রবিবার ● ৩ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » জিয়াউদ্দিন আহম্মদ বাবলু ইন্তেকাল
জিয়াউদ্দিন আহম্মদ বাবলু ইন্তেকাল
রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ৮ নং কদলপুর ইউনিয়নের বাচির মো. চৌধুরীর বাড়ির এক সূর্য সন্তান ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মদ বাবলু। মাত্রা ৬৬ বছর বয়সে চলে যান না ফেরার দেশে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৯টা ১২ মিনিটে তিনি রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ই সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে একবার লাইফ সাপোর্টেও নেয়া হয়েছিল। শনিবার সকালে চলে যান না ফেরার দেশে। জাতীয় পার্টিও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মদ বাবলুর জানাজার নামাজ শেষে ঢাকায় তার ভাই হাসান মাহমুদ চৌধুরীর কবরের পাশে দাফন করা হয় বলে জাকয়ি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন সিদ্দিকি জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালেট্ট্টগ্রামের রাউজানে জম্মগ্রহণ করেন করেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। ১৯৮১-৮৩ মেয়াদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ওই মেয়াদেই ডাকসুর জিএস নির্বাচিত বাবলু। ডাকসুর জিএস থাকাকালীন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দলে যোগ দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর ১৯৮৫-৮৬ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী, ১৯৮৬-৮৭ সালে বন্দর ও নৌপরিবহন উপমন্ত্রী, ১৯৮৭ সালে অর্থ প্রতিমন্ত্রী, ১৯৮৭-৮৮ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ও ১৯৮৮-৯০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বাবলু। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর আগেই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের ভাগ্নি মেহেজাবুন্নেসা রহমান টুম্পাকে বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী অধ্যাপক ফরিদা আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মদ বাবলুর পৈতৃক নিবাস রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মদ বাবলুর মৃত্যুর সংবাদে তার পৈতৃক বাড়ী রাউজানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রাউজানে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে বাল্য বিয়ে পন্ড করলো ইউএনও
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জানালী হাটস্থ নন্দন কমিনিউটি সেন্টারে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ। আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বর-কনে ও বর-কনের পিতা মাতাকে আটক করেন নির্বাহী অফিসার। জানা যায়, ৯৯৯ নাম্বারের ফোন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশ ও অনাসার বাহিনীর সহায়তায় এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের পিতা সানাউল্লাহকে ১০ হাজার টাকা ও বরের পিতা সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।। জানা গেছে, কনের ১৮ বছর বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কনেকে তার পিতার ঘরে রাখার মুছলেখা নেন নির্বাহী অফিসার।জানা গেছে, রাউজান উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নের আধারমানিক গ্রামের সানাউল্লাহর কন্যা শারমিন সুলতানা মাধ্যম আধারমানিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সাথে ৯ জুলাই পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আইলী খীল এলাকার সিরাজুল ইসলামের প্রবাসী পুত্র মোঃ ইকবাল হোসেনের সাথে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামা হয়। বিয়ের পর গতকাল ছিল বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান। সেখানে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বর্ধিত সভা
রাউজান :: আসন্ন শারদীয়া দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২ অক্টোবর বিকালে রাউজান রাস বিহারী ধাম প্রাঙ্গনে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী সভাপতিত্বে ও উপজেলা জম্মাষ্টামী পষিদের সচিব তপন দে’র সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন দে, সহ সভাপতি ডা. সুজিত দত্ত, রুনু ভট্টাচার্য, রবিদ্র লাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক অশোক পালিত, সাংবাদিক প্রদীপ শীল, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, পূজা পরিষদ নেতা উজ্জল কান্তি দাশ, মিঠু শীল, দিলীপ দে, রিগেন শীল,অনিক দাশ গুপ্ত সহ উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপের সভাপতি সম্পাদকগন বক্তব্য রাখেন।
সভায় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী বলেন, দুর্গোপূজার মূল লক্ষ্য মায়ের আরাধনা। স্বার্থিক পূজার মাধ্যমে বিশ্বজননী দুর্গা মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে উৎসব পড়ে, পূজা আগে। সাধারণ সম্পাদক সুমন দে বলেন, রাউজানের সাংসদ আমাদের বটবৃক্ষ। তিনি অসম্প্রদায়ীক চেতনায় বিশ্বাসী হিসাবে রাউজানের প্রতিটি মঠ ও মন্দিরের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনি আসন্ন দুর্গা পূজা ভক্তি ও শ্রদ্ধায় পালনের আহবান জানান।