বৃহস্পতিবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে জাতীয় শিশু কন্যা দিবস পালিত
রাউজানে জাতীয় শিশু কন্যা দিবস পালিত
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানে জাতীয় শিশু কন্যা দিবস পলিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল কুদুস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চৌধুরী মনিরুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন, সমবায় কর্মকর্তা মজিবুর রহমান সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, শিশু কন্যা মা বাবার বোঝা হতে পারে না। এই ধ্যন-ধারণা থেকে সকলকে উর্ধে উঠে কন্যা শিশু কন্যাকে যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। মেয়ের এখন পিছিয়ে নেই। দেশ বিদেশে নারীরা অবদান রেখে চলেছে। নারী জাতি শিক্ষিত হলে দেশ উন্নয়ত হবে। তাই শিশু কন্যাদের সুশিক্ষিত করে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
রাউজানে অভিনব কায়দায় সর্তা খালের চর ও ফসলী জমি কাটার মহোৎসব! নিরব প্রশাসন
রাউজান :: অভিনব কায়দায় সর্তা খালের চর ও ফসলী জমি কাটার মহোৎসব চলছে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াজিষপুর- ডাবুয়া ও চিকদাইর ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া এলাকায়। বিশেষ এক পদ্ধতি ব্যবহার করে যান্ত্রিক মেশিনের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে জমির মাটি কাটার ফলে তিন ইউনিয়নে কয়েক শতাধিক কৃষকের জমি খালের গর্ভে বিলিন হচ্ছে। অনেক কৃষক ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মাটি ও বালু খেকোদের কু-নজরে পড়া রাউজান উপজেলার ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া, ১৫ নং নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর ও চিকদাইর ইউনিয়নের সীমনা পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, সর্তা খালের পাড় ঘেঁসায় কয়েক’শ একর উর্বর ফসলী জমি। শুকনো মৌসুমে পানির সুবিধা থাকায় এ জমি গুলো সবজি ও ফলের বাগান বেশি করে থাকেন কৃষকরা। বর্তমানে এ জমি গুলোতে আঁখ, পেয়ারা, লেবু, পেঁপে সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও বিভিন্ন ধরনের সব্জির চাষাবাদ রয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সর্তা খালের ভাঙ্গনে কিছু কিছু জায়গা চর এলাকায় পরিনত হয়। এসব জেগে উঠা চরেও প্রতি বছর কৃষকরা বিপুল পরিমান সব্জি উৎপাদন করে থাকে। কৃষকের জমি ও জেগে উঠা জমির উপর নজর পড়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের। গত এক বছর ধরে দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু সমাজকর্তার ইন্দনে সর্তার খালে বাঁশের চালার উপর পাওয়ার পাম্প বসিয়ে নির্বিচারে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। অন্যদিকে সর্তার খালের পাশে থাকা ফসলী জমি ভাঙ্গা হচ্ছে পাম্প মেশিনের পানি ঢেলে। রাউজানে মাননীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ফসলী জমি কাটা ও ভরাট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছেন। সেই লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, নোয়জিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর বাঁশডুয়াতল এলাকার কালা বাঁশি নামে এক কৃষকের ক্ষেতের জমির মাটি কেটে নিয়ে গেলে জমি গুলো খালের মধ্যে বিলিন হয়ে যায়। সেই মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে, মাটি খেকোরা তাকে মারধর করে। অভিযোগ রয়েছে কৃষক কালা বাঁশি মারধরের অপমানে মৃত্যু হয়েছে। রাউজানের পশ্চিম ডাবুয়া এলাকার ভৈরব সওদাগরের বাড়ীর বাসিন্ধা দুলাল পাল বলেন, কার কথা কে শুনে। বালু উত্তোলন করায় আমার দুই কানি ফসলী জমি খালের গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বালু খোকোদের বিরুদ্ধে কোন কথা বললে তারা আমাকে নির্যাতন করবে। একই এলাকার কৃষক মিলন পাল বলেন, সর্তা খাল থেকে বালু উত্তোলন ও জমি থেকে মাটি কাটায় আমার ক্ষেতের ১শত লেবু , ৫০টি সুপারী, ৩০টি আমড়া ও ২০টি কলপ আম গাছ সহ ২০ শতক ফসলী জমি সর্তার খালে বিলিন হয়ে গেছে। একই এলাকার বাসিন্ধা কৃষক অমল নাথ বলেন, তার ফসলসহ ১০ শতক জমি বিলিন হয়ে যায় খালে। পাশর্বর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার আবদুল্লাহ পুর এলাকার বাসিন্ধা শামশুল আলমের ১২ শতক জমি ফসলসহ মাটি কেটে নেওয়ায় তার জমি সর্তা খালের বিলিন হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন এম. সরোয়ার্দী সিকদারকে মুঠো ফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বালু ও মাটি উত্তোলনের বিষয়ে কোন কৃষক আমাকে অভিযোগ করেননি। জমি কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জানাবো। এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির বলেন, রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী কৃষি জমি রক্ষায় কঠোর রয়েছেন। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও কৃষি জমি কাঁটার সাথে জড়িত কাইকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।