বৃহস্পতিবার ● ৭ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে একই রাতে ৩টি ঘরে সিঁধেল চুরি
বিশ্বনাথে একই রাতে ৩টি ঘরে সিঁধেল চুরি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ফের নতুন করে পুরনো কায়দায় সিঁধেল চোরের উপদ্রব বেড়েছে।
এক সময় সিঁধেল চোরদের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ ছিলেন গ্রাম-গঞ্জের মানুষ। তারা সিঁধকাঠি দিয়ে মাটির দেওয়ালে গর্ত-সুড়ঙ্গ করে, বুদ্ধিমত্তা আর সাহস কাজে লাগিয়ে গোপনে প্রবেশ করে মালামাল নিয়ে যেত।
তাদের নিয়েও আছে ব্যঙ্গাত্মক নানা ছন্দ-ছড়া।
সময়ের সাথে বিলুপ্তির খাতায় ওঠে সিঁধেল চুরি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অভিনব পন্থা বেছে নেয় চোরেরা।
জানা গেছে, গত সোমবার (৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে একই রাতে ৩টি ঘরে হানা দেয় সিঁধেল চোর।
সিঁধকাঠি দিয়ে তারা নিয়ে যায় নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, হাড়ি-পাতিল, কাপড় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
গ্রামের নিয়াজ আলীর মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা রাবিয়া বেগমের ঘর থেকে নেয় দুটি মোবাইল ফোন, হাড়ি-পাতিল, তৈল, পিঁয়াজ। মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এনামুল হকের ঘর থেকে একটি মোবাইল ফোন, টর্চ লাইট, নগদ ৭ হাজার টাকা, নতুন জামা-কাপড় ও মৃত সাজিদ আলীর ছেলে আবদুর রহিমের ঘর থেকে একটি মোবাইল ফোন, টর্চ লাইট ও নগদ ১৬০ টাকা নিয়ে যায় সিঁধেল চোরেরা।
রাবিয়া বেগম জানান, রাত ১২ পর্যন্ত আমরা দুইবোন জেগে ছিলাম। পরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে জেগে দেখি ঘরের জিনিসপত্র অগোছালো ও রান্না ঘরের বেড়ায় বড় ছিদ্র করা। সিঁধেল চোরেরা আমাদের ঘর খালি করে সব নিয়ে গেছে।
বিশ্বনাথে আলেমদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলেমদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার(৬ অক্টোবর) উপজেলা বিআরডিবি হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ।
ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ারটেকার বদরুল আলম চৌধুরী শিপুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের মাস্টার ট্রেইনার মো. মামুনুর রশীদ।
ইমামদের পক্ষে বক্তব্য দেন মো. গোলাম মোস্তফা ও মো. বাহার উদ্দিন। আলোচনার এক পর্যায়ে উপস্থিত আলেমদেরকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, করোনাভাইরাস, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অবৈধ স্থাপনা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এতে অংশ নেন উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম, মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ।