শুক্রবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা
ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র(কুয়িক রেন্টাল) চালানোকে দায়মুক্তি দিয়ে আরও পাঁচ বছর সময় বৃদ্ধি করে গতকাল জাতীয় সংসদে আইন পাশে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন এটা দেশবাসীকে দেয়া সরকারের ওয়াদার বরখেলাপ।এতদিন বলা হচ্ছিল ভাড়াভিত্তিক দায়মুক্তির এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আর সময় বাডানো হবে না।
বিবৃতিতে তিনি বিদ্যুৎ এর কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোকে শ্বেতহস্তি পোষা হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, এই শ্বেতহস্তি টিকিয়ে রাখতে ইতিমধ্যে সরকারকে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিশাল অংকের অর্থ বাড়তি দিতে হয়েছে, যার কোন জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নেই।তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় গত এক যুগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে চুরি আর দুর্নীতির লীলাক্ষেত্রে পরিনত করা হয়েছে। এই কারনে দায়মুক্তির বিধানও আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে,যাতে এসব নিয়ে দেশের মানুষ কোন আইনী পদক্ষেপ নিতে না পারে।
তিনি উল্লেখ করেন, এতদিন ধরে বলা হচ্ছিল বিদুৎ এর ঘাটতি নেই এবং উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ উপযুক্তভাবে ব্যবহার ও করা যাচ্ছে না।এখন আবার শুনতে হচ্ছে বিদুৎ এর ঘাটতির কথা।তিনি বলেন,সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ কুইক রেন্টাল এর কিছু কোম্পানির অনিয়ম ও লুটপাটকে জায়েজ করতেই সরকারি বড় বড় বিদুৎ কেন্দ্রকে বন্ধ রাখা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গোটা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারীতা চলছে।সেবার মান না বাডিয়ে দফায় দফায় বিদুৎ এর দাম বাড়ানে হচ্ছে।এই খাতের চুরি,দুর্নীতি, অনিয়ম,অব্যবস্থাপনার দায় চাপানো হচ্ছে বিদুৎ এর সাধারণ গ্রাহকদের উপর। তিনি বলেন, সারা দুনিয়া যখন নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে তখন বাংলাদেশে রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মত প্রাণ - প্রকৃতিবিনাশী প্রকল্প চালুর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি দায়মুক্তির বিধান রেখে বিদ্যুৎ এর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত আইন বাতিল করার আহবান জানান।একই সাথে তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়ম, চুরি, লুটপাট ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করারও দাবি জানান।