকলিমা,পবিত্র এববর, আলাল মোল্লা আওয়াল, সাজাহান আলী,ইউনুছ আলী বেলাল মাস্টারসহ কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিক সংগঠনের নেত্ববৃন্দ শ্রমিকদের পক্ষে ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি সমুহ :
১. বর্তমান বাজারের অবস্থা অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী ২১ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
২. শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা, পরিবহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত ও যাবতীয় বকেয়া বেতন ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।
৩. স্বল্পভাডায় শ্রমিকদের বাসস্থান, চিকিৎসা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৪. কারখানায় শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কারখানা চলাকালীন ফ্লোরে ফ্লোরে কোন ভাবেই তালা মেরে রাখা যাবে না।
৬. রুপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়লা শ্রমিক পরিবারকে এক জীবনের আয়ের সমান টাকা কমপক্ষে ৫০ লক্ষ করে প্রদান করতে হবে। আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মুনাফাখোর ও দায়িত্বহীন নিষ্ঠুর মালিকদের শাস্তির বিধান করতে হবে।
৭. শ্রমিকদের বাচাঁর ন্যায্য আন্দোলনকে ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ ও মাস্তান দিয়ে দমন করা যাবে না।
৮. শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূল সকল মিথ্যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।কথায় কথায় শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের হুমকি-বন্ধ করতে হবে।
৯. অগণতান্ত্রিক ও শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সকল শ্রম আইন বাতিল করতে হবে।
১০. শিল্পাঞ্চলে ২শত শয্যা বিশিষ্ট শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল করতে হবে ইত্যাদি।