সোমবার ● ৪ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলা : পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলা : পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইমরানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে এই হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে রবিন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ইমরান গাইবান্ধা সদর উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে ও রবিন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসু মিয়ার ছেলে।
সোমবার ৪ অক্টোবর সকালে গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান ও রবিনকে গ্রেফতারের কথা জানান পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, এজাহার নামীয় আসামী ইমরানকে রবিবার ৩ অক্টোবর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার এক লোহা গলানোর কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইমরানকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকায় রবিন নামে আর একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই দু’জন আসামীর কাছ থেকে পুলিশ অনেক তথ্য পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচিত এই হত্যাকান্ড কি কারণে ঘটেছে এবং কেন করা হয়েছে পুলিশ তা জেনেছে তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
গত ১১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাইবান্ধা শহরে পুরাতন বাজার থেকে ঔষধ কিনে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়ার বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় গাইবান্ধা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পুর্বপাড়ার হালিমবিড়ি ফ্যাক্টরি মোড় এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় এক যুবক কাঞ্চান ও তার সহযোগীরা ছাত্রলীগ নেতা রকির মটরসাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রকিকে মৃত ঘোষনা করেন।
পরে নিহত ছাত্রলীগ নেতা রকির বড় ভাই আতিকুর রহমান সরকার বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় কাঞ্চনকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়। এঘটনায় তাঁদের মধ্যে এজাহার নামীয়সহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।