মঙ্গলবার ● ৫ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ
মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ কৃত শ্লিপ, প্রাক-প্রাথমিক, ওয়াস ব্লাক, ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে উপ পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এলাকাবাসি অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকাবাসী অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, আমরা গ্রামবাসী দীর্ঘ দিন পর বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসি। আমরা জানতে পারি বিদ্যালয়টিতে ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ে শ্লিপ বাবদ ৫০ হাজার টাকা, রুটিন মেইনটেন্স বাবাদ ৪০ হাজার টাকা, ওয়াস ব্লাক বাবদ ২০ হাজার বাবদ, প্রাক প্রাথমিক বাবদ ১০ হাজার টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাবদ ৫ হাজার বরাদ্দে টাকা আসে। আবার ২০২০ সালেও শ্লিপ বাবদ ৭৫ হাজার টাকা, রুটিন মেইনটেন্স বাবাদ ৪০ হাজার টাকা, ওয়াস ব্লাক বাবদ ২০ হাজার বাবদ, প্রাক প্রাথমিক বাবদ ১০ হাজার টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাবদ ৫ হাজার টাকা। ২ বছরে সর্বমোট ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। পরে আমরা শুনেছি ২০২১ সালে অনুরূপ টাকা এসেছে। তবে উক্ত বিদ্যালয়ে ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের তেমন কোন উন্নয়ন দেখাতে পারেনি। এই বিষয়ে জানতে মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে সে এই টাকা খরচের একটি হিসাব দেখায়। তবে মালামাল ক্রয়ের ভাউচার দেখাতে পারেনি। উনি যে ভাউচার গুলি দেখিয়েছেন সেটা ২০২১ সালের। ২০২১ সালের বরাদ্দের টাকা খরচের জন্য সহকারী শিক্ষিকা ডালিয়া পারভীনের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে ২০২১ সালের খরচের যথাযথ হিসাব আছে। এতকিছুর পরেরও দেখা যায় প্রধান শিক্ষকের রুমের আলমারির লক ভাঙ্গা। বিদ্যালয়ের তথ্য বোর্ড আপডেট নেই। উপরের ছাদ চটে গেছে। ব্যবহারের বাথরুমের ভিতরে ষ্টীলের ভাঙ্গা হাতল পড়ে আছে। বিদ্যালয়ের নাম ফলকে নেই কোন উন্নয়নের নিশানা। বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার কাঞ্জিলাল। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ই অক্টোবর সোমবার ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কাঞ্জিলাল তদন্তের করতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।