রবিবার ● ৩ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে কৃষকদের পাওয়ার পাম্প মেশিন বিতরণ
ঝালকাঠিতে কৃষকদের পাওয়ার পাম্প মেশিন বিতরণ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ১০টি পাওয়ার পাম্প মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ মেশিন বিতরণ করা হয়। সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৩০ জন কৃষককে নিয়ে গঠিত ১০টি ক্লাবে থাকবে এ মেশিন।
খড়ায় পানির অভাবে যাতে কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে না যায়, তাই জলাশয় থেকে পানি তোলার জন্য পাওয়ার পাম্প দেওয়া হয়। ফলে সদর উপজেলায় তিন শতাধিক কৃষক পাওয়ার পাম্প ব্যাবহারের সুবিধা পাবেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাওয়ার পাম্প মেশিন বিতরণের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য,১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার,ভাইস চেয়ারম্যান মঈন তালুকদার,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী,ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আকনসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে রাতের আঁধারে জমি দখলের চেষ্টা,পুলিশের হস্তক্ষেপে রক্ষা
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির রাজাপুরে রাতের আঁধারে অন্যের ঘর চুরিকরে তুলে নিয়ে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলে প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম (৩৫)কে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে উপজেলার বাইপাস মোড় (কাঠালিয়া) সড়কের পাশে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাইপাস মোড় (কাঠালিয়া) সড়কের পাশে
মৃত মহসিন তালুকদারের জীবদ্দশায় ১৯৯৬ সালে তার ওয়ারিশ সেলিম তালুকদারের অংশ থেকে রাজাপুর ৪৭ নং মৌজার ১০২২ খতিয়ানের ও ১৯৯৪ সালে সাহাবুদ্দিনের নিকট হইতে ১৯৪১ নং খতিয়ানের এস এ ৪৭৮২/ ৪৭৮৫ নং দাগ থেকে ২৯ শতাংশ জমি সাব কবলা মূলে রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে এরা আমাকে রেজিস্ট্রি করে দেয়।
ওই দুই দাগের জমির মধ্যে সামনে দোকান ঘর করে ভাড়া দিয়েছি,পারিবারিক কবরস্থান করেছি ও বসতঘর নির্মাণ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে ওই জমিতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মো.আফজাল তালুকদারের নেতৃত্বে নাসীর হায়দার সীপন, মো.মোস্তফা হাং, মনির হাওলাদার,মো.হৃদয়,মো.দুলাল হাওলাদার,স্বপন হাওলাদার,মনির বিশ্বাস,মো.সাবু হাওলাদার,আব্দুল মজিদ মল্লিকসহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসীরা মো.মোস্তফা হাওলাদারের বসত ঘরের সামনের পারিবারিক কবরস্থানের মধ্যে রাস্তার পাশে একটি দোকান ঘরের কাচখুটি নিয়ে রাখে।
এতে মোস্তফা ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম বাধা দিলে তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় মোস্তফা হাওলাদারের স্ত্রী কামরুন্নাহারের শ্লীলতাহানি করে বলে তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম অভিযোগ করেন। ঐ রাতে আশেপাশের প্রতিবেশিরা তাদের জানালাদিয়ে তাকিয়ে থাকলেও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে দেশিও অস্ত্রসস্ত্র দেখে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। মোস্তফা উপায়ন্ত না পেয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কল করে পুলিশকে খবর দেয়। সাথে সাথে রাজাপুর থানার এ এস আই হাসানসহ একটি টিম ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা মোস্তফার বাড়ির টিনের বেড়া ভেঙে তছনছ করে ফেলে ও উক্ত জমির উপর কিছু মেহগনি,রেন্ট্রি গাছের সাইজ করা কিছু গাছ কাটা রাখা ছিল তার অর্ধেক নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন।
অপরদিকে অভিযুক্তরা রাতের আঁধারে উক্ত কাচখুটি খিলানো তৈরি করা দোকান ঘরটিকে ঐ রাতেই আলগি গ্রামের ফারুক ফরাজির ভাঙ্গারীর ব্যবসার দোকান। সন্ত্রাসীরা চুরি করে ঠেলা গাড়িতে করে নিয়ে আসে মোস্তফার বাড়ির জমি দখল করতে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, জমি জমা কিছুই না এটাকে বলে জবরদখল করে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়া। বছর খানেক আগে অন্য লোকের মাধ্যমে মোস্তফার কাছে ৫০হাজার টাকা দাবি করেছিল উক্ত সন্ত্রাসীরা। কিন্তু মোস্তফা টাকা না দেওয়ার কারণে রাতের আঁধারে উক্ত দখলের পাঁয়তারা করছে।
আরো প্রতি বেশিরা জানায়,অভিযুক্তরা রাতের আঁধারে ঘর তুলে মোস্তফা হাওলাদারের ভোগদখলীয় জমি দখলের পাঁয়তারা করছে। তবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সময় মত উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সন্ত্রাসী বাহিনীরা পালিয়েছে। এ জন্য রাজাপুর থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই ও ওসি সাহেব খুব ভালো মানুষ তাকে মনদিয়ে দোয়াকরি।
ভুক্তভোগীরা আরোজানায়,ঘটনার দিন থেকে আমরা রাতে ঘুমাই না আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। তারা পারে না এমন কোন কাজ নেই। রাতে ডাকচিৎকার দিয়ে হুমকি ধাম কি দিতেছে আমাদের খুন করে ফেলবে। তাই জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এই ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযুক্ত মো.আফজাল তালুকদার রাতের আঁধারে ঘর তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার জায়গায় ঘর তুলেছি। রাতে তুলছেন কেন? এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি। রাজাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. সহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।